প্রকাশ: ৯ আগস্ট, ২০২৫

বলিউডের অভিনেত্রী কঙ্গনা রানাউতকে বলা হয় বিতর্কের রানি। যে কোনো ইস্যুতে তার কথা বলা লাগবেই-এমনই স্বভাব তার। অভিনেত্রী থেকে হয়েছে রাজনীতিবিদ। বিজেপির সংসদ-সদস্য তিনি।
প্রতিপক্ষকে দমাতে তিনি সব সময় ব্যবহার করেন কথার অস্ত্র। বছর কয়েক আগে ভারতে নিজেদের বিভিন্ন দাবি-দাওয়া নিয়ে আন্দোলনরত কৃষকদের বিক্ষোভ নিয়ে কটাক্ষ করেছিলেন এ অভিনেত্রী। ফলে তারা কঙ্গনার বিরুদ্ধে মানহানির অভিযোগ দায়ের করেন আদালতে। আর সেই অভিযোগ থেকে মুক্তি পেতে অর্থাৎ তার বিরুদ্ধে করা মানহানির মামলা থেকে অব্যাহতি পেতে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন।
সম্প্রতি ভারতের হাইকোর্ট মামলা বাতিলের জন্য কঙ্গনা রানাউতের আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন। শুক্রবার পাঞ্জাব ও হরিয়ানা হাইকোর্ট তার দায়ের করা একটি ফৌজদারি আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন, যার ফলে তার বিরুদ্ধে শুরু হওয়া মানহানির মামলা বিচারের জন্য অনুমোদন দেওয়া হয়। কঙ্গনা ভারতীয় দণ্ডবিধির ধারা ৪৯৯ এবং ৫০০-এর অধীনে অন্তর্নিহিত অভিযোগ এবং বাথিন্ডা আদালত কর্তৃক জারি করা তলব আদেশ উভয়ই খারিজ করার আবেদন করেছিলেন।
মূলত ২০২০-২১ কৃষকদের বিক্ষোভের সময় কঙ্গনার শেয়ার করা একটি রিটুইট থেকে এ আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছিল। অভিনেত্রী তার পোস্টে কৃষকদের ন্যায্য পাওনা আদায়ের আন্দোলনকে পাকিস্তানের মদদ বলে কৃষকদের পাকিস্তানি বলে উপহাস করেছিলেন। এরপর পরপরই তার টুইট নিয়ে সমালোচনার ঝড় ওঠে। কৃষকদের পক্ষ থেকে এ কারণে তখন মানহানির মামলা দায়ের করা হয়।
ভারতীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে, এ মামলার শুনানির পর আদালত বলেছে, ‘আবেদনকারী, যিনি একজন সেলেব্রিটি, তার বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ রয়েছে যে, রিটুইটে তার দ্বারা মিথ্যা এবং মানহানিকর অভিযোগ বিবাদীর সুনাম ক্ষুণ্ন করেছে এবং তার নিজের মূল্যায়নে, পাশাপাশি অন্যদের দৃষ্টিতেও তাকে (কৃষকদের) হেয় করেছে। অতএব, তার (কৃষক) অধিকার রক্ষার জন্য অভিযোগ দায়ের করাকে অসদাচরণ বলা যাবে না।’
আরও পড়ুন