Advertisement

চবি কাণ্ডে গ্রেফতার ৮

যুগান্তর

প্রকাশ: ৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

24obnd

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) ও স্থানীয় গ্রামবাসীর মধ্যে টানা দুই দিনের সংঘর্ষের ঘটনায় দায়ের করা মামলায় ৮ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বুধবার (৩ সেপ্টেম্বর) দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেন হাটহাজারী মডেল থানার উপ-পরিদর্শক রুপন নাথ।

এর আগে গত মঙ্গলবার (২ সেপ্টেম্বর) রাতে তাদের হাটহাজারীর বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে গ্রেফতার করা হয়েছে।

গ্রেফতারকৃতরা হলেন- মো. ইমরান হোসেন প্রকাশ এমরান হোসেন (৩৫), হাসান প্রকাশ হাসাঈন (২২), রাসেল প্রকাশ কালো রাসেল (৩০), মো. আলমগীর (৩৫), মো. নজরুল ইসলাম (৩০), মো. জাহেদ (৩০), মো. আরমান (২৪) ও দিদারুল আলম (৪৬)।

হাটহাজারী সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কাজী মো. তারেক আজিজ বলেন, মঙ্গলবার দিবাগত রাতে হাটহাজারী থানার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে স্থানীয় গ্রামবাসী ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় দায়ের করা মামলায় ৮ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গ্রেফতার ৮ জনের মধ্যে মামলার ৩ জন এজাহারভুক্ত আসামি ও ৫ জন তদন্তে প্রাপ্ত আসামি রয়েছেন।

এর আগে গত ১ সেপ্টেম্বর রাতে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে গ্রামবাসীর সংঘর্ষের ঘটনায় ১ হাজার ৯৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা করে কর্তৃপক্ষ। বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেপুটি রেজিস্ট্রার (নিরাপত্তা) আবদুর রহিম বাদী হয়ে হাটহাজারী থানায় এই মামলা করেন। এতে ৯৫ জনের নাম উল্লেখ করা হয় এবং অজ্ঞাতপরিচয়ের আসামি করা হয় আরও এক হাজার জনকে।

প্রসঙ্গত, চবির এক ছাত্রীকে ভাড়া বাসার দারোয়ান মারধরের ঘটনাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ হয় বলে শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করলেও মামলার এজাহারে তা উল্লেখ করা হয়নি। ছাত্রীকে মারধরের বিষয়টি এজাহারে উল্লেখ না করার ব্যাপারে জানতে চাইলে মামলার বাদী আবদুর রহিম বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী এজাহার লেখা হয়েছে।

হাটহাজারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু মাহমুদ কাওসার হোসেন মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেন। মামলায় উল্লেখ করা আসামিদের মধ্যে স্থানীয় জোবরা গ্রামের বাসিন্দা যুবলীগ নেতা মো. হানিফ, মো. ইকবাল, মো. রেজাউল, মো. সরোয়ার, সোলাইমান, মহিউদ্দিন, খোরশেদ, জিসান ও আরমান রয়েছেন।

গত শনিবার দিবাগত রাত সোয়া ১২টা থেকে পরদিন দুপুর পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের ২ নম্বর গেট এলাকায় স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের কয়েক দফা সংঘর্ষ ও পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রীকে মারধরের অভিযোগ থেকে সংঘর্ষের সূত্রপাত।

সংঘর্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক মো. কামাল উদ্দিন, প্রক্টর অধ্যাপক তানভীর মোহাম্মদ হায়দার আরিফ ও অন্তত ২ শতাধিক শিক্ষার্থী আহত হয় বলে নিশ্চিত করেন চবি মেডিকেল প্রধান ডা. আবু তৈয়ব। এর মধ্যে ৩ জনের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় শুরুতে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) রাখা হয়। পরে অবস্থার উন্নতি হওয়ায় ২ জনকে বেডে স্থানান্তর করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসক।

এদিকে স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, এ ঘটনায় শতাধিক স্থানীয় বাসিন্দা আহত হন। উক্ত ঘটনার ক্ষোভ প্রশমিত করতে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস ও আশপাশের এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। মোতায়েন করা হয়েছে তিন স্তরের নিরাপত্তা বাহিনী ও সেনাবাহিনীর অন্তত ১০ প্লাটুন সৈন্য। বৃহস্পতিবার পর্যন্ত সব বিভাগের পরীক্ষা বন্ধ ঘোষণা করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

Lading . . .