প্রকাশ: ৯ আগস্ট, ২০২৫

ছোট পর্দার জনপ্রিয় অভিনেতা জিয়াউল ফারুক অপূর্বর শেয়ার করা বাবা-ছেলের আবেগঘন ভিডিও নিয়ে সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নেতিবাচক মন্তব্যের ঝড় ওঠে। বিষয়টি নিয়ে অপূর্বর আইনি পদক্ষেপ নেওয়ার পর এবার মুখ খুলেছেন তার প্রাক্তন স্ত্রী ও একমাত্র সন্তান জায়ান ফারুক আয়াশের মা নাজিয়া হাসান।
এক ফেসবুক লাইভে নাজিয়া বলেন, “বাবা-ছেলের এই ভিডিও নিয়ে এত নেগেটিভিটি হবে, তা জানলে হয়তো ভিডিওটি আয়াশের বাবা আপলোড করতেন না। ৭ মাস পর বাবাকে দেখে আয়াশ যেভাবে কেঁদেছে, তার মানে এই নয় যে সে আনহ্যাপি। আবেগের প্রকাশের সাথে সুখ-দুঃখের সম্পর্ক কীভাবে টানা হলো, আমি বুঝি না।”
তিনি স্পষ্ট করে বলেন, “আমি কোনো ব্যাখ্যা দিতে আসিনি। শুধু বলতে চাই, আয়াশ স্কুলে যায়। ওর জীবনে কিছু অপ্রাপ্তি অবশ্যই আছে—বাবা-মা একসাথে না থাকার অপ্রাপ্তি। ডিভোর্স কোনো দিক দিয়েই সুখকর নয়, এটা আমাদের তিনজনের জন্যই কষ্টদায়ক। তারপরও আমরা চেষ্টা করি, যেভাবেই হোক আয়াশকে ভালো রাখতে।”
নাজিয়া জানান, আয়াশের বাবা ও দুই পরিবারের সবাই চায় শিশুটিকে কোনো ধরনের নেতিবাচকতার মধ্যে ফেলতে না হয়। “কিন্তু একটি ছোট ভিডিও ক্লিপকে ঘিরে যেভাবে নেগেটিভিটি ছড়ানো হলো, সেটা খুবই অনভিপ্রেত।”
তিনি আরও বলেন, “আয়াশ খুব হ্যাপি একটি বাচ্চা। ও আমার সাথেই থাকে, জন্মের পর থেকেই আমরা একে অপরের ছায়া। ওর বাবা ওকে খুব ভালোবাসে। ভালোবাসা বোঝানোর জন্য এক ছাদের নিচে থাকা জরুরি নয়, বরং জরুরি হলো শিশুকে শান্তি, নিরাপত্তা আর নেতিবাচকতা থেকে দূরে রাখা—যেটা আমরা চেষ্টা করছি।”
শেষে নাজিয়া বলেন, “আপনাদের কারো কাছে হয়তো আমি বা ওর বাবা অপরাধী। সেটার জন্য আমরা দুঃখিত। তবে যারা আয়াশের ভিডিও দেখে আবেগাপ্লুত হয়েছেন, তাদের প্রতিও কৃতজ্ঞ—কারণ আপনারা তাকে ভালোবাসেন বলেই এমন প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছেন।”
নাজিয়া হাসানের ফেসবুক লাইভ: