Advertisement

নির্বাচন বিলম্বে স্বৈরাচার লাভবান হবে: জাহিদ হোসেন

মানবজমিন

প্রকাশ: ২৩ আগস্ট, ২০২৫

24obnd

জাতীয় নির্বাচন বিলম্বে স্বৈরাচার লাভবান হবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন। শুক্রবার জাতীয় প্রেসক্লাবে ‘বিশ্ব মানবাধিকার সংস্থা-বাংলাদেশ’ এর উদ্যোগে ‘গণতন্ত্র ও মানবাধিকার নিশ্চিতে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের গুরুত্ব’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।

নির্বাচন নিয়ে কয়েকটি রাজনৈতিক দলের নানা ধরণের বক্তব্যের সমালোচনায় জাহিদ হোসেন বলেন, আপনারা বলেন, পিআর না হলে নির্বাচনে যাব না। আপনি যে এই কথাটি বলেন, এই কথাটির ইমপ্লিকেশন চিন্তা করেছেন। আজকে যদি নির্বাচন প্রলম্বিত হয়, নির্বাচন যদি বিলম্বিত হয়, নির্বাচন যদি যথাসময়ে না হয় তাহলে লাভ কাদের? লাভ হচ্ছে পতিত স্বৈরাচারে রেখে যাওয়া সুবিধাভোগীরা আজকে প্রশাসনে বলেন, বিচারালয়ে বলেন, ব্যবসা কেন্দ্রে বলেন- সর্বত্র ছড়িয়ে আছে তাদের। তারা দেশে এবং দেশের বাইরে বসে তাদের নেত্রী যে ষড়যন্ত্র করছেন, নির্বাচন হতে দেব না, নির্বাচন এটা করতে দেব না- অর্থাৎ এক ধরনের বিশৃঙ্খলা হলে লাভ কাদের? লাভ হচ্ছে পলায়নকৃত স্বৈরাচারের। আপনারা যারা বুঝে না বুঝে বিভিন্ন দাবি তুলে আজকে নির্বাচনকে পিছিয়ে দিতে চান, তারা কি প্রকারান্তরে স্বৈরাচারের পক্ষে কাজ করছেন কিনা, সেইটি কি বিবেচনা করেছেন?

তিনি বলেন, আমরা অস্পষ্ট ভাষায় বলতে চাই, আর বিলম্ব নয়। ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে যে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ফেব্রুয়ারির মধ্যভাগের মধ্যে নির্বাচনের জন্য প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ কমিশনকে যে রিকোয়েস্ট করেছেন। এখন আমরা চাই, অনতিবিলম্বে নির্বাচন কমিশন নির্বাচনী রোডম্যাপ ঘোষণা করবে।

ডা. জাহিদ বলেন, আজকে যদি স্বৈরাচারের পক্ষে কাজ করেন এবং আপনাদের কর্মসূচির কারণে যদি আজকে কোন কারণে এই দেশের নির্বাচন হবে কি হবে না, এটি নিয়ে মানুষের মধ্যে এক ধরনের আশঙ্কা জমে তাহলে লাভবান হবে পলায়নকৃত স্বৈরাচার। এজন্য কি আপনারা ২০২৪ সালের ৩৬ জুলাই করেছিলেন? আমি এখনো বলব, ভাইয়েরা বুঝার চেষ্টা করেন, ক্রীড়ানকের ভূমিকায় দয়া করে লাফ দিয়ে পড়বেন না।

তিনি বলেন, দয়া করে দেয়ালের লিখন পড়তে শিখুন, রাজনীতিকে রাজনীতি দিয়ে মোকাবিলা করুন। কোন অবস্থাতেই গায়ের জোরে কোন কিছু চাপিয়ে দেয়ার চেষ্টা করবেন না। গায়ের জোর থাকা ভালো। গায়ের জোর কোন পারপাসে আপনি ব্যবহার করবেন, সেটি আপনার মনে রাখতে হবে। গায়ের জোর যদি আপনি ন্যায়ের জন্য করেন আপনাকে মানুষ সাধুবাদ জানাবে, গায়ের জোর যদি আপনি অন্যায়ের জন্য ব্যয় করেন মানুষ কিন্তু আপনাকে সাধুবাদ জানাবে না। তখন মানুষ আপনাকে বলবে আপনি উগ্রপন্থা অবলম্বন করছেন।

জাহিদ বলেন, যারা সংখ্যানুপাতিক নির্বাচনের কথা বলেন, বৃহস্পতিবার দেখলমান বদিউল আলম মজুমদার বলেছেন, পিআর পদ্ধতি হলে সত্যিকার অর্থে ধ্বংসের দিকে দেশ এগিয়ে যাবে। বাংলাদেশ কি এটা বহন করতে পারবে? তিনদিন পরপর সরকার পরিবর্তন হবে। বাংলাদেশের মানুষ জানে, সে কাকে ভোট দিতেছে? কে তার প্রতিনিধি? কে তার জন্য কাজ করবে? এলাকা উন্নয়নের জন্য কাজ করবে? মানুষ তাকে দেখতে চায়- মানুষের মেন্টাল মেকআপ হচ্ছে এই ধরনের।

আয়োজক সংগঠনের সভাপতি অধ্যাপক আবদুল লতিফ মাসুমের সভাপতিত্বে সভায় গণফোরামের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী, সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সৈয়দ মাহবুব হোসেন, আবুল কাশেম চৌধুরী, গাজী মোশাররফ হোসেন, আজহারুল ইসলাম প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

আরও পড়ুন

Lading . . .