Advertisement

ভোট গ্রহণ নির্বিঘ্ন করতে কেন্দ্রের সংখ্যা বাড়ানোর দাবি ছাত্রদল–সমর্থিত প্যানেলের

প্রথম আলো

প্রকাশ: ২৭ আগস্ট, ২০২৫

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু)ফাইল ছবি
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু)ফাইল ছবি

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচনে ভোট গ্রহণ নির্বিঘ্ন করতে কেন্দ্রের সংখ্যা বাড়ানোর দাবি জানিয়েছে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল–সমর্থিত প্যানেল। আজ বুধবার বিকেলে নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে ডাকসু নির্বাচনের প্রধান রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে এ দাবি জানিয়েছে তারা।

এ সময় এই প্যানেলের ভিপি (সহসভাপতি) প্রার্থী আবিদুল ইসলাম খান, জিএস (সাধারণ সম্পাদক) প্রার্থী শেখ তানভীর বারী হামিম, এজিএস (সহসাধারণ সম্পাদক) প্রার্থী তানভীর আল হাদীসহ প্যানেলের অন্য প্রার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।

ভোটকেন্দ্রের সংখ্যা বাড়ানো, আচরণবিধি লঙ্ঘনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের নামে পরিচালিত বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম গ্রুপ বন্ধের দাবি জানিয়ে প্রধান রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ দেয় ছাত্রদল–সমর্থিত প্যানেলটি। পরে রিটার্নিং কর্মকর্তাদের কার্যালয়ের সামনে ব্রিফিং করে প্যানেলের প্রার্থীরা তাঁদের দাবি তুলে ধরেন।

ভিপি প্রার্থী আবিদুল ইসলাম বলেন, ‘ডাকসু ও হল সংসদ নির্বাচনে প্রায় ৪০ হাজার ভোটারের জন্য মাত্র ৮টি কেন্দ্র রাখা হয়েছে। ভোট দিতে প্রত্যেক শিক্ষার্থীর গড়ে ৮ থেকে ১০ মিনিট সময় লাগবে। সেই হিসাবে একটি কেন্দ্রে সারা দিনে সর্বোচ্চ দেড় হাজার ভোট পড়তে পারে। অথচ প্রতিটি কেন্দ্রে চার থেকে পাঁচ হাজারের বেশি ভোটার রয়েছেন। এতে করে শিক্ষার্থীদের মধ্যে নির্বিঘ্নে ভোট দেওয়া নিয়ে একধরনের শঙ্কা তৈরি হয়েছে। এ কারণে ভোটকেন্দ্র বাড়ানোর দাবি জানিয়েছি।’

এই ভিপি প্রার্থী আরও বলেন, ‘আমরা ২০১৯ সালের ডাকসু নির্বাচনে দেখেছি, কীভাবে কৃত্রিম লাইন তৈরি করে অনাবাসিক শিক্ষার্থীদের ভোট দিতে দেওয়া হয়নি। এবারও ভোট দিতে না পারার শঙ্কা কাজ করছে। এগুলো নিয়ে আমাদের আশঙ্কার জায়গা ছিল, যেটি আমরা প্রধান রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে জানিয়েছি।’

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের বিভিন্ন গ্রুপ বন্ধের দাবি জানিয়ে আবিদুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা দেখতে পাচ্ছি, ডাকসু নির্বাচনকে ঘিরে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন গ্রুপগুলোতে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে। এ নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বিটিআরসিকে (বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন) চিঠি দিয়েছে। কিন্তু তারপরও এসব গ্রুপ বন্ধ হয়নি, বরং তারা নাম পরিবর্তন করে একই কাজ করছে। ঘৃণার চর্চা হচ্ছে। এসব গ্রুপগুলো যতক্ষণ পর্যন্ত বন্ধ করা না হবে, নির্বাচনের পরিবেশ শান্ত থাকবে না।’

আচরণবিধি লঙ্ঘনের বিষয়ে এই প্যানেলের জিএস প্রার্থী শেখ তানভীর বারী হামিম বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের কাছে যাওয়ার পরিবর্তে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড (সবার জন্য সমান সুযোগ) নষ্টের অভিযোগ দিতেই দিনের বড় সময় কেটে যাচ্ছে। তারপরও কোনো প্রতিকার আমরা দেখছি না।’

এই জিএস প্রার্থী বলেন, ‘গতকাল (মঙ্গলবার) আনুষ্ঠানিক প্রচারণা শুরু হতেই বিভিন্ন ছাত্রসংগঠন এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী আচরণবিধি সুস্পষ্টভাবে লঙ্ঘন করেছেন। ক্যাম্পাসের বিভিন্ন জায়গায় ব্যানার, ফেস্টুন লাগানো হচ্ছে। এসব নিয়ে আমরা অভিযোগ দিয়েছি।’

Lading . . .