প্রকাশ: ৯ ডিসেম্বর, ২০২৫

২০২৫ সালও বাংলাদেশের চলচ্চিত্র অঙ্গনের জন্য রয়ে গেলো ঈদ-কেন্দ্রিক। বছরজুড়ে প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেয়েছে মোট ৪৫টি সিনেমা। এর মধ্যে ব্যবসায়িক সাফল্য বিবেচনায় মাত্র পাঁচটি চলচ্চিত্র দর্শকের মনে আলোড়ন তুলতে পেরেছে—
বছরের প্রথম দুই মাসে আটটি চলচ্চিত্র মুক্তি পেলেও কোনো সিনেমা আলোচনায় আসতে পারেনি। দর্শকশূন্য হল, দুর্বল গল্প ও নির্মাণে বছরটি যেন হতাশার সুরে শুরু হয়।
এপ্রিলের ঈদুল ফিতরে মুক্তি পাওয়া পাঁচ সিনেমা বাংলা চলচ্চিত্রে প্রাণ ফিরিয়ে আনে। এর মধ্যে তিনটি সিনেমা ব্যবসায়িকভাবে ব্যাপক সাফল্য পায়— বরবাদ (ইন্ডাস্ট্রি হিট), জংলি (ব্লকবাস্টার) এবং দাগি (ব্লকবাস্টার)।
ঈদুল ফিতরের পর মুক্তি পাওয়া দুই সিনেমা হলে টানতে ব্যর্থ হয়।
ঈদুল আজহায় মুক্তি পাওয়া পাঁচ চলচ্চিত্রের মধ্যে দুটি প্রেক্ষাগৃহে ব্যাপক দর্শক টানে। এর একটি তাণ্ডব (ব্লকবাস্টার) এবং অন্যটি উৎসব (ব্লকবাস্টার)।
তাণ্ডব মুক্তির ১৭ দিনের মাথায় এইচডি প্রিন্ট ফাঁস হলেও সিনেমাটি শক্ত অবস্থান ধরে রাখে। অন্যদিকে ‘উৎসব’ টানা দুই মাস ধরে সিনেপ্লেক্সে চলে।
তবে ঈদের পর মুক্তি পাওয়া প্রায় ২২টি সিনেমার মধ্যে কোনোটি দর্শকের মন জয় করতে পারেনি। অধিকাংশ চলচ্চিত্রই ছিল মানহীন—যার কারণে দর্শক হলে যেতে আগ্রহ দেখায়নি।
দেশীয় প্রেক্ষাগৃহে রমরমা ব্যবসার পাশাপাশি কিছু ছবির আন্তর্জাতিক বাজারেও সাফল্য দেখা গেছে। যদিও ব্যবসায়িকভাবে সফল না হলেও কয়েকটি সিনেমা দর্শক ও সমালোচকের প্রশংসা কুড়িয়েছে।
জানুয়ারি–ফেব্রুয়ারি:
মধ্যবিত্ত, মেকাপ, কিশোর গ্যাং, রিকশা গার্ল, দায়মুক্তি, বলী, ময়না, জলে জ্বলে তারা
ঈদুল ফিতর (১ এপ্রিল):
বরবাদ, জংলি, দাগি, চক্কর, অন্তরাত্মা, জ্বীন ৩
মে–জুন:
জয়া আর শারমিন, আন্তঃনগর
ঈদুল আজহা (৭ জুন): তাণ্ডব, ইনসাফ, উৎসব, টগর, নীলচক্র, এশা মার্ডার
জুলাই–ডিসেম্বর:
অন্যদিন, আলী, উড়াল, জলরঙ, ডট, আমার শেষ কথা, নন্দিনী, বাড়ির নাম শাহানা, ফেরেস্তে, সাবা, স্বপ্নে দেখা রাজকন্যা, উদীয়মান সূর্য, বান্ধব, ব্যাচেলর ইন ট্রিপ, অন্ধকারে আলো, ডাইরেক্ট অ্যাটাক, সাত ভাই চম্পা আদি, কন্যা, বেহুলা দরদী, মন যে বোঝে না, সাইলেন্স, গোয়ার, দেলুপি, খিলাড়ি।


