Advertisement
  • হোম
  • শিক্ষা
  • ক্যাম্পাসগুলোতে অস্থিরতার পেছনে অশুভ তৎপরতা থাকতে ...

ক্যাম্পাসগুলোতে অস্থিরতার পেছনে অশুভ তৎপরতা থাকতে পারে

দৈনিক বর্তমান

প্রকাশ: ২ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

24obnd
বর্তমান প্রতিবেদক:
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়, কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় এবং রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে চলমান অস্থিরতার পেছনে সুযোগ সন্ধানীদের কালো হাত থাকতে পারে বলে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ছাত্রনেতারা। গত শনি ও রবিবার চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ওপর বর্বর সন্ত্রাসী হামলার প্রতিবাদে আয়োজিত মানববন্ধনে বক্তারা এমন সন্দেহ প্রকাশ করেন।
সোমবার দুপুরে চবির সাবেক শিক্ষার্থী সাংবাদিক কামরুজ্জামান বাবলুর সঞ্চালনায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে আয়োজিত মানববন্ধনে বক্তব্য দেন চাকসুর সাবেক জিএস ও ডাকসুর সাবেক ভিপি, নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না, এবি পার্টির চেয়ারম্যান ও চবির সাবেক ছাত্রনেতা মজিবুর রহমান মঞ্জু, জেএসডি সাধারণ সম্পাদক ও চবির সাবেক ছাত্রনেতা শহিদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন, চবির শিক্ষক অধ্যাপক শাহ আলম, সাংবাদিক নেতা বুরহান উদ্দিন উদ্দিন ফয়সল, জনপ্রিয় অনলাইন একটিভিস্ট ড. ফয়জুল হক, সাংবাদিক ফয়েজ উল্লাহ ভুঁইয়া, ইউসুফ আরেফীন, সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার আলি আক্কাস, এডভোকেট রায়হান সোবহান, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের গবেষণা কর্মকর্তা ইউসুফ রনি, টিকে গ্রুপ কর্মকর্তা ইমতিয়াজ ইমতু, প্রমুখ।
মাহমুদুর রহমান মান্না তার বক্তব্যে বলেন, ১৫০০ শিক্ষার্থীর জীবনের বিনিময়ে অর্জিত অভ্যুত্থানের পর ক্যাম্পাসে এমন হিংস্র ঘটনা মেনে নেয়া যায় না। চবিতে গত দুইদিনের ঘটনায় আহত কোন ছাত্র মারা গেলে তার দায় রাষ্ট্রকে নিতে হবে, কারণ আইন শৃংখলা বাহিনীর দায়িত্বে অবহেলার কারণে এমন নিন্দনীয় ঘটনা ঘটেছে। পুলিশ কোন পরিবর্তন হয়নি উল্লেখ করে তিনি বলেন, প্রধান উপদেষ্টার ফোন করার পর চবিতে সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হল অথচ দুইদিন ধরে সংঘর্ষ চলছিল।
তিনি বলেন, এভাবে দেশ চলতে পারে না। একইসাথে তিন বিশ্ববিদ্যালয়ের গন্ডগোল চলছে অথচ সরকারের দৃশ্যমান কোন ভূমিকা নেই।
তিনি বলেন, গত ১৫ বছর এই পুলিশ বিরোধী দলের গোপন সব খবর পেয়ে যেত, এখন ফ্যাসিস্টদের খবর পায় না কেন?
ক্যাম্পাসগুলোতে সংকট তৈরি করে অমানিশা আনার চেষ্টা করা হচ্ছে কি না প্রশ্ন রেখে তিনি বলেন, নির্বাচন আসলে সংকট আরো বাড়তে পারে। চবি প্রশাসন এবং শিক্ষার্থীদের সাথে থাকার প্রত্যয় জানিয়ে তিনি বলেন, শিক্ষার্থীরা মাথা নত করবে না।
মজিবুর রহমান মঞ্জু বলেন, গত দুই রাত নির্ঘুম কাটিয়েছি, আইন শৃংখলা বাহিনীর সাড়া না পেয়ে চবির শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা চরম হুমকির মধ্যে ছিল। বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠায় স্থানীয়দের অবদান আছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এ ঘটনায় রাজনৈতিক রূপ দিয়েছে সুযোগ সন্ধানীরা। নইলে যাদের টাকায় সংসার চলে তাদেরকে এমিন নির্মম আঘাত করত না জোবরাবাসী। চবি এলামনাই এসোসিয়েশনকে জরুরি পদক্ষেপ নেয়ার পরামর্শ দেন তিনি।
পুলিশ ও সেনা প্রশাসন অভিমান করে চবির ঘটনাস্থলে যায় নি এটা ক্ষমার অযোগ্য মন্তব্য করে তিনি বলেন, রাষ্ট্রের বেতনভুক্ত হয়ে ছাত্রদের মার খাইয়েছে এটা অবিশ্বাস্য। তিনি বলেন, রাষ্ট্র অভিমানের জায়গা নয়। চবিতে হলার ঘটনায় বিচার বিভাগীয় তদন্ত দাবি করে তিনি বলেন, দীর্ঘমেয়াদি স্থিতিশীলতার জন্য স্থানীয়দের সাথেও কথা বলতে হবে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে।
শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন বলেন, চবিতে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনায় উদ্দেশ্যমূলকভাবে আইন শৃংখলা বাহিনী নীরব ছিল। সব ধরনের সন্ত্রাসকে শক্ত হাতে দমন করার দাবি জানান তিনি। এই ধরনের ঘটনা নির্বাচন বানচালের চক্তান্ত হতে পারে বলেও শংকা প্রকাশ করেন তিনি।

আরও পড়ুন

Lading . . .