অবকাঠামোগত উন্নয়ন, জমি অধিগ্রহণ এবং পরিবহন সংকট নিরসনের দাবিতে আবারও সড়ক অবরোধ করেছেন বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (ববি) শিক্ষার্থীরা।

বুধবার বিকেল ৫টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রাউন্ড ফ্লোরে শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ সমাবেশ ও মানববন্ধন করেন।

পরে বিক্ষোভ মিছিল ক্যাম্পাসসংলগ্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে ঢাকা–কুয়াকাটা মহাসড়ক অবরোধ করে।

জানা যায়, গত ২৮ জুলাই থেকে এ আন্দোলনের সূচনা হয়।

পরদিন (২৯ জুলাই) সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা তিন দফা দাবি উত্থাপন করেন। এরপর থেকে ধারাবাহিকভাবে মানববন্ধন ও সড়ক অবরোধ কর্মসূচি পালন করে আসছেন তারা। আজও একই দাবিতে বিক্ষোভ শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের তিন নম্বর গেটের সামনে মহাসড়ক অবরোধ করা হয়। এ সময় শিক্ষার্থীরা বিশেষ করে আবাসন, পরিবহন ও শ্রেণিকক্ষ সংকটের মতো মৌলিক সমস্যার সমাধানে প্রশাসনের নীরব ভূমিকায় তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেন।

ইতিহাস বিভাগের শিক্ষার্থী মোশাররফ হোসেন বলেন, “৫ আগস্টের পর আমরা ভেবেছিলাম বৈষম্যহীন বাংলাদেশে প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয় সমানভাবে সুবিধা পাবে। কিন্তু দেখা যাচ্ছে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ হাতে গোনা কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয় ছাড়া অন্যগুলো অবহেলিত। ১৫ বছরেও বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় যে গুরুত্ব পাওয়ার কথা ছিল, তা পায়নি। আমরা আর বঞ্চিত থাকতে চাই না, আমাদের ন্যায্য অধিকার চাই। শান্তিপূর্ণ আন্দোলন করেও কোনো পদক্ষেপ না দেখে আমরা হতাশ। দ্রুত সমাধান না হলে আমরা অনির্দিষ্টকালের জন্য দক্ষিণবঙ্গ ব্লকেড করতে বাধ্য হবো।”

অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষার্থী ভূমিকা সরকার বলেন, “বিভিন্ন সময়ে আমরা আল্টিমেটাম দিয়েছি, কিন্তু সবকিছুই আশ্বাসে আটকে আছে। প্রশাসন থেকে রাষ্ট্র—কেউ আমাদের সংকটে নজর দিচ্ছে না। জনদুর্ভোগ হলেও রাষ্ট্রের দৃষ্টি আকর্ষণে আমরা এই কর্মসূচি দিতে বাধ্য হচ্ছি। লিখিত আশ্বাস না পাওয়া পর্যন্ত আমাদের আন্দোলন চলবে।”

এ ছাড়া আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ না নিলে আগামীকাল থেকে দক্ষিণবঙ্গ অচল করে দেওয়ার মতো কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।

ইএইচ