প্রকাশ: ২৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

২০২৫ সাল যেন অশ্রুভেজা বছর হয়ে দাঁড়িয়েছে বিনোদন জগতের জন্য। একের পর এক তারকার চলে যাওয়া স্তব্ধ করে দিচ্ছে পুরো শিল্পীরাজ্যকে। ঠিক সেরকমই স্কুবা ডাইভিং করতে গিয়েই অকালে জীবনাবসান হলো জনপ্রিয় গায়ক ও অভিনেতা জুবিন গর্গের। তার হঠাৎ মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমেছে বলিউড থেকে আসাম পর্যন্ত। অবিশ্বাস্য হলেও সত্যি, জুবিন তার ক্যারিয়ারে গেয়েছেন ৩২ হাজারের বেশি গান, হয়েছেন সুরকার, গীতিকার, এমনকি অভিনেতা। কিন্তু জানেন কি মৃত্যুর সময় কত সম্পত্তির মালিক ছিলেন এই কিংবদন্তি শিল্পী?
ভারতীয় গণমাধ্যম সূত্রে জানা যায়, ২০২৪ সালে, গায়কের মোট সম্পদের পরিমাণ আনুমানিক ৬০ থেকে ৬৫ কোটি রুপি। বিলাসবহুল গাড়ি এবং মোটরসাইকেলপ্রেমী জুবিন গর্গ সক্রিয়ভাবে সামাজিক কাজেও অংশগ্রহণ করেছিলেন। তার আয়ের প্রধান উৎসগুলোর মধ্যে রয়েছে সংগীত, লাইভ কনসার্ট, সিনেমা এবং ব্র্যান্ড এনডোর্সমেন্ট। যদিও সাম্প্রতিক সময়ে তার মাসিক আয়ের সঠিক তথ্য প্রকাশ করা হয়নি।
জুবিন গর্গের বিলাসবহুল গাড়ির প্রতি বিশেষ আগ্রহ ছিল। তার কাছে একটি বিএমডব্লিউ এক্স৫, একটি মার্সিডিজ বেঞ্জ, একটি রেঞ্জ রোভার ভেলার এবং একটি কাস্টম-কোটেড ইসুজু সুভ ছিল। প্রিমিয়াম মোটরসাইকেলের প্রতিও তার আগ্রহ কম ছিল না। প্রায়ই তাকে এই গাড়িগুলো চালাতে দেখা যেত।
প্রয়াত সংগীতশিল্পীর প্রাথমিক জীবন এবং ক্যারিয়ার সম্পর্কে বললে, জুবিন ১৯৭২ সালের ১৮ নভেম্বর মেঘালয়ের তুরার বোরঠাকুর পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন।
তার বাবা মোহিনী বোরঠাকুর ছিলেন একজন গীতিকার এবং তার মা ইলি বোরঠাকুর ছিলেন একজন নৃত্যশিল্পী এবং গায়িকা।
১৯৯২ সালে জুবিন গর্গ সংগীতকে ধ্যানজ্ঞান করে এতেই ক্যারিয়ার গড়ার সিদ্ধান্ত নেন। একই বছর তার প্রথম অ্যালবাম ‘অনামিকা’ লঞ্চ হয়, যা তাকে উত্তর-পূর্বে জনপ্রিয় করে তোলে। তবে, বলিউড সিনেমা ‘গ্যাংস্টার’ (২০০৬)-এর ‘ইয়া আলি’ গানটিই তাকে ভারতজুড়ে পরিচিতি এনে দেয়। উজ্জ্বল ক্যারিয়ারে জুবিন ৪০টিরও বেশি ভাষায় গান গেয়েছিলেন এবং প্রায় ৩২ হাজার গান রেকর্ড করেছিলেন।
তিনি ‘মন জয়’ এবং ‘মিশন চায়না’-এর মতো অসমীয়া ছবিতেও অভিনয় করেছিলেন। ২০০৯ সালে, তিনি ‘কিসমত’ ছবির ‘দিলরুবা’ গানের জন্য জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছিলেন। তিনি কেবল একজন গায়কই ছিলেন না, একজন সুরকার, পরিচালক এবং চিত্রনাট্যকার হিসেবেও ভালো পরিচিত ছিলেন।
আরও পড়ুন