Advertisement

ঢাবি উপাচার্যের বক্তব্য বিকৃতভাবে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর

প্রকাশ: ২৩ আগস্ট, ২০২৫

ঢাবি উপাচার্যের বক্তব্য বিকৃতভাবে
ঢাবি উপাচার্যের বক্তব্য বিকৃতভাবে

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) কালো দিবস উপলক্ষে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খানের দেওয়া বক্তব্য বিকৃতভাবে উপস্থাপন হয়েছে বলে জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

প্রতিষ্ঠানের জনসংযোগ দপ্তরের উপ-পরিচালক ফররুখ মাহমুদের পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এই বিকৃতির প্রতিবাদ জানানো হয়।

এতে বলা হয়, শনিবার (২৩ আগস্ট) ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র (টিএসসি) মিলনায়তনে উল্লিখিত আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

অনুষ্ঠান শেষে বের হওয়ার পথে সাংবাদিকরা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খানের কাছে ঢাবি কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনের বিষয়ে জানতে চান।

ঢাবি উপাচার্য এ বিষয়ে সুস্পষ্ট বক্তব্য দেন। কিন্তু কয়েকটি গণমাধ্যম তার বক্তব্য বিকৃতভাবে প্রচার করে। জনমনে বিভ্রান্তি নিরসনের লক্ষ্যে এ বিষয়ে উপাচার্যের বক্তব্য হুবহু তুলে ধরা হলো।

ঢাবির উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খান বলেন, ডাকসুর আয়োজন যেকোনো বিবেচনায় চ্যালেঞ্জিং। আমরা প্রতিনিয়ত চেষ্টা করছি, সবার জন্য ভালো পরিবেশ তৈরি করে এগিয়ে যেতে। প্রতিনিয়ত কাজ করছি। শুক্রবার (২২ আগস্ট) রাতেও ইলেকশন কমিশন, সিনিয়র ম্যানেজমেন্ট টিমসহ সবাইকে নিয়ে বসেছিলাম, হল প্রভোস্টরাও ছিলেন। সমস্যা সমাধানে প্রতিনিয়ত কাজ করছি। বড় দাগে যে কনসার্নগুলো এসেছে সেগুলোকে আমরা এক এক করে অ্যাডড্রেস করার চেষ্টা করছি। নিখুঁত পরিবেশ আপেক্ষিক একটি বিষয়। এটা চলমান। ৯-১০ মাস ধরে সবার সঙ্গে আলাপ আলোচনা করে আমরা সবাই মিলে মাঠে নেমেছি। সমস্যা আসছে, সমাধানের চেষ্টা করে যাচ্ছি। ছাত্রসংগঠনগুলো যে আচরণ করেছে তাতে আমরা আশাবাদী।

উপাচার্য বলেন, অনেক রকম তাদের নিজস্ব মতভেদ, মতানৈক্য সত্ত্বেও তারা মোটা দাগে ডাকসুতে অংশ নিচ্ছে। আনন্দ ও উদ্দীপনা সাধারণ শিক্ষার্থীদের মধ্যে ছড়িয়ে পড়েছে। এটা আমাদের বিরাট একটা শক্তি। এটি এককভাবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন বা একক কোনো মহলের বিষয় না। এই আয়োজনে যতক্ষণ সবাই আমার হাত ধরবেন, ততক্ষণ আমি মাঠে থাকবো। যেখানে আমার হাত ছেড়ে দেবেন, আমি পরিষ্কার আপনাদের ডেকে বলে দেবো যে, এই জায়গাতে আমার বাঁধা হচ্ছে। এটি একটি জাতীয় দায়। যদিও এটি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি অনুষ্ঠান কিন্তু পুরো জাতি আমাদের দিকে তাকিয়ে আছে। এটা আমাদের কৃতজ্ঞতা। এই দায় কোনো ব্যক্তিগত দায় নয়। এটা একটি কালেকটিভ রেসপন্সিবিলিটি।

ঢাবির উপাচার্য বলেন, ছাত্রদের ব্যাপক আগ্রহ ও দাবির পরিপ্রেক্ষিতে আমরা মাঠে নেমেছি। আমরা মোটামুটি ভালো পরিবেশ রাখার জন্য যা উদ্যোগ সেটি আপনাদেরপ্রত্যেক তিন-চারদিন পরপর আপডেট আকারে জানিয়ে দেবো। এই মুহূর্তে আমরা জানি সাংবাদিকদের অনেক তথ্যের প্রয়োজন। নিয়মিতভাবে আপনাদের তথ্য জানানো হবে। ইলেকশন কমিশন আমাদের যেভাবে গাইড করবেন, আমরা সেভাবে কাজ করবো। আমরা এখন মূলত ইলেকশন কমিশনের অধীনে কাজ করছি। প্রশাসনের তরফ থেকে তাদের সর্বোচ্চ সহযোগিতা দেওয়া হচ্ছে। তাদের যেকোনো ধরনের প্রশ্ন করতে পারেন। আমার কথা পরিষ্কার, সব অংশীজনের সঙ্গে ৭০টির বেশি মিটিং-আলোচনা করে আমরা এতটুক এগিয়েছি। সবাই যতক্ষণ আমার সাথে থাকবেন, ততক্ষণ এ প্রক্রিয়া চলবে। যখন আপনি হাত ছেড়ে দেবেন, আমি সবাইকে ডেকে এনে কোন পর্যায়ে আছি সেটা আপনাদের জানিয়ে দেবো।

এমতাবস্থায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় রাখতে সবাইকে সহযোগিতা করার অনুরোধ জানিয়েছে প্রশাসন।

এএটি

Lading . . .