প্রকাশ: ১৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

মিউজিক ভিডিওর মডেল হিসেবে বিনোদনজগতে যাত্রা শুরু করেছিলেন দিব্যা খোসলা। এরপর তেলেগু ছবি ‘লাভ টুডে’ দিয়ে অভিনয়ে অভিষেক। আর বলিউডে তাঁর প্রথম ছবি আব তুমহারে হাওয়ালে ওয়াতন সাথিয়োঁ। তাঁর আরেকটি পরিচয়ও ভারতের বিনোদন দুনিয়ায় আলোচিত, তিনি টি-সিরিজের কর্ণধার ভূষণ কুমারের স্ত্রী। এভাবে কখনো মডেল, কখনো অভিনেত্রী, আবার কখনো পরিচালক বা প্রযোজক—সব ভূমিকাতেই নিজের উপস্থিতি জানান দিয়েছেন দিব্যা। তবে প্রযোজক ও পরিচালক হিসেবে সফল হলেও অভিনয়েই এখন সম্পূর্ণ মনোযোগ দিতে চান দিব্যা। প্রতিটি ছবিতে তাই নতুন আঙ্গিকে নিজেকে তুলে ধরার চেষ্টা করেন। সেই চেষ্টারই নতুন সংযোজন এক চতুর নার। শুক্রবার মুক্তি পাওয়া উমেশ শুক্লা পরিচালিত ছবিটিতে তিনি এক চতুর, প্রতারক ও লোভী নারী।
ভারতীয় গণমাধ্যম অমর উজালাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এই সিনেমাকে ঘিরে নিজের অভিজ্ঞতা তুলে ধরেছেন দিব্যা। নিজের চরিত্র নিয়ে তিনি বলেন, ‘এই ছবির প্রতিটি চরিত্রেই রয়েছে নানা স্তর। এখানে কেউ পুরোপুরি ভালো নয়, আবার পুরোপুরি খারাপও নয়। চরিত্রের ভেতর দুই বিপরীতমুখী সত্তা ধারণ করা সহজ ছিল না। তার ওপর ঝুপড়িবাসীর ভাষা আয়ত্ত করা বেশ কঠিন ছিল। আমি পাঞ্জাবি, কিন্তু ছবির প্রয়োজনে আমাকে লক্ষ্ণৌর বস্তিবাসীর ভাষা শিখতে হয়েছে। মমতা মিশ্রা হয়ে উঠতে প্রচুর পরিশ্রম করতে হয়েছে। তবে সব মিলিয়ে অভিজ্ঞতা দারুণ।’
সিনেমার কাহিনি নিয়েও কথা বলেছেন দিব্যা। ‘বাড়িয়ে বলছি না, গল্পটা একেবারেই নতুন ও বাস্তবনির্ভর। আজকের সময়ের প্রেক্ষাপটে এটি নির্মাণ করা হয়েছে। প্রযুক্তির যে অপব্যবহার এখন প্রায় প্রতিদিনই ঘটছে, সেটিই এখানে ফুটে উঠেছে। প্রায় সবার ফোনেই কিছু না কিছু গোপন তথ্য থাকে, যেগুলোর অপব্যবহার করা যায়। ছবির বিষয়বস্তু তাই সময়োপযোগী ও গুরুত্বপূর্ণ। দর্শক সহজেই এর সঙ্গে নিজেদের মেলাতে পারবেন।’ দিব্যা জানান, কমেডি ও থ্রিলারের আবরণে একটি সামাজিক বার্তা দর্শকের কাছে পৌঁছে দেওয়াই ছিল ছবির লক্ষ্য।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অভিনেত্রীদের পোশাক–আশাক বা ব্যক্তিগত বিষয় নিয়ে নানা কটাক্ষ করা হয়। দিব্যাও তার শিকার হয়েছেন। তাঁর ভাষ্য, ‘শুরুতে এসব মন্তব্য আমাকে কষ্ট দিত। ভাবতাম, কেন এমন বলা হলো। এখন কেউ কিছু বললেই সরাসরি ব্লক করে দিই। জন আব্রাহামের একটি পরামর্শ আমাকে অনেক শক্তি দিয়েছে। তিনি কখনো মন্তব্য পড়েন না। সত্যিই তো, মানুষ নানা কথা বলবেই। এখন আমি এতটাই আত্মবিশ্বাসী, কেউ আর তা ভেঙে দিতে পারবে না।’
চরিত্র বেছে নেওয়ার ক্ষেত্রে দিব্যা সব সময় ভিন্ন কিছু খোঁজেন। তিনি বলেন, ‘আগে স্বপ্ন ছিল একটি কমেডি ছবি করার। এখন ইচ্ছা রয়েছে পিরিয়ড ছবিতে অভিনয় করার। সংখ্যার চেয়ে গুণগত মানে আমার বেশি বিশ্বাস। তাই আমি কম কাজ করি। প্রচুর চিত্রনাট্য আসে, তবে যে গল্প আমার হৃদয় ছুঁয়ে যায়, সেটিই করি। ভবিষ্যতে যদি ভালো ও চ্যালেঞ্জিং চরিত্র পাই, অবশ্যই করব।’
আগামী দিনে দিব্যাকে দেখা যাবে তেলেগু ছবি জটাধরা–তে। এ ছবির জন্য তিনি তেলেগু ভাষা শিখেছেন। শুধু তা–ই নয়, ডাবও তিনি নিজেই করছেন।