ছবি মুক্তি দিতে বাংলাদেশ সরকারের কাছে 'ধূমকেতু' প্রযোজকের অনুরোধ
প্রকাশ: ১৭ আগস্ট, ২০২৫

নয় বছর আটকে থাকার পর পশ্চিমবঙ্গে মুক্তি পেয়েছে কৌশিক গাঙ্গুলী পরিচালিত দেব-শুভশ্রী জুটির ছবি ‘ধূমকেতু’।
ইন্ডিয়ার স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে ১৪ আগস্ট এই ছবিটি মুক্তি পেয়েছে। মুক্তির সকাল থেকে ‘ধূমকেতু’ চলছে এমন হলগুলোতে উপচে পড়া দর্শক দেখা যাচ্ছে। ওপার বাংলার সংবাদমাধ্যম ও সোশ্যাল মিডিয়ার কল্যাণে হলগুলো প্রতিটি শো ‘হাউজফুল’-এর খবর পাওয়া যাচ্ছে।
এও জানা যায়, পশ্চিমবঙ্গে হৃতিক-জুনিয়র এনটিআর অভিনীত ‘ওয়ার ২’ এবং সুপারস্টার রজনীকান্তের ‘কুলি’র সঙ্গে টেক্কা দিচ্ছে ‘ধূমকেতু’।
কিন্তু নয় বছর আগের ‘ধূমকেতু’ নিয়ে দর্শকদের এতো উন্মাদনার কারণ কী! সেখানকার সংবাদমাধ্যমগুলো বলছে, একযুগ আগে দেব-শুভশ্রী রিল লাইফ থেকে রিয়েল লাইফে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়েছিলেন। তাদের সেই প্রেম কারো অজানা ছিল না। সেই সম্পর্ক ভেঙে যাওয়ার পর অনেকে ভেবেছিলেন আর কখনও একসঙ্গে দেখা যাবে না তাদেরকে। কিন্তু ‘ধূমকেতু’র মুক্তি আবারও তাদের একফ্রেমে এনেছে দেব-শুভশ্রীকে।
এমনকি কলকাতার নজরুল মঞ্চে ট্রেলার উন্মোচন ইভেন্টে দেব-শুভশ্রী তাদের মান-অভিমানের কিছু গল্প বলে দর্শকদের আবেগি করে তোলেন।এরপর থেকে ‘ধূমকেতু’ ঘিরে সোশ্যাল মিডিয়ায় তুমুল আলোচনা শুরু হয়েছে। সেই আলোচনার ঢেউ আঁচড়ে পড়েছে বাংলাদেশেও।
অনেকে দেব-শুভশ্রীর ফেসবুক পোস্টে গিয়ে মন্তব্যে জানাচ্ছেন, বাংলাদেশে ‘ধূমকেতু’ দেখতে চান। দর্শকদের এমন মন্তব্য চোখে পড়েছে এই ছবির প্রযোজক রানা সরকারের। এজন্য তিনি বাংলাদেশে ‘ধূমকেতু’ মুক্তি দেয়ার আগ্রহ প্রকাশ করে ফেসবুকে একটি পোস্ট দিয়েছেন।
রানা সরকার লিখেছেন, বাংলাদেশে ‘ধূমকেতু’ রিলিজ দিতে আমরা আগ্রহী। বাংলাদেশ সরকারকে অনুরোধ আপনারা আমাদের অনুমতি দিন বাংলাদেশের অগণিত সিনেমাপ্রেমী মানুষের বাংলা সিনেমার প্রতি ভালোবাসাকে সম্মান জানিয়ে।
ওই পোস্টে প্রযোজক রানা সরকার বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার এবং সংস্কৃতিবিষয়ক উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকীকে মেনশন করে অনুরোধ জানিয়ে লিখেছেন, মাননীয় চিফ অ্যাডভাইজার (জিওবি), মোস্তফা সরয়ার ফারুকী আমাদের আবেদন মঞ্জুর করুন।
সবশেষে রানা সরকার লিখেছেন, বাংলাদেশের দেব-শুভশ্রী ফ্যান ও দর্শক বন্ধুদের অনুরোধ করছি আপনারা বাংলাদেশে রিলিজ করার জন্য বাংলাদেশ সরকারকে অনুরোধ করুন।
১৫ আগস্ট (শুক্রবার) সন্ধ্যায় রানা সরকারের দেয়া ওই পোস্টে ৪০৬টি কমেন্টস দেখা গেছে। সেখানে বাংলাদেশে মুক্তির ব্যাপারে নেটিজেনদের মিশ্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছিলেন।
কেউ কেউ লিখেছেন, বাংলাদেশে মুক্তি দেয়া হোক। আবার কেউ লিখেছেন, ভারতীয় সিনেমা বাংলাদেশে চলবে না। ফেসবুকেও আওয়াজ দিলেও বাস্তবতা ভিন্ন। অতীতে পশ্চিমবঙ্গের যতো সিনেমা এসেছে, বাংলাদেশের দর্শক গ্রহণ করেনি।
গেল বছর ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর থেকে বাংলাদেশ ও ইন্ডিয়ার মধ্যে রাজনৈতিকভাবে উষ্ণ অবস্থা বিরাজ করছে।
এই অবস্থায় শুধু পশ্চিমবঙ্গের ছবি কেন, কোনো ইন্ডিয়ান সিনেমা আমদানি সম্ভব নয় জানিয়েছেন বাংলাদেশের একজন চলচ্চিত্র আমদানিকারক।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে ওই আমদানিকারক চ্যানেল আই অনলাইনকে বলেন, মন্ত্রণালয় অনুমতি দেবে না। শুধু সিনেমা কেন, ইন্ডিয়ান শিল্পীদের বাংলাদেশে এসে কাজ করা বা বাংলাদেশের শিল্পীদের ইন্ডিয়া গিয়ে শুটিং করাও এখন কঠিন। তাই কোনোভাবে এটি সম্ভব নয়।