জোর করে অন্তরঙ্গ দৃশ্য, কান্নায় ভেঙে পড়েছিলেন অভিনেত্রী
প্রকাশ: ১৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

দক্ষিণ ভারতের নব্বইয়ের দশকের জনপ্রিয় অভিনেত্রী মোহিনী সম্প্রতি নিজের এক তিক্ত অভিজ্ঞতার কথা শেয়ার করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, ১৯৯৪ সালের ‘কানমানি’ ছবিতে তাঁকে জোরপূর্বক অন্তরঙ্গ দৃশ্যে অভিনয় করতে বাধ্য করা হয়েছিল, যদিও তিনি কেঁদে কেঁদে না করেছিলেন।
মোহিনী তখন ক্যারিয়ারের শীর্ষে। প্রাশান্তের বিপরীতে নায়িকা হয়ে তিনি অভিনয় করেন আর কে সেলভামণি পরিচালিত ‘কানমানি’–তে। ছবিটি মূলত রোমান্টিক ড্রামা হলেও ‘উদল তাঝুভা’ গানের দৃশ্যের কারণে সমালোচিত হয়। অনেকেই মনে করেছিলেন, গানটির মূল উদ্দেশ্য ছিল মোহিনীকে পুরুষতান্ত্রিক দৃষ্টিতে উপস্থাপন করা।
সম্প্রতি আভল বিকাটানকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে মোহিনী জানান, সেলভামণি পরিকল্পনা করেছিলেন একটি সাঁতারের পোশাকের দৃশ্যের। এতে তিনি এতটাই অস্বস্তি বোধ করেছিলেন যে কান্নায় ভেঙে পড়েন; দৃশ্যটি করতে অস্বীকার করেন।
এতে শুটিং কয়েক ঘণ্টা বন্ধও থাকে। মোহিনী বলেন, ‘আমি তখন সাঁতারই জানতাম না। আর আধা পোশাকে পুরুষ প্রশিক্ষকের সামনে শিখব কীভাবে? তখন নারী প্রশিক্ষক পাওয়া যেত না বললেই চলে। তাই ওই দৃশ্য কল্পনাই করতে পারিনি। আমি বাধ্য হয়েই সেটি করেছি।’
তবে একপর্যায়ে প্রযোজনা যাতে আটকে না যায়, সে কারণে তিনি দৃশ্যটি শেষ করেন। পরে যখন একই ধরনের দৃশ্যের শুটিং অনুমতি চাওয়া হয়, তখন তিনি দৃঢ়ভাবে না বলেন। তাঁর ভাষায়, ‘আমি বলেছিলাম, এটা তোমাদের সমস্যা, আমার না। যেমন আগে আমাকে জোর করে করিয়েছিলে, তেমনটা আর হবে না।’ মোহিনীর দাবি, ‘কানমানি’ই একমাত্র ছবি, যেখানে তিনি নিজের সম্মতি ছাড়া অতিরিক্ত গ্ল্যামারাসরূপে পর্দায় হাজির হয়েছিলেন।
অভিনেত্রীর আক্ষেপ, ছবিতে তাঁর চরিত্রটি আসলে ছিল ‘খুব সুন্দর ও চ্যালেঞ্জিং’, কিন্তু তা প্রাপ্য স্বীকৃতি পায়নি।
দুই দশকের ক্যারিয়ারে মোহিনী অভিনয় করেছেন দক্ষিণ ভারতের প্রায় সব সুপারস্টারের সঙ্গে। এই তালিকায় আছেন শিবাজি গণেশন, নন্দমুরি বালকৃষ্ণ, চিরঞ্জীবী, মোহনলাল, মামুত্তি, শিবরাজকুমার, বিজয়কান্ত, বিষ্ণুবর্ধন, বিক্রম, সারথকুমারসহ অনেকে।
মোহিনীর উল্লেখযোগ্য ছবির মধ্যে আছে ‘চিন্না মরুমাগাল, ‘আদিত্য ৩৬৯’, ‘হিটলার’, ‘ইনাথে চিন্তা বিষয়ম’, ‘সৈন্যম, ভেশম’, ‘ওরু মরাভাথুর কানাভু’, ‘থায়াগম’, ‘নিশব্দা’ প্রভৃতি। এ ছাড়া বলিউডে ১৯৯১ সালের ‘ড্যান্সার’ ছবিতে অক্ষয়কুমারের বিপরীতে অভিনয় করেছিলেন তিনি।
তথ্যসূত্র: ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস