Advertisement

কার্জন হলের তিন কেন্দ্রে কত ভোট কাস্ট হলো?

যুগান্তর

প্রকাশ: ৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

24obnd

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচনে ভোট গ্রহণ শেষ হয়েছে। মঙ্গলবার সকাল ৮টা থেকে আটটি ভোটকেন্দ্রে ভোট গ্রহণ শুরু হয়ে শেষ হয় বিকাল ৪টার সময়। এখন ফলাফলের অপেক্ষা। ইতোমধ্যে কার্জন হলের তিনটি কেন্দ্রে কত ভোট কাস্ট হয়েছে তা প্রকাশ করেছে নির্বাচন কমিশনার।

এর মধ্যে ‎ড. মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ হলের মোট ভোটার দুই হাজার ৫ জন। এখানে ভোট গ্রহণ হয়েছে ১৬০৯। ফজলুল হক মুসলিম হলের মোট ভোটার ১৭৭২ জনের মধ্যে ভোট গ্রহণ হয়েছে ১৪৪৩। আর অমর একুশে হলের ভোটার ১৩০০ জন। এর মধ্যে ভোট গ্রহণ হয়েছে ১ হাজার ৮৩।

জুলাই গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী ডাকসু নির্বাচন উৎসব ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে শেষ হয়েছে। প্রার্থীরা পাল্টাপাল্টি অভিযোগ করলেও ভোটের বড় কোনো অনিয়মের খবর পাওয়া যায়নি।

আটটি কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত এ ভোটের ব্যালট গণনা করা হবে ১৪টি মেশিনে। এগুলোর কোনোটির স্ক্যানিং স্পিড- ঘণ্টায় ৫০০০, কোনোটির ৮০০০ পাতা। বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবন থেকে ভোটের ফল ঘোষণা করা হবে।

৪টার পর আর কাউকে কেন্দ্রে ঢুকতে দেওয়া হবে না। তবে কেন্দ্রের ভেতরে যারা লাইনে থাকবেন তারা চারটার পরেও ভোট দিতে পারবেন।

বিপুলসংখ্যক ভোটার এ নির্বাচনে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন। ডাকসু নির্বাচনে স্বচ্ছতার ঘাটতি নেই বলে জানিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক নিয়াজ আহমেদ খান। বিকাল ৩টার দিকে সিনেট ভবনের তিনটি কেন্দ্র পরিদর্শনে গিয়ে উপাচার্য সাংবাদিকদের বলেন, ইতোমধ্যে বিভিন্ন কেন্দ্রে ৭০ শতাংশের বেশি ভোট সংগ্রহ হয়েছে। চারটার পরও যেসব শিক্ষার্থী লাইনে থাকবেন, তাদের ভোট নেওয়া হবে।

উপাচার্য বলেন, কার্জন হলে ভুলক্রমে একটি ছোট সমস্যা হয়েছে। তার জন্য আমরা সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নিয়েছি। তবু এ ঘটনার আমরা পুনরায় তদন্ত করে কেউ জড়িত থাকলে ব্যবস্থা নেব।

উল্লেখ্য, কার্জন হলে এক ভোটারকে দুটি ব্যালট দেওয়া হয়েছিল। পরে পোলিং অফিসারকে প্রত্যাহার করা হয়।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রবেশপথে চেকপোস্ট বসানো হয়। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সেখানে মোতায়েন আছে। নিরাপত্তার জন্য টিএসসি এলাকায় পুলিশের একটি নিয়ন্ত্রণকক্ষ করা হয়। পাশাপাশি সব কটি প্রবেশপথে শিক্ষার্থীদের যাতায়াত নির্বিঘ্ন করতে পুলিশ সদস্যরা দায়িত্ব পালন করেন। পাশাপাশি ছিলেন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) সদস্যরা।

ডাকসুতে এবার মোট ভোটারের সংখ্যা ৩৯ হাজার ৮৭৪ জন। পাঁচ ছাত্রী হলে ১৮ হাজার ৯৫৯ আর ১৩ ছাত্র হলে এই সংখ্যা ২০ হাজার ৯১৫ জন।

ডাকসুতে ২৮টি পদের বিপরীতে মোট ৪৭১ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। যার মধ্যে বিভিন্ন পদে ৬২ জন ছাত্রী রয়েছেন। আর প্রতি হল সংসদে ১৩টি করে ১৮টি হলে মোট পদের সংখ্যা ২৩৪টি। এসব পদে ভোটের লড়াইয়ে নেমেছেন ১ হাজার ৩৫ জন।

Lading . . .