Advertisement

নারী প্রতিনিধিত্বহীন ঐকমত্য কমিশন

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর

প্রকাশ: ২৩ আগস্ট, ২০২৫

নারী প্রতিনিধিত্বহীন ঐকমত্য কমিশন
নারী প্রতিনিধিত্বহীন ঐকমত্য কমিশন

ঢাকা: তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা রাশেদা কে. চৌধুরী বলেছেন, ভোট গুরুত্বপূর্ণ নাগরিক অধিকার। নারীর অধিকার প্রশ্নে ভোট বর্জন কোনো সমাধান নয়।

তিনি বলেন, জাতীয় ঐকমত্য কমিশনে নারী প্রতিনিধিত্বের অনুপস্থিতি নারীর জন্য অপমানজনক।

শনিবার (২৩ আগস্ট) রাজধানীর এফডিসিতে ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির আয়োজনে ‘সংরক্ষিত নারী আসনে সরাসরি নির্বাচন হলেই নারীর ক্ষমতায়ন সুরক্ষিত হবে’ শীর্ষক ছায়া সংসদ প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে তিনি এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনটির চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ।

রাশেদা কে. চৌধুরী অভিযোগ করে বলেন, ঐকমত্য কমিশন রাজনৈতিক ইস্যুতে ব্যস্ত থাকলেও নারী ইস্যু অবহেলিত। আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত নীতি হলো-নারীকে বাদ দিয়ে নারীর ব্যাপারে কোনো সিদ্ধান্ত নয়। অথচ কমিশনে সেটি অনুপস্থিত।

তিনি জানান, গত ৩ আগস্ট ৬৭টি নারী সংগঠন কমিশনে নারীর ক্ষমতায়ন নিয়ে প্রস্তাব দিলেও কোনো সাড়া মেলেনি। রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গেও তারা কোনো আলোচনা করতে পারেনি।

এ পরিস্থিতিতে কমিশন ঘেরাও ছাড়া বিকল্প নেই বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

রাশেদা কে. চৌধুরী আরও বলেন, রাজনৈতিক দলগুলো জাতীয় নির্বাচনে ৩৩ থেকে ৫০ শতাংশ নারী মনোনয়নের প্রস্তাব উপেক্ষা করছে। বাস্তবে দলগুলো ৫ থেকে ৭ শতাংশ নারীকে মনোনয়ন দিয়ে এটিকে দয়া বা দাক্ষিণ্য হিসেবে দেখাচ্ছে। বিচার, সংস্কার ও নির্বাচন প্রশ্নে আস্থার সংকট রয়ে গেছে। নারীকে কেবল রাষ্ট্রের কাছে নয়, পরিবার, সমাজ ও প্রতিষ্ঠানেও ক্ষমতায়নের দাবি তুলতে হবে।

হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ বলেন, সংরক্ষিত নারী আসনে বিদ্যমান ব্যবস্থা প্রকৃতপক্ষে সরাসরি নির্বাচন নয়, বরং দলীয় মনোনয়ন বা সিলেকশনের মাধ্যমে এমপি হওয়া। এতে ভোটাররা নারী প্রার্থীর প্রকৃত জনপ্রিয়তা বা দক্ষতা যাচাই করতে পারে না।

সংসদে সংরক্ষিত নারী এমপিদের অনেকে কার্যকর ভূমিকা রাখতে ব্যর্থ হওয়ায় এ আসনগুলো মর্যাদাহীন হয়ে পড়েছে বলেও তিনি মন্তব্য করেন।

তিনি বলেন, জাতীয় ঐকমত্য কমিশনে কোনো নারী সদস্য নেই, সংলাপে অংশ নেওয়া ৩০টিরও বেশি দলের পক্ষে কোনো নারী প্রতিনিধিকে দেখা যায়নি। রাজনৈতিক দলগুলোর সদিচ্ছা ছাড়া সংসদে নারীর আসন বৃদ্ধি, সরাসরি নির্বাচন ও ক্ষমতায়ন সম্ভব নয়। এ কারণে নারী সংগঠনগুলোকে বিএনপি, জামায়াত, এনসিপি-সহ প্রধান দলগুলোর সঙ্গে সরাসরি সংলাপের উদ্যোগ নিতে হবে।

ছায়া সংসদ প্রতিযোগিতায় মানারাত ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির বিতার্কিকরা অতীশ দীপঙ্কর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের দলকে পরাজিত করে বিজয়ী হয়।

অনুষ্ঠানে বিচারক ছিলেন অধ্যাপক আবু মুহাম্মদ রইস, সাংবাদিক মাঈনুল আলম, মাইদুর রহমান রুবেল, নিশাত সুলতানা ও জান্নাতুল বাকেয়া কেকা।

শেষে বিজয়ী দলকে ট্রফি, ক্রেস্ট ও সনদপত্র তুলে দেওয়া হয়।

এমএমআই/এসআইএস

Lading . . .