Advertisement

নতুন করে জিপিএ-৫ পেল ২৮৬ জন

যুগান্তর

প্রকাশ: ১১ আগস্ট, ২০২৫

ফাইল ছবি
ফাইল ছবি

এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার উত্তরপত্র পুনর্নিরীক্ষণের ফল প্রকাশ করা হয়েছে। এতে ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক বোর্ডে ২ হাজার ৯৪৬ জন পরীক্ষার্থীর ফলাফলে পরিবর্তন এসেছে। নতুন করে জিপিএ-৫ পেয়েছেন ২৮৬ জন। তার মধ্যে ফেল থেকে সরাসরি জিপিএ-৫ পেয়েছেন তিনজন। এছাড়া ফেল থেকে পাস করেছেন ২৯৩ জন।

রোববার (১০ আগস্ট) সকাল ১০টায় এ ফল প্রকাশ করা হয়। পরে ঢাকা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. খন্দোকার এহসানুল কবিরের সই করা বিজ্ঞপ্তিতে ফলাফলের সারসংক্ষেপ তুলে ধরা হয়।

এতে দেখা যায়, এবার ঢাকা বোর্ডে ৯২ হাজার ৮৬৩ জন শিক্ষার্থী মোট দুই লাখ ২৩ হাজার ৬৬৪টি খাতা পুনর্নিরীক্ষণের আবেদন করেন। তার মধ্যে ২ হাজার ৯৪৬ জনের ফলাফলে পরিবর্তন এসেছে। ১০ জুলাই প্রথম প্রকাশিত ফলাফলে ফেল করেছিল, এমন ২৯৩ জন পরীক্ষার্থী পাস করেছে।

আবার ফেল থেকে সরাসরি জিপিএ-৫ পেয়েছে তিনজন। তারা তিনজনসহ নতুন করে জিপিএ-৫ পেয়েছে মোট ২৮৬ জন। বাকিদের ফলাফলে গ্রেড পরিবর্তন হয়েছে। কেউ বি গ্রেড থেকে এ-মাইনাস, কেউ এ-মাইনাস থেকে এ গ্রেড পেয়েছেন।

পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক জানান, এবার ঢাকা বোর্ডে ৯২ হাজার ৮৬৩ জন শিক্ষার্থী মোট দুই লাখ ২৩ হাজার ৬৬৪টি খাতা পুনর্নিরীক্ষণের আবেদন করেন, যা গত বছরের তুলনায় উল্লেখযোগ্যভাবে বেশি। গত বছরের চেয়ে এবার আবেদনকারীর সংখ্যা বেড়েছে প্রায় ২১ হাজার। আর চ্যালেঞ্জ হওয়া খাতার সংখ্যা বেড়েছে প্রায় ৪০ হাজার।

এদিকে দাখিল পরীক্ষার উত্তরপত্র পুনঃনিরীক্ষণে প্রায় দুই হাজার শিক্ষার্থীর ফলাফলে পরিবর্তন এসেছে। প্রকাশিত ফলাফলে দেখা যায়, খাতা চ্যালেঞ্জ করা ১ হাজার ৯১২ জন পরীক্ষার্থীর ফলাফলে পরিবর্তন এসেছে। তাদের মধ্যে নতুন করে জিপিএ-৫ পেয়েছেন ১৩৯ জন। এছাড়া প্রথম প্রকাশিত ফলাফলে ফেল করা পরীক্ষার্থীদের মধ্যে খাতা চ্যালেঞ্জ করে পাস করেছেন ৯৯১ জন শিক্ষার্থী।

অধ্যাপক খন্দোকার এহসানুল কবির বলেন, অনেক সময় একজন পরীক্ষার্থী ভালো নম্বর পেলেও তা হিসাব কষতে বা নির্ধারিত জায়গায় বসাতে ভুল হতে পারে। খাতা যারা দেখেন, তারাও তো মানুষ। তবে আমরা কেউই এ ধরনের ভুল ও ত্রু টিপূর্ণ ফলাফল প্রত্যাশা করি না। এজন্য যেসব শিক্ষক খাতা দেখায় ভুল বা অবহেলা করেছেন, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

ঢাকা বোর্ড সূত্র জানায়, পুনর্নিরীক্ষণ প্রক্রিয়ায় খাতা নতুন করে মূল্যায়ন করা হয় না। বরং নম্বর সঠিকভাবে যোগ হয়েছে কি না, কোনো প্রশ্নের নম্বর বাদ পড়েছে কি না এবং ওএমআর শিটে নম্বর সঠিকভাবে উঠেছে কি না- এসব যাচাই করে প্রয়োজনে সংশোধিত ফল প্রকাশ করা হয়।

Lading . . .