Advertisement

শাশুড়ির ভয়ে বিকিনির পোস্টার গোপনে ছিঁড়েছিলেন শর্মিলা ঠাকুর

ভোরের কাগজ

প্রকাশ: ২৮ আগস্ট, ২০২৫

শর্মিলা ঠাকুর। ছবি : সংগৃহীত
শর্মিলা ঠাকুর। ছবি : সংগৃহীত

আজকাল সিনেমায় নায়িকাদের বিকিনি পরা খুবই সাধারণ ব্যাপার। কিন্তু ষাটের দশকে বিষয়টা এত সহজ ছিল না। খোলামেলা পোশাকে হাতে গোনা কয়েকজন অভিনেত্রীকেই দেখা যেত।

সেই সময়ই সাহসী সিদ্ধান্ত নিয়ে ‘অ্যান ইভিনিং ইন প্যারিস’ ছবিতে বিকিনি পরে হাজির হয়েছিলেন শর্মিলা ঠাকুর। তবে এর পেছনে কম ঝক্কি পোহাতে হয়নি তাঁকে। এক সাক্ষাৎকারে অভিনেত্রী নিজেই জানিয়েছেন, হবু শ্বশুরবাড়ির অস্বস্তির কথা ভেবে রাতারাতি নিজের ছবির পোস্টার ছিঁড়ে ফেলতে হয়েছিল।

শর্মিলা বলেন, ছবির পরিচালক তাঁকে কখনও জোর করেননি, বরং নিজের ইচ্ছাতেই তিনি বিকিনি পরার সিদ্ধান্ত নেন। তিনি জানান, তখন ব্যাপারটা কত বড় আলোচনার বিষয় ছিল! ভাবতেই পারিনি এক টুকরো কাপড়ের জন্য এত বিতর্ক হবে।

তিনি আরো জানান, পরিচালক তাঁকে বোঝান যে দর্শকের জন্যই তিনি নায়িকা। তাই দর্শক যেমনভাবে দেখতে চাইবেন, সেভাবেই নিজেকে উপস্থাপন করতে হবে। শর্মিলা বলেন, আমি দর্শকের কাছে আরো আকর্ষণীয় হতে চেয়েছিলাম। আমার মনে হয় সেটা পেরেছিলামও।

তখনও বিয়ে হয়নি শর্মিলার, তবে মনসুর আলি খান পাতৌদির সঙ্গে সম্পর্কে ছিলেন। হবু শাশুড়ি কী বলবেন তা ভেবেই ভয় পেয়েছিলেন তিনি। তাই দ্রুতই ড্রাইভারকে পাঠিয়ে শ্বশুরবাড়ির আশপাশ থেকে সব পোস্টার ছিঁড়ে ফেলতে বলেন।

সেই সময় দেশে ছিলেন না পাতৌদি সাহেব। তবে টেলিগ্রামে তিনি শর্মিলাকে আশ্বস্ত করেন। সবশেষে হাসতে হাসতেই অভিনেত্রী জানান, আসলে কোনও ঝামেলাই হয়নি, আম্মা কিছুই বলেননি।

Lading . . .