চবির ক্যান্টিনে পঁচা-বাসি খাবার, তোপের মুখে বন্ধ ঘোষণা
প্রকাশ: ১০ আগস্ট, ২০২৫

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) এএফ রহমান হলের ডাইনিং, ক্যান্টিন ও সংলগ্ন একটি দোকানের ফ্রিজ থেকে পঁচা-বাসি খাবার উদ্ধার করে প্রতিবাদ করেছে শিক্ষার্থীরা। দাবির মুখে বন্ধ করা হয়েছে ক্যান্টিন ও দোকান।
পরিদর্শন শেষে শনিবার বিকাল ৪টার দিকে ক্যান্টিন ও দোকান বন্ধ ঘোষণা করে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল বডি, এএফ রহমান ও আলাওল হলের আবাসিক শিক্ষকরা।
শিক্ষার্থীরা এএফ রহমান হলের ডাইনিংয়ের ফ্রিজ থেকে নষ্ট মুরগির ডিম, পঁচা মাছের ডিম ও সিগারেটের প্যাকেট উদ্ধার করে। এছাড়া সংলগ্ন আলম মিয়ার দোকানের ফ্রিজ থেকে বাসি মাংসের তরকারি, ঝোল, খিচুড়ি এবং ক্যান্টিন থেকে অস্বাস্থ্যকর খাবার ও তেল উদ্ধার করে।
সমাজতত্ত্ব বিভাগের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী আশরাফুল ইসলাম বলেন, তারা পঁচা-বাসি খাবারগুলো ফ্রিজে রেখে ২-৩ দিন পরে পরিবেশন করে। পাশাপাশি খাবারে কৃত্রিম রঙ মেশায় যাতে শিক্ষার্থীরা আকৃষ্ট হয়ে সেগুলো খায়।
রাজনীতি বিজ্ঞান বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী আব্দুল আওয়াল বলেন, এখানে খাবারের পরিচ্ছন্নতা ও মান ঠিক নেই। এটা দীর্ঘদিনের সমস্যা। আজকে আমাদের একজন প্রতিবাদ করলে দোকানের মালিক তাকে বলেছে, খাইলে খান না খাইলে চলে যান। আমরা চাই হলগুলো প্রকৃতার্থেই হল হয়ে উঠুক।
এএফ রহমান হলের ডাইনিং ম্যানেজার জয়নাল আবেদিন বলেন, আমি গতকাল ৪০০ ডিম নিয়ে এসেছি। ডিম সিদ্ধ করার পর ছিলে যেগুলো নষ্ট পাই সেগুলো আলাদা করে রাখি যার কাছ থেকে এনেছি তাকে দেখানোর জন্য।
দোকানদার আলম মিয়া বলেন, ফ্রিজের মোরগটি একজন শিক্ষার্থী রেখেছিল ১০-১২ দিন আগে। সে নিয়ে যাবে বলেছিল, নেয়নি। আর আমার এখানে যেগুলো পেয়েছে এগুলো আর কখনো হবে না আশা করছি। পরিষ্কার করে ফেলব।
এএফ রহমান হলের হাউজ টিউটর মোহাম্মদ মোর্শেদুল হক বলেন, তারা হাইজিন মেইনটেইন করে দোকান চালাচ্ছে না। এখানে ক্যান্টিনে এবং দোকানে খুবই বাজে অবস্থা দেখলাম। খাবারগুলো পরিত্যক্ত খাবারের মতো এবং যেখানে রাখা হয় এগুলো খুবই আন-হাইজিন অবস্থায় রাখা।
তিনি আরো বলেন, ক্যান্টিন ও দোকানের মালিককে জিজ্ঞেস করলে তারা সন্তোষজনক উত্তর দিতে পারেনি। ছাত্রদের স্বার্থ ও দাবির প্রেক্ষিতে আজকে থেকে ক্যান্টিন ও দোকান বন্ধ থাকবে।
এসময় শিক্ষার্থীরা পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা নিশ্চিত, হলে সুপেয় পানির পর্যাপ্ত ব্যবস্থাসহ ১৩টি দাবি পেশ করেন।