গোপালগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (গোবিপ্রবি) প্রকৌশল অনুষদের শিক্ষার্থীরা সোমবার দুপুরে প্রশাসনিক ভবনের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে।

ন্যায্য ৩ দফা দাবির পক্ষে আয়োজিত এ কর্মসূচিতে শতাধিক শিক্ষার্থী অংশ নেন। তারা জানান, দেশের উন্নয়নের মূল চালিকাশক্তি হওয়া সত্ত্বেও প্রকৌশলীরা দীর্ঘদিন ধরেই অবহেলা ও বৈষম্যের শিকার হচ্ছেন।

শিক্ষার্থীদের উত্থাপিত তিন দফা দাবি

১. সহকারী প্রকৌশলী পদে নিয়োগ পরীক্ষা বাধ্যতামূলক: ৯ম গ্রেড (সহকারী প্রকৌশলী বা সমমান)– এ পদে সমানভাবে নিয়োগ পরীক্ষা গ্রহণ করতে হবে। ন্যূনতম যোগ্যতা বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারিং ডিগ্রি। কোটার মাধ্যমে বা সমমানের নতুন পদ সৃষ্টি করে পদোন্নতির সুযোগ বাতিল করতে হবে।

২. ডিপ্লোমা কোটা বাতিল: ১০ম গ্রেড (উপসহকারী প্রকৌশলী বা সমমান)– ডিপ্লোমা প্রকৌশলীদের জন্য বরাদ্দ ১০০% কোটা বাতিল করতে হবে। ন্যূনতম যোগ্যতা হবে ডিপ্লোমা ইন ইঞ্জিনিয়ারিং, তবে বিএসসি ও এমএসসি ডিগ্রিধারীরাও আবেদন করতে পারবেন।

৩. “ইঞ্জিনিয়ার” পদবীর সঠিক ব্যবহার: শুধুমাত্র বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারিং ডিগ্রিধারী প্রকৌশলীরাই নামের আগে “ইঞ্জিনিয়ার” পদবী ব্যবহার করতে পারবেন। অন্য কেউ এ পদবী ব্যবহার করলে তার বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সমাবেশে শিক্ষার্থীরা বলেন, “আমরা ভবিষ্যতের প্রকৌশলী। আমাদের ন্যায্য দাবি পূরণ না হলে আমরা লাগাতার কর্মসূচিতে যাব। প্রকৌশলীদের মর্যাদা ক্ষুণ্ণ করার যেকোনো চেষ্টা রুখে দেওয়া হবে।”

সমাবেশ শেষে শিক্ষার্থীরা একটি বিক্ষোভ মিছিলও বের করেন। প্রশাসনিক ভবনের সামনে থেকে মিছিলটি শুরু হয়ে প্রধান ফটকে গিয়ে শেষ হয়। মিছিলে শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন স্লোগান দেন।

শিক্ষার্থীরা ঘোষণা দিয়েছেন, দ্রুত দাবি পূরণ না হলে পরবর্তী ধাপে মানববন্ধন, অবস্থান কর্মসূচি এবং সর্বশেষে কর্মবিরতি ও লাগাতার আন্দোলনের মতো কঠোর কর্মসূচি গ্রহণ করবেন।

ইএইচ