প্রকাশ: ৯ ডিসেম্বর, ২০২৫

এই খবরটি পডকাস্টে শুনুনঃ
২০২৫ সাল চলচ্চিত্রপ্রেমীদের জন্য ছিল এক অনন্য অভিজ্ঞতার বছর। সারা বিশ্বের নির্মাতারা যেখানে প্রযুক্তি, গল্পবলা, অভিনয় এবং শৈল্পিক দৃষ্টিভঙ্গিকে নতুন করে সংজ্ঞায়িত করেছেন— এবছর মুক্তিপ্রাপ্ত বেশ কিছু চলচ্চিত্র আলোচনায় এসেছে দর্শক-সমালোচক সকলের কাছে। বিবিসির চলচ্চিত্র সমালোচক ক্যারিন জেমস এবং নিকোলাস বারবার বছরের সেরা ২৫টি সিনেমা বাছাই করে তালিকা প্রকাশ করেছেন। যেখানে অ্যাকশন থ্রিলার থেকে আবেগঘন ফ্যামিলি ড্রামা এবং হৃদয়গ্রাহী কমেডি পর্যন্ত স্থান পেয়েছে। বছরের সেরা ২৫টি চলচ্চিত্রকে কেন্দ্র করেই এই বিশেষ প্রতিবেদন:
১. হ্যামনেট
ক্লোই ঝাওর এই আবেগময় চলচ্চিত্রটি এটি। দর্শককে এক ঝটকায় ১৬ শতকের জগতে নিয়ে যান নির্মাতা। ম্যাগি ও’ফ্যারেলের উপন্যাস অবলম্বনে শেক্সপিয়ারের ১১ বছর বয়সী পুত্র হ্যামনেটের মৃত্যুকে কেন্দ্র করে নির্মিত এই সিনেমা! সন্তানের মৃত্যু তার শোকগ্রস্ত পিতামাতার উপর কেমন প্রভাব ফেলে, তা সততা ও গভীরভাবে সিনেমায় তুলে ধরা হয়েছে।
২. সরি, বেবি
এই অনিন্দ্যসুন্দর ইন্ডি কমেডি-ড্রামাটি পরিচালনা করেছেন এভা ভিক্টর। যিনি প্রধান চরিত্র এগনেসকেও অভিনয় করেছেন। চলচ্চিত্রে বর্তমান সময়ের এগনেসের সাথে তার বন্ধু লিডিয়ার (নাওমি অ্যাকি) কলেজে সাক্ষাৎ ঘটে। তবে ফ্ল্যাশব্যাকে দেখানো হয় কিছু বছর আগের ঘটনা, যখন এগনেস একজন অধ্যাপকের দ্বারা যৌন হয়রানির শিকার হন।
৩. ইজ দিস থিং অন?
ব্র্যাডলি কুপার এখন পর্যন্ত তিনটি পারফর্মিং আর্ট ভিত্তিক চলচ্চিত্র পরিচালনা করেছেন। রক মিউজিক নিয়ে ‘এ স্টার ইজ বর্ন’, ক্লাসিক্যাল মিউজিক নিয়ে ‘মায়েস্ত্রো’, আর ‘ইজ দিস থিং অন?’ কমেডি জগত নিয়ে।
৪. ওয়ান ব্যাটল আফটার অ্যানাদার
বছরের সবচেয়ে আলোচিত ও সাহসী চলচ্চিত্র বলে মনে করা হচ্ছে পল থমাস অ্যান্ডারসনের ‘ওয়ান ব্যাটল আফটার অ্যানাদার’-কে। লিওনার্দো ডিকাপ্রিও, বেনিসিও ডেল টোরো, শন পেন এবং টেয়ানা টেলর অসাধারণ অভিনয়ের জন্য প্রশংসিত হয়েছেন।
৫. নো আদার চয়েস
ডোনাল্ড ওয়েস্টলেকের উপন্যাস অবলম্বনে পার্ক চ্যান-উকের এই স্যাটায়ারিক ফার্স ‘নো আদার চয়েস’। লি বিয়ং-হুন একজন কাগজ কারখানার দীর্ঘমেয়াদী ম্যানেজারের চরিত্রে অভিনয় করেছেন। হঠাৎ চাকরি হারানোর পর তিনি প্রতিদ্বন্দ্বীদের হত্যা শুরু করেন। এরপর যা ঘটে, তা ছিলো অবিশ্বাস্য!
৬. দ্য সিক্রেট এজেন্ট
ক্লেবার মেন্ডনসা ফিলহো পরিচালিত রাজনৈতিক থ্রিলার। ১৯৭৭ সালের ব্রাজিলের প্রেক্ষাপটে নির্মিত সিনেমাটি বেশ রাজনৈতিক!
৭. দ্য ভয়েস অব হিন্দ রাজাব
বেন হানিয়া নির্মিত সিনেমাটি তিউনিসিয়ার ২০২৪ সালের জানুয়ারিতে ঘটে যাওয়া একটি হৃদয়বিদারক ঘটনা তুলে ধরা হয়েছে।
৮. সেন্টিমেন্টাল ভ্যালু
স্টেলান স্কার্সগার্ড একজন স্ব-মগ্ন শিল্পী, যিনি বাবার চরিত্রে অভিনয় করেছেন। যে দেরিতে হলেও দুই কন্যার সঙ্গে সম্পর্ক গড়ার চেষ্টা করেন।
৯. ইট ওয়াজ জাস্ট এন অ্যাকসিডেন্ট
ইরানের বিখ্যাত নির্মাতা জাফর পানাহির কানজয়ী সিনেমা এটি। তার অন্য ছবির মতো এই সিনেমাটিও শেষ পর্যন্ত বেশ রাজনৈতিক!
১০. মার্টি সুপ্রিম
টিমোথি চালামেট ১৯৫০-এর দশকে নিউ ইয়র্কের লোয়ার ইস্ট সাইডে নিজস্ব চরিত্রে অভিনয় করেছেন।
১১. ওয়েক আপ ডেড ম্যান
রিয়ান জনসনের কনাইভস আউট সিরিজের তৃতীয় কিস্তি এটি। ড্যানিয়েল ক্রেগ বেনোইট ব্ল্যাঙ্কের চরিত্রে অভিনয় করেছেন।
১২. ফাদার মাদার সিস্টার ব্রাদার
বিখ্যাত ইন্ডি নির্মাতা জিম জার্মুশের চলচ্চিত্র এটি। তিনটি আলাদা গল্পে পারিবারিক সম্পর্কের সূক্ষ্মতা প্রদর্শন করে সিনেমায়।
১৩. ওয়েপন্স
বছরের অন্যতম আলোচিত সিনেমা এটি। এক অজ্ঞাত শহরে এক রাতে ১৭ শিশু হঠাৎ বেরিয়ে যায়। ঘটনার বিভিন্ন চরিত্রের দৃষ্টিকোণ থেকে প্রদর্শন সিনেমাটিকে অন্যতম আলোচিত সিনেমায় পরিণত করে।
১৪. হাইয়েস্ট ২ লোয়েস্ট
ডেনজেল ওয়াশিংটন এবং এসএপি রকি অভিনীত, স্পাইক লি পরিচালিত সামাজিক থ্রিলার।
১৫. ব্রিং হার ব্যাক
অনাথ ভাইবোনদের সঙ্গে ঘটে যাওয়া গল্পে নির্মিত এই সিনেমা। অস্ট্রেলিয়ার দ্য ফিলিপু ভাইবোনরা এটি প্রযোজনা করেছেন।
১৬. ম্যাটিরিয়ালিস্টস
সেলিন সঙের প্রায়-রোমান্টিক কমেডি, আধুনিক যুগের সম্পর্কের প্রভাব নিয়ে নির্মিত ‘ম্যাটিরিয়ালিস্টস’।
১৭. দ্য ব্যালাড অব ওয়ালিস আইল্যান্ড
ব্রিটিশ কমেডি, লটারি বিজয়ী চার্লসের গল্পে দুর্দান্ত সিনেমা এটি।
১৮. লার্কার
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে খ্যাতির অন্ধকার দিক নিয়ে মনস্তাত্ত্বিক থ্রিলার গল্পই দেখানো হয়েছে এই সিনেমায়।
১৯. কম্প্যানিয়ন
এক রাশিয়ান ধনকুবেরের দূরবর্তী বনাঞ্চলে থাকার ঘটনা নিয়ে নির্মিত এই সিনেমা।
২০. সিনার্স
রায়ান কুগলার পরিচালিত মাইকেল বি জর্ডান অভিনীত জুটির গল্প ‘সিনার্স’। ১৯৩২ সালের মিসিসিপির ঘটনা পর্দায় দেখানো হয়েছে সুনিপুনভাবে।
২১. আর্ট ফর এভরিবডি
মিরান্ডা ইউসেফের ডকুমেন্টারি এটি, শিল্পী থমাস কিঙ্কেডের অদ্ভুত কাহিনি দেখানো হয়েছে পুরো ডকুফিল্মে!
২২. ওয়ারফেয়ার
আলেক্স গারল্যান্ড এবং রে মেন্ডোজা তৈরি করেছেন একটি বাস্তব যুদ্ধভিত্তিক ড্রামা। সিনেমাটি সমালোচক মহলেও বেশ সুনাম অর্জন করে।
২৩. হোলি কাউ
ফরাসি গ্রামাঞ্চলের দুই ভাইবোনের গল্প ‘হোলি কাউ’।
২৪. ওয়ালেস এন্ড গ্রমিট: ভেঞ্জেন্স মোস্ট ফউল
আর্ডম্যানের নতুন এই ছবিতে ওয়ালেস ও গ্রমিট ফিরেছে তাদের ক্লাসিক শত্রু ফেদার্স ম্যাকগ্রাকে নিয়ে। নিক পার্ক ও মার্লিন ক্রসিংহ্যামের এই স্টপ-মোশন ছবিতে আছে পরিচিত হাস্যরস, উদ্ভট যন্ত্রপাতি আর নস্টালজিয়ার ছোঁয়া।
২৫. অন বিকামিং আ গিনি ফউল
রুঙ্গানো নায়োনির নতুন চলচ্চিত্র এটি। শহর থেকে গ্রামে ফিরে আসা শুলার গল্প নিয়ে দুর্দান্ত নির্মাণ এটি। – বিবিসি


