প্রকাশ: ২৬ আগস্ট, ২০২৫

অনুষ্ঠানের সূচনা হয় মার্কিন জ্যোতির্বিজ্ঞানী কার্ল এডওয়ার্ড সেগান-এর প্রামাণ্যচিত্র Pale Blue Dot প্রদর্শনের মধ্য দিয়ে।
এই ছোট্ট প্রামাণ্যচিত্রে মহাবিশ্বে পৃথিবীর অবস্থান আর মহাবিশ্বের বিশালতা দেখানো হয়েছে। পৃথিবীবাসীকেই তাদের বাসভূমিকে নিরাপদ রাখতে হবে। অন্য কোনো গ্রহ থেকে কেউ এসে পৃথিবীর নিরাপত্তা দেবে না। কার্ল সেগানের বর্ণনায় এই অমোঘ সত্য দেখানো হয়েছে অসাধারণ এই প্রামাণ্যচিত্রে।
ড. জাহিদ হাসান অল্প কথায় কার্ল সেগান ও তার ডকুমেন্টারির বিষয় আলোচনা করে সবাইকে মুগ্ধ করেন। এরপরেই মঞ্চে আসেন এভারেস্ট জয়ী নিশাত মজুমদার। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘পৃথিবী’ কবিতাটি তিনি আবৃত্তি করেন। তাঁর আবৃত্তিতে উপস্থিত দর্শকেরা মন্ত্রমুগ্ধ হন।
আবৃত্তি শেষে মঞ্চে আসেন জাকির হোসেন তপন ও ডঃ জাহিদ হাসান। অত্যন্ত প্রাঞ্জল ও অনানুষ্ঠানিক ভঙ্গিতে তাঁরা ‘পৃথিবীতে শান্তি ও অশান্তি’ নিয়ে আলোচনা করেন। দর্শকেরা সেটা উপভোগ করেন।
জাকির হোসেন তপনের পরিচালনায় জলতরঙ্গের শিল্পীরা একে একে পরিবেশন করেন আকাশভরা সূর্যতারা বিশ্বভরা প্রাণ, ফুলগুলি কোথায় গেল, জয় হোক জয় হোক, নীল আকাশের নীচে এই পৃথিবী, আবার আসিব ফিরে, বরিষ ধরামাঝে শান্তির বারি, জাত গেল জাত গেল বলে, গৌরীশৃঙ্গ তুলেছে শির, তুমি কি দেখেছ কভু জীবনের পরাজয়, সবারে বাস রে ভালো, ‘We shall overcome’।
জলতরঙ্গের নিয়মিত সদস্যদের মধ্যে স্বপ্না নন্দী, শঙ্কর সরকার, হুমায়ূন আজম রেওয়াজ, তানভীরা আশরাফ শ্যামা, এণা রায়, শান্তনু সাহা রায়, মনজুর রশীদ, মহুয়া সমাদ্দার, শেফতা আলম অদিতি, শুক্লা দে, ফারজানা ইয়াসমিন, রামিসা চৌধুরী ও জাকির হোসেন তপন সঙ্গীতানুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন।
জাতীয় সংগীত গেয়ে অনুষ্ঠান শেষ হয়। জলতরঙ্গের সকল শিল্পী সেদিন পরেছিলেন কালো ও লাল রঙের শাড়ি ও পাঞ্জাবি/ পাজামা (সাদা) যা এই সুচিন্তিত আয়োজনের অন্তর্নিহিত বিষয়টিকে স্পষ্ট করে তুলেছে।