২০টি খুনের অভিযোগ, সেই গ্যাংস্টারের সঙ্গে কাজ করেছিলেন নায়িকা
প্রকাশ: ১৮ আগস্ট, ২০২৫

‘ম্যায়নে পেয়ার কিয়া’ দিয়ে বলিউডের অভিষেক হয় ভাগ্যশ্রীর। সালমান খানের বিপরীতে প্রথম সিনেমাটিই হয়ে আছে তাঁর ক্যারিয়ার সবচেয়ে আলোচিত সিনেমা। তবে আরেকটি সিনেমা করতে গিয়ে ভিন্ন অভিজ্ঞতাও হয়েছে তাঁর; সে ছবিতে তিনি কাজ করেছেন বাস্তব জীবনের এক গ্যাংস্টারের সঙ্গে। এই গ্যাংস্টার, যাঁর বিরুদ্ধে ২০টির বেশি খুনের অভিযোগ ছিল!
ভাগ্যশ্রী সম্প্রতি দূরদর্শন সহ্যাদ্রীর সঙ্গে একটি সাক্ষাৎকারে এই অভিজ্ঞতার কথা শেয়ার করেন। তিনি বলেন, ‘আমি যেকোনো চরিত্রে অভিনয় করি, তা দর্শকের মনে গেঁথে যেতে হবে—এটাই আমি নিশ্চিত করতে চাই। সেই সময় বিয়ে করা অভিনেত্রীর জন্য কাজের সুযোগ খুব সীমিত ছিল, আর বেশির ভাগ প্রস্তাবও ভালো মনে হতো না। আমি কন্নড়, তেলেগু ও বাংলা চলচ্চিত্রেও কাজ করেছি। এক তেলেগু ছবিতে আমি বাস্তব অপরাধীর সঙ্গে কাজ করেছি এবং শুটিং চলাকালে খুব ভয় পেয়েছিলাম।’
শুটিং সেটে চমকপ্রদ মুহূর্ত
ভাগ্যশ্রী জানিয়েছেন, ‘সরকারের অনুমতি নিয়ে এই অপরাধীদের জেল থেকে আনা হয়েছিল শুটিংয়ের জন্য। ছবির গল্প তাঁদের ব্যক্তিগত জীবন থেকে অনুপ্রাণিত। আমার চরিত্র ছিল সাংবাদিক, যে তাঁদের সঙ্গে দেখা করে, তাঁদের জীবন সম্পর্কে জানে এবং তথ্য সংগ্রহ করে। গল্পটি বোঝাতে চেয়েছিল যে কেউ অপরাধী হয়ে জন্মায় না। পরিস্থিতি মানুষকে এই পথে ঠেলে দিতে পারে। সমাজের শক্তি আছে, মানুষকে ইতিবাচক পথে ফিরিয়ে আনার।’
ভাগ্যশ্রী আরও বলেন, ‘আমি যখন ছবির জন্য চুক্তি স্বাক্ষর করি, গল্পটি খুবই আকর্ষণীয় মনে হয়েছিল। একদিন শুটিং সেটে বসে থাকা অবস্থায় আমাকে বলা হলো, “গ্যাংস্টার ভাই শুটিংয়ে আসছেন। তাঁর বিরুদ্ধে ২০–৩০টি হত্যার অভিযোগ আছে।” সেই গ্যাংস্টার যখন এলেন, আমি চমকে উঠি। তিনি সোনালি পোশাকে সেজেছেন, গলায় অনেক চেইন, পাশে ১০–১২ জন দেহরক্ষী। তিনি এসে বসে আমাকে বললেন, “আমি আপনাকে খুব পছন্দ করি।” শুনে আমার নিশ্বাস আটকে গেল। মনে হলো, এখন কী হবে?’
ভাগ্যশ্রী সেই ঘটনা নিয়ে আরও বলেন, ‘গ্যাংস্টার বললেন, তাঁর একজন বোন আছেন, যিনি আমার মতো দেখতে। তাই তাঁর মনে এমন অনুভূতি সৃষ্টি হয়েছে। এটা শুনে আমি স্বস্তি পেয়েছিলাম।’ তবে সাক্ষাৎকারে সেই গ্যাংস্টারের নাম বলেননি ভাগ্যশ্রী।
ভাগ্যশ্রী ১৯৮৯ সালে হিমালয় দাসানির সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। তিনি জয়পুরের বাসিন্দা। দুজনই স্কুলে পড়াশোনা করার সময় পরিচিত হন।
ভাগ্যশ্রী বলেন, ‘আমরা স্কুলে একসঙ্গে পড়তাম—সে ক্লাসের দুষ্টু ছেলেটি, আমি ক্লাস মনিটর। আমরা সব সময় ঝগড়া করতাম। যত বেশি লড়াই, তত বেশি বোঝা যেত, আমরা একে অপরের থেকে আলাদা থাকতে পারি না। আমরা কখনো ডেটিং করিনি, স্কুলের শেষ দিন পর্যন্ত সে আমাকে নিজের ভালো লাগার কথা জানায়নি। অবশেষে আমিই বললাম, “সাহস করে বলে ফেল, উত্তর ইতিবাচকই হবে।” এরপরই সে ভালোবাসার কথা জানায়।’
তথ্যসূত্র: ইন্ডিয়াডটকম