প্রকাশ: ২৩ আগস্ট, ২০২৫

একসময়ে বলিউডে ঝড় তোলা নায়িকা ছিলেন তিনি। একের পর এক ব্যর্থতার পর দক্ষিণি সিনেমায় গিয়েও নিজের অবস্থান ধরে রাখতে পারেননি। শেষ পর্যন্ত বিয়ে করে সরে দাঁড়িয়েছেন গ্ল্যামারের দুনিয়া থেকে। এই অভিনেত্রী হলেন টিউলিপ জোশি।
যশ রাজ ফিল্মসের আবিষ্কার
মুম্বাইয়ে জন্ম টিউলিপ জোশির, ১৯৭২ সালের সেপ্টেম্বর মাসে। তাঁর বাবা গুজরাটি, আর মা আর্মেনিয়ান বংশোদ্ভূত। ২০০০ সালে ফেমিনা মিস ইন্ডিয়া প্রতিযোগিতায় অংশ নেন টিউলিপ। এরপর মডেলিং ও বিজ্ঞাপনে কাজ করতে শুরু করেন।
২০০২ সালে যশ রাজ ফিল্মসের ব্যানারে নির্মিত ‘মেরে ইয়ার কি শাদি হ্যায়’-এর মধ্য দিয়ে বলিউডে তাঁর অভিষেক হয়। উডে চোপড়া ও জিমি শেরগিলের বিপরীতে টিউলিপ অভিনীত ছবিটি বক্স অফিসে ব্লকবাস্টার হিট হয়। ছবির গানগুলোও ব্যাপক জনপ্রিয় হয়েছিল।
শুরুর সাফল্যের পরেও ব্যর্থ ক্যারিয়ার
প্রথম ছবি সুপারহিট হলেও টিউলিপের ক্যারিয়ার আর এগোতে পারেনি। তিনি অভিনয় করেছিলেন ‘মাতৃভূমি’, ‘দিল মাঙ্গে মোরে’, ‘জয় হো’র মতো ছবিতে। কিন্তু সব কটিই বক্স অফিসে ভরাডুবি করে। একের পর এক ব্যর্থতায় তিনি পাড়ি জমান দক্ষিণি সিনেমায়।
কন্নড়, পাঞ্জাবি, তেলেগু, মালয়ালম—সব ভাষার ছবিতে অভিনয় করেছেন টিউলিপ। তবে সেখানেও বড় সাফল্য পাননি। ২০১৪ সালে সালমান খানের ‘জয় হো’ ছবিই তাঁর শেষ বড় পর্দার কাজ।
সাবেক সেনা অফিসারের সঙ্গে বিয়ে
টিউলিপ জোশি বিয়ে করেন ক্যাপ্টেন বিনোদ নায়ারকে। ১৯৮৯ থেকে ১৯৯৬ সাল পর্যন্ত তিনি ছিলেন ভারতীয় সেনাবাহিনীর পাঞ্জাব রেজিমেন্টের ১৯তম ব্যাটালিয়নের কমিশনড অফিসার। বিনোদ নায়ার জনপ্রিয় উপন্যাস ‘প্রাইড অব লায়নসের’ লেখকও।
টিউলিপ কী করছেন এখন
শেষ এক দশক ধরে আলোঝলমলের দুনিয়া থেকে দূরে আছেন টিউলিপ। স্বামীকে নিয়ে তিনি চালাচ্ছেন একটি পরামর্শক প্রতিষ্ঠান, যা ২০০৭ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়।
এখন তিনি শুধু সফল ব্যবসায়ীই নন, বরং পেশাদার জ্যোতিষীও। তাঁর ওয়েবসাইটে উল্লেখ আছে, বহু বছর ধরে তিনি বৈদিক জ্যোতিষ ও লাইফস্টাইল কনসালটেশনের ওপর পড়াশোনা করেছেন।
ইনস্টাগ্রামে সক্রিয় আছেন টিউলিপ, যেখানে তিনি নিজের ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে ছবি ও ভিডিও ভাগ করে নেন।
তথ্যসূত্র: ইন্ডিয়াডটকম
আরও পড়ুন