প্রকাশ: ৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

বলিউডের আলোচিত অ্যাকশন ফ্র্যাঞ্চাইজি ‘বাগী’ সিরিজে দাপটের সঙ্গে নিজের জায়গা পাকা করেছেন টাইগার শ্রফ। দুর্দান্ত অ্যাকশন ও মার্শাল আর্টের দক্ষতায় দর্শকের মন জয় করলেও শুরু থেকেই এই সিরিজকে ঘিরে আছে বিতর্ক। অনেকের মতে, ফ্র্যাঞ্চাইজির প্রতিটি কিস্তিই দক্ষিণী সিনেমার ছায়া অবলম্বনে নির্মিত। কেউ কেউ আবার অভিযোগ তুলেছেন— এটি নিছক রিমেক নয়, সরাসরি গল্পচুরি।
২০১৬ সালে মুক্তি পাওয়া প্রথম সিনেমা ‘বাগী’ ছিল প্রভাস-তৃষা অভিনীত তেলেগু ছবি ‘ভারসাম’ (২০০৪)-এর ছায়া অবলম্বনে। সাজিদ নাদিয়াদওয়ালার প্রযোজনায় ও সাব্বির খানের পরিচালনায় নির্মিত এই কিস্তিতে শ্রদ্ধা কাপুরের বিপরীতে দেখা যায় টাইগারকে। বাজেট ছিল ৩৫-৩৭ কোটি রুপি, আয় হয়েছিল প্রায় ১২৯ কোটি রুপি।
দ্বিতীয় কিস্তি ‘বাগী টু’ ছিল ২০১৬ সালের তেলেগু থ্রিলার ‘কশানাম’-এর অফিসিয়াল রিমেক। আহমেদ খানের পরিচালনায় নির্মিত এই ছবিতে টাইগারের বিপরীতে অভিনয় করেন দিশা পাটানি। প্রায় ৭৫ কোটি রুপি বাজেটের ছবিটি ২৫৪.৫৭ কোটি রুপি আয় করে সিরিজের সবচেয়ে সফল সিনেমা হয়।
তৃতীয় কিস্তি ‘বাগী থ্রি’ নির্মিত হয় তামিল সিনেমা ‘ভেট্টাই’ (২০১২)-এর অফিসিয়াল রিমেক হিসেবে। এখানে টাইগার-শ্রদ্ধার পাশাপাশি রীতেশ দেশমুখ ও অঙ্কিতা লোখন্ডে অভিনয় করেন। প্রায় ৮৫ কোটি রুপির বাজেটে নির্মিত ছবিটি আয় করে ১৩৭ কোটি রুপি। যদিও বাণিজ্যিকভাবে এটি ‘সেমি-হিট’ হয়।
সবশেষ মুক্তিপ্রাপ্ত ‘বাগী ফোর’ (২০২৫) নেওয়া হয়েছে তামিল থ্রিলার ‘আইনথু আইনথু আইনথু’ (২০১৩)-এর গল্প থেকে। এ. হর্ষ পরিচালিত ছবিটিতে টাইগারের পাশাপাশি সঞ্জয় দত্ত, সোনম বাজওয়া, হরনাজ সান্ধু ও সুনিত মোরারজিকে দেখা গেছে। তবে বক্স অফিসে এখনো এটি বড় কোনো চমক দেখাতে পারেনি।
সব মিলিয়ে ‘বাগী’ ফ্র্যাঞ্চাইজিকে ঘিরে প্রশ্ন থেকেই যায়— এটি কেবল দক্ষিণী সিনেমার অফিসিয়াল রিমেক, নাকি সৃজনশীলতার আড়ালে গল্পচুরিই হচ্ছে বারবার?
আরও পড়ুন