‘নিজেকে গুছিয়ে নেয়ার চেষ্টা করছি’ ধর্মেন্দ্রর জন্মদিনে হেমা
প্রকাশ: ৯ ডিসেম্বর, ২০২৫

এই খবরটি পডকাস্টে শুনুনঃ
গেল ২৪ নভেম্বর বলিউড হারিয়েছে এক অনন্য কিংবদন্তী ধর্মেন্দ্রকে। প্রায় ছয় দশকের অভিনয় জীবনে যিনি ‘শোলে’ থেকে ‘চুপকে চুপকে’, ‘গুড্ডি’ থেকে শুরু করে সাম্প্রতিক ‘রকি ওর রানি কি প্রেম কাহানি’ এবং ‘তেরি বাতো মে অ্যায়সা উলঝা জিয়া’র মত একের পর এক ছবিতে অভিনয় করে গেছেন। বর্ষীয়ান সেই অভিনেতার প্রয়াণের ঠিক দুই সপ্তাহ পরেই এল তার জন্মদিন।
সোমবার (৮ ডিসেম্বর) ধর্মেন্দ্রর ৯০তম জন্মদিন। আর এদিনেই আবেগে ভেঙে পড়লেন তার জীবনসঙ্গী, অভিনেত্রী ও সাংসদ হেমা মালিনী।
ধর্মেন্দ্রকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানিয়ে সোশ্যাল হ্যান্ডেল এক্স এ হেমা মালিনী লেখেন, “ধরমজি। হ্যাপি বার্থডে, আমার হৃদয়” সঙ্গে একটি লাল হৃদয়ের ইমোজি। সংক্ষিপ্ত শব্দে বলা সেই অনুভূতির গভীরতা কিন্তু ছিল প্রবল।
পরের লাইনগুলিতেই স্পষ্ট হয়ে ওঠে তার শোকের ভার। ধর্মেন্দ্রর প্রয়াণের পর কেটে যাওয়া দিনগুলির কথা উল্লেখ করে হেমা লেখেন, “তুমি আমাকে ভেঙে দিয়ে চলে যাওয়ার পর দু’সপ্তাহেরও বেশি সময় পেরিয়ে গেছে। ধীরে ধীরে নিজেকে গুছিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছি, জীবনটাকে নতুন করে জোড়া লাগানোর চেষ্টা করছি এই বিশ্বাস নিয়ে যে তুমি আত্মারূপে সব সময় আমার সঙ্গেই থাকবে।”
স্বামীকে হারানোর কষ্টের মাঝেও অতীতের আনন্দময় স্মৃতিই যে তার সবচেয়ে বড় আশ্রয়, সেটাও খোলাখুলি স্বীকার করেছেন হেমা মালিনী। তিনি লেখেন, “আমাদের একসঙ্গে কাটানো আনন্দের মুহূর্তগুলো কোনওদিন মুছে যাবে না। সেগুলো বারবার মনে করলেই এক অদ্ভুত শান্তি আর সুখ পাই।”
সেই স্মৃতির মধ্যেই ফিরে তাকান তাদের পারিবারিক জীবনের দিকে। ধর্মেন্দ্রর সঙ্গে কাটানো বছরগুলির জন্য ঈশ্বরের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে হেমা লেখেন, “আমাদের দু’টি সুন্দর মেয়ের জন্য আমি কৃতজ্ঞ, যারা আমাদের একে অপরের প্রতি ভালোবাসাকে আরও দৃঢ় করেছে। এই সব সুন্দর, সুখের স্মৃতি আজীবন আমার হৃদয়ে থেকে যাবে।”
বার্তার শেষে ধর্মেন্দ্রর প্রতি তার প্রার্থনাও জানিয়েছেন হেমা মালিনী। জন্মদিনে প্রয়াত অভিনেতার জন্য ঈশ্বরের কাছে শান্তি ও আনন্দের প্রার্থনা করে তিনি লেখেন, “তোমার নম্রতা, মানবিকতা আর চওড়া হৃদয়ের জন্য তুমি যে শান্তি ও সুখের অধিকারী, ঈশ্বর যেন তা তোমাকে দান করেন।” পোস্টের সঙ্গে ভাগ করে নিয়েছেন তারা একসঙ্গে কাটানো কিছু হাসিমুখের মুহূর্তের ছবি, সেই সুখী ‘একসঙ্গে থাকা’ সময়ের নিঃশব্দ প্রমাণ।
ধর্মেন্দ্রর চলে যাওয়া শুধু তার পরিবারের জন্য নয়, বলিউডের জন্যও এক গভীর শূন্যতা। আর সেই শূন্যতার মধ্যেই আজ, জন্মদিনে, ভালবাসা আর স্মৃতির আলোয় তাঁকে আবার একবার ছুঁয়ে রাখলেন হেমা মালিনী। নীরবে, দৃঢ়ভাবে, গভীর শ্রদ্ধায়।- টাইমস নাউ


