খলনায়ক থেকে কিংবদন্তি: স্ট্যাম্পের মৃত্যুতে শোকের ছায়া
প্রকাশ: ১৮ আগস্ট, ২০২৫

ছয় দশকের চলচ্চিত্র ক্যারিয়ারে স্ট্যাম্প অভিনয় করেছেন দ্য এডভেঞ্চারস অব পৃসিলা, কুইন অব ডেজার্ট, ওয়াল স্ট্রিট, লাস্ট নাইট ইন সহো এর মতো চলচ্চিত্রে।
ব্রিটিশ অভিনেতা টেরেন্স স্ট্যাম্পকে স্মরণ করে হলিউডের অসংখ্য তারকা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন।
পরিবারের বরাতে তার মৃত্যুর সংবাদ জানিয়ে বলা হয়,“স্ট্যাম্প রবিবার (১৭ আগস্ট) সকালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন। পরিবারের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “তিনি একজন অভিনেতা এবং লেখক হিসেবে অসাধারণ কাজ রেখে গিয়েছেন, যা বছরগুলো ধরে মানুষকে প্রভাবিত করবে।”
বাফটা জানিয়েছে, স্ট্যাম্পের মৃত্যুর খবর শুনে তারা ‘মর্মাহত’ এবং ১৯৬৩ ও ১৯৯৫ সালে তার দুটি বাফটা মনোনয়নকে স্মরণ করেছে।
‘সুপারম্যান’ ছবির সহঅভিনেত্রী সারা ডগলাস স্ট্যাম্পকে “অসাধারণ সুন্দর ও প্রতিভাবান” হিসেবে বর্ণনা করেন। তিনি ইনস্টাগ্রামে লিখেছেন, “টেরেন্স আমাদের ছেড়ে চলে গেছেন, এটি জানার পর খুবই দুঃখ লাগছে। আমি তাঁর কাছ থেকে অনেক কিছু শিখেছি। আমার ভালবাসা ও সমবেদনা তার যত্ন নেওয়া সকলের প্রতি।”
১৯৩৮ সালের ২২ জুলাই লন্ডনের ইস্ট এন্ডে জন্ম নেন স্ট্যাম্প। তিনি প্রাথমিক শিক্ষা শেষে বিজ্ঞাপনের ক্যারিয়ারে যোগ দেন। পরে নাট্য স্কুলের স্কলারশিপ পান এবং ১৯৬০-এ বিলি বাড ছবিতে প্রধান চরিত্রে অভিনয় করে খ্যাতি পান। এই অভিনয়ের জন্য তিনি সেরা সহকারী অভিনেতার অস্কার মনোনীত হন এবং সেরা নতুন প্রতিভা হিসেবে গোল্ডেন গ্লোব অর্জন করেন।
তিনি ‘সুপারম্যান’ এবং ‘সুপারম্যান ২’ তে জেনারেল জড, দ্য কালেক্টর-এ ফ্রেডি ক্লেগ এবং ফার ফ্রম দ্য মেডিং ক্রাউড-এ সার্জেন্ট ট্রয় চরিত্রে অভিনয় করে খলনায়ক হিসেবে খ্যাতি অর্জন করেন।
ষাটের দশকে স্ট্যাম্প তার চেহারা, ফ্যাশন সচেতনতা এবং উচ্চ-প্রোফাইল সম্পর্কের জন্য পরিচিত ছিলেন। তিনি অভিনেত্রী জুলি ক্রিস্টি এবং সুপারমডেল জিন শ্রিম্পটন এর সঙ্গে সম্পর্ক করেছিলেন।
তিনি শোড্যানি হিসেবে জেমস বন্ড চরিত্রে সীন কনরি’র পরে অভিনয় করার সুযোগ পান, তবে তার অভিনয় ধারা নিয়ে নির্মাতা হ্যারি সল্টজম্যান দ্বিধাগ্রস্ত হয়ে ডাকে নি।
পরবর্তী দশকে তিনি ইতালিতে কাজ করেন পরিচালক পিয়ের পাওলো পাসোলিনি এবং ফেডেরিকো ফেলিনি-র সঙ্গে। তবে ১৯৬০-এর দশকের শেষে লন্ডনে ফিরে তার তারকা ক্ষমতা হ্রাস পায়।
পরবর্তী সময়ে তিনি অভিনয় থেকে দূরে যান, ভারত ঘুরে ইয়োগা শিক্ষা নেন এবং একটি আধ্যাত্মিক আশ্রমে থাকতে শুরু করেন।
পরিচালক স্টেফান এলিয়ট জানিয়েছেন, স্ট্যাম্প ‘প্রিসিলার’ সিকোয়েলে অভিনয় করতে প্রস্তুত ছিলেন। তিনি ৮৭ বছর বয়সী স্ট্যাম্পকে “জীবনের সবচেয়ে ফিট মানুষ’ হিসেবে বর্ণনা করেন। যিনি “কখনো মদ পান করেননি”। – বিবিসি