শেবাচিম ক্যাম্পাসে পার্কিং করতে না পেরে অ্যাম্বুলেন্স ধর্মঘট
প্রকাশ: ২৮ আগস্ট, ২০২৫

বরিশাল শেরেবাংলা চিকিৎসা মহাবিদ্যালয় (শেবাচিম) হাসপাতালের জমিতে পার্কিং চেয়ে অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘটের ডাক দিয়েছেন বেসরকারি অ্যাম্বুলেন্স চালকরা।
বুধবার (২৭ আগস্ট) সকাল ৬টা থেকে বরিশাল অ্যাম্বুলেন্স মালিক সমবায় সমিতি লিমিটেডের আওতায় চলাচলকারী ১০৮টি অ্যাম্বুলেন্স বন্ধ করে দিয়েছে তারা।
এদিকে সরকারি অ্যাম্বুলেন্সের অপ্রতুলতার কারণে বেসরকারি অ্যাম্বুলেন্সনির্ভর অধিকাংশ রোগী পড়েছেন চরম দুর্ভোগে।
এর আগে পার্কিং পাওয়ার দাবিতে বিভাগীয় কমিশনার, জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, হাসপাতাল পরিচালকসহ বিভিন্ন দপ্তরে স্মারকলিপি দেন চালকরা। তখন তারা ৪৮ ঘণ্টার আলটিমেটাম দিয়েছিল, তবে ৪৮ ঘণ্টা পরও দাবি আদায় না হওয়ায় অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে। দ্রুত দাবি আদায় না হলে গোটা বরিশাল বিভাগজুড়ে ধর্মঘটের ডাক দেওয়া হবে বলে হুঁশিয়ারি দেন অ্যাম্বুলেন্স চালক ও মালিকরা।
ভোলা থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে রোগী নিয়ে যেতে চাওয়া স্বজন রবিউল বলেন, সরকারি অ্যাম্বুলেন্স পাওয়া যাচ্ছে না, তার ওপর বেসরকারি অ্যাম্বুলেন্সের ধর্মঘট চলছে। এ অবস্থায় ঢাকা শিশু হাসপাতালে রোগী নিয়ে কিভাবে যাব কোনো উপায় পাচ্ছি না।
আরেক স্বজন সুজন জানান, তিনিও রোগী নিয়ে ঢাকায় যাবেন কিন্তু সরকারি অ্যাম্বুলেন্স যেতে চাচ্ছে না, এ অবস্থায় বেসরকারি অ্যাম্বুলেন্সও পাচ্ছি না। অথচ ডাক্তার ঢাকায় রোগী রেফার্ড করেছেন।
বেসরকারি অ্যাম্বুলেন্স মালিক সমিতির নেতা আজিজুর রহমান বলেন, প্রায় ২০০ জন মালিকের সমন্বয়ে ১০৮টি অ্যাম্বুলেন্স রয়েছে এই সমিতির আওতায়। এখানে কোনো সিন্ডিকেট নেই, যে যত কম ভাড়ায় সেবা দিতে পারে তার চাহিদা তত বেশি থাকে। আমাদের মাঝে শৃঙ্খলা ফেরানোর নামে আগের পরিচালক শেবাচিম হাসপাতালের জরুরি বিভাগের সামনে বেসরকারি অ্যাম্বুলেন্স পার্কিংয়ের জন্য জায়গা নির্ধারণ করে দেয়। প্রায় ১০ লাখ টাকা খরচ করে সেই জায়গা গাড়ি পার্কিংয়ের উপযোগী করে তোলেন অ্যাম্বুলেন্স মালিকরা। এরপর দীর্ঘদিন সেখানে অ্যাম্বুলেন্স সুশৃঙ্খলভাবে রাখলেও কিছুদিন পূর্বে সেখানে অ্যাম্বুলেন্স রাখা যাবে না বলে হাসপাতালের বর্তমান পরিচালক জানিয়ে দেন। এতে আমরা দুর্ভোগে রয়েছি।
বরিশাল অ্যাম্বুলেন্স মালিক সমবায় সমিতি লিমিটেডের সাবেক সভাপতি ফিরোজ আলম বলেন, পরিচালকের ওই আদেশের পর বেসরকারি অ্যাম্বুলেন্স আর হাসপাতালের ভেতরে পার্কিং করতে দেওয়া হচ্ছে না। বাধ্য হয়ে হাসপাতালের বাইরে অনিরাপদ জায়গায় অ্যাম্বুলেন্সগুলো পার্কিং করার কারণে অনেক গাড়ির ব্যাটারিসহ যন্ত্রাংশ চুরি হয়ে গেছে। কিন্তু আমরা দক্ষিণাঞ্চলের বৃহত্তর স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠান শেবাচিম হাসপাতালের রোগীদের সেবা দিয়ে থাকি, তাই আমাদের দাবি হাসপাতালের ভেতরে নির্ধারিত পার্কিং স্থান আমাদের ফিরিয়ে দেওয়া হোক।