জামায়াত আমিরের সুস্থতা কামনায় দোয়া অনুষ্ঠান
প্রকাশ: ১০ আগস্ট, ২০২৫

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান দেশকে ক্ষুধা, দারিদ্র্য, বৈষম্যমুক্ত বাংলাদেশে পরিণত করতে নিরলস প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন বলে মন্তব্য করেছেন দলটির কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের নায়েবে আব্দুর রহমান মূসা।
শনিবার (৯ আগস্ট) বাদ জোহর কাফরুল উত্তর থানা জামায়াত আয়োজিত আমিরে জামায়াত ডা. শফিকুর রহমানের সুস্থতা কামনায় এক দোয়া ও এতিমদের মধ্যে খাদ্য বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
থানা আমির রেজাউল করিমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের সহকারী সেক্রেটারি ডা. ফখরুদ্দীন মানিক এবং ঢাকা মহানগরী উত্তরের প্রচার ও মিডিয়া সম্পাদক মু. আতাউর রহমান সরকার। বক্তব্য দেন মাদানী কমপ্লেক্সের সহসভাপতি শাহজাহান, থানা নায়েবে আমির মো. আলাউদ্দীন, জামায়াত নেতা মাওলানা শহিদুল্লাহ মাদানী, মাওলানা রফিকুল ইসলাম, মনিরুজ্জামান খান প্রমুখ। অনুষ্ঠানে আমিরে জামায়াতের আশু রোগমুক্তি ও দীর্ঘায়ু কামনা দোয়া ও মোনাজাত পরিচালনা করেন মাদানী কমপ্লেক্সের মুহতামিম মাওলানা আবুল কালাম।
আব্দুর রহমান মূসা বলেন, ডা. শফিকুর রহমানের নেতৃত্বে জামায়াতে ইসলামী মানুষের মুক্তির জন্য বিরামহীনভাবে কাজ করে যাচ্ছে। তিনি ১৯ জুলাই জাতীয় সমাবেশে বক্তৃতা দেওয়ার সময় অসুস্থ হয়ে পড়ে যান এবং তৎক্ষণাৎ উঠে পড়েন। আবার পড়ে যান; আবার উঠে বসে থেকেই দেশ ও জাতির জন্য দিকনির্দেশনামূলক বক্তব্য দেন।
মূলত, দেশ ও জাতির প্রতি দায়বদ্ধতা এবং মানুষের ভালোবাসা আমিরে জামায়াতকে গণমানুষের নয়নমণিতে পরিণত করেছে। তিনি স্বাধীনতা-পরবর্তী সরকারগুলোর ব্যর্থতা প্রসঙ্গে বলেন, বিগত ৫৪ বছরে শাসকগোষ্ঠী মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন না করে নিজেদের ভাগ্য পরিবর্তন করে নিয়েছে। তারা দেশ থেকে লাখ লাখ কোটি টাকা পাচার করে জাতীয় অর্থনীতিকে ধ্বংস করে দিয়েছে। ফলে আমাদের দেশের একজন শিশু ৭৫ হাজার টাকা ঋণ নিয়ে জন্মগ্রহণ করছে। আমিরে জামায়াত ঘোষণা করেছেন, জামায়াত ক্ষমতায় গেলে নির্বাচিত এমপিরা সরকারি প্লট, শুল্কমুক্ত গাড়ি-বাড়ি নেবেন না। জামায়াত দুর্নীতি করবে না; দুর্নীতিকে প্রশ্রয়ও দেবে না। তিনি দেশে ইসলামী আদর্শ প্রতিষ্ঠায় সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, আমাদের দেশের লোক পরিশ্রমী। দেশের ৮৫ ভাগ মানুষ অক্লান্ত পরিশ্রম করে দেশের অর্থনীতিকে সচল রেখেছেন। অথচ তারাই এখন অধিকার বঞ্চিত ও নিগৃহীত। অথচ মুষ্টিমেয় কিছু লোক দুর্নীতি, অনিয়ম ও লুটপাটের মাধ্যমে দেশে অর্থ বিদেশে পাচার করেছে। বিগত সরকারের আমলে অনেক স্কুল-কলেজ জাতীয়করণ করা হলেও কোনো মাদ্রাসা বা মক্তব সরকারিকরণ করা হয়নি। ফলে জাতির বিবেক শিক্ষক সমাজ মানবেতর জীবন যাপন করছেন। জনগণের ভোট নিয়ে জামায়াত সরকার গঠন করতে পারলে রাষ্ট্র থেকে সব ধরনের বৈষম্য দূর করে দেশকে ইসলামী কল্যাণ রাষ্ট্রে পরিণত করা হবে।