Advertisement
  • হোম
  • বিনোদন
  • এআই-এর অপব্যবহারে কঠোর শাস্তি চাইলেন মেহজাবীন

এআই-এর অপব্যবহারে কঠোর শাস্তি চাইলেন মেহজাবীন

চ্যানেল আই

প্রকাশ: ৮ আগস্ট, ২০২৫

প্রযুক্তির কল্যাণে বিশ্বজুড়ে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স (কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা) অর্থাৎ এআই-এর ব্যবহার বেড়েছে। এর দ্বারা মানুষ যেমন সুবিধা পাচ্ছে, তেমনি কিছু মানুষ এটিকে নেতিবাচকভাবে উপস্থাপন করছে; ফলে অনেকে অনলাইনে বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়ছেন।

এআই দিয়ে তৈরি ভুয়া ছবি বা ভিডিও অনেকের মাথা ব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে! প্রায়ই সোশ্যাল মিডিয়াতে চোখে পড়ে এআই-এর মাধ্যমে মনগড়া ভাবনা নিয়ে তারকাদের ছবি কিংবা ভিডিও তৈরি করা হয় যেগুলো আদতে কোনো ভিত্তি নেই। অনেকে না বুঝে সেগুলো বিশ্বাস করছেন।

এ ব্যাপারে সাধারণ মানুষের সচেতনতা ও প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করে জনপ্রিয় অভিনেত্রী মেহজাবীন চৌধুরীর তার অফিশিয়াল ফ্যান পেজে বৃহস্পতিবার (৭ আগস্ট) দুপুরে একটি পোস্ট দিয়েছেন।

মেহজাবীন লিখেছেন, প্রযুক্তি আজ আমাদের জীবনের প্রতিটি কোণে ছড়িয়ে পড়েছে। আমরা অনেকেই এর ভালো দিকগুলো নিয়ে আশাবাদী, কিন্তু এর অন্ধকার দিকটা আর অস্বীকার করার সুযোগ নেই। এআই এখন বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী প্রযুক্তি। কিন্তু এটা যখন ভুল মানুষের হাতে পড়ে, তখন তা ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। অনেকেই এখন এআই ব্যবহার করে সেলিব্রিটিদের বা নারীদের ছবি ও ভিডিও বিকৃত করছে।

তিনি বলেন, এগুলো ইন্টারনেটে ছড়িয়ে পড়ছে, আর যারা বুঝতে পারে না এগুলো ভুয়া, তারা বিশ্বাস করে, মন্তব্য করে, অপমান করে।

প্রতিনিয়ত এই সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে অনেককে। মেহজাবীন বলেন, এটা এখন নিত্যদিনের ঘটনা। এমন মানুষদের সংখ্যা বাড়ছে, যারা সারাদিন ধরে শুধুই এসব করে বেড়ায়। তারা ভুল তথ্য ছড়ায়, বিভ্রান্তি তৈরি করে, মানুষের ব্যক্তিগত গোপনীয়তা লঙ্ঘন করে। এটা শুধু অনৈতিক না, এটা একেবারে অপরাধ।

তিনি বলেন, এই ধরনের কর্মকাণ্ডকে ডিজিটাল সহিংসতা বলা যায়। এআই থামানো যাবে না, কিন্তু এর অপব্যবহার রোধ করা দরকার। আমাদের দরকার কঠোর আইন, শক্ত প্রতিরোধ, আর জনসচেতনতা। যারা এসব করে, তাদের চিহ্নিত করে জবাবদিহির আওতায় আনতে হবে। আমি আশা করি, আমাদের দেশে দ্রুত এমন নিয়ম-কানুন ও শাস্তির ব্যবস্থা হবে, যা সবাই—বিশেষ করে নারীদের জন্য—একটি নিরাপদ ও সম্মানজনক পরিবেশ তৈরি করবে।

Lading . . .