Advertisement

আওয়ামী লীগকে নিয়ে রিজভীর কঠোর হুঁশিয়ারি

গণকন্ঠ

প্রকাশ: ২৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

আওয়ামী লীগকে নিয়ে রিজভীর কঠোর হুঁশিয়ারি
আওয়ামী লীগকে নিয়ে রিজভীর কঠোর হুঁশিয়ারি

স্বৈরাচারবিরোধী গণঅভ্যুত্থানে অংশ নেওয়া আহত ও শহীদদের রক্তের দাগ এখনো শুকায়নি। এ অবস্থায় কোনোভাবেই ফ্যাসিবাদের পুনরাবৃত্তি হতে দেওয়া হবে না বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী।

বুধবার দুপুরে রাজধানীর চন্দ্রিমা উদ্যানে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন। বরগুনা ও পিরোজপুর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির উদ্যোগে এই কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়।

পতিত স্বৈরাচারী আওয়ামী লীগ সরকারের তীব্র সমালোচনা করে রুহুল কবির রিজভী বলেন, দেশের সম্পদ লুটপাট করে সরকারদলীয় নেতারা বিদেশে অন্তত ২০ প্রজন্ম নিশ্চিন্তে বসবাস করতে পারবে— এই ব্যবস্থা করা হয়েছে। টাকা পাচারকারীদের যেন কোনোভাবেই ফিরিয়ে আনা না হয়, সেজন্য আওয়ামী লীগ সবকিছু করছে।

তিনি বলেন, মানুষ খুন করে, ছাত্র খুন করে, শিশু খুন করে যারা ক্ষমতা ধরে রাখতে চেয়েছিল— শহীদদের রক্তের দাগ এখনো শুকায়নি। আওয়ামী লীগের সাথে কোনো আপস নেই। যারা আওয়ামী লীগকে সহযোগিতা করেছে, তারা যেন অন্য খোলসে আবার আত্মপ্রকাশ করতে না পারে, সেটি দেখতে হবে।

তিনি আরও বলেন, আওয়ামী লীগ নিজেদের দুঃশাসন টিকিয়ে রাখতে আনাফ, ওয়াসিম আকরাম, আবু সাঈদ ও মুগ্ধদের গুলি করে হত্যা করেছে। এই আত্মত্যাগের মাধ্যমেই গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের পথ রচিত হয়েছে। তাদের রক্ত কখনোই বৃথা যেতে দেওয়া হবে না।

এই বিএনপি নেতা বলেন, গণতন্ত্র ফেরানোর সংগ্রামের প্রতীক দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া। তার ওপর চালানো হয়েছে ভয়াবহ নিপীড়ন, কিন্তু তাকে দমাতে পারেনি। তিনি গণতন্ত্রের প্রশ্নে আপসহীন নেতৃত্ব দিয়ে আজও আমাদের অনুপ্রেরণা।

রিজভী হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, নিউইয়র্কে যেসব ঘটনা ঘটেছে, সেগুলো দেখিয়ে দিচ্ছে অন্তর্বর্তী সরকার এখনো সঠিক দক্ষতা দেখাতে পারছে না। আওয়ামী দোসররা বিদেশের মাটিতেও অপকর্ম চালিয়ে যাচ্ছে। সরকার যদি কার্যকর ব্যবস্থা নিত, তাহলে এসব সাহস পেত না।

দুর্নীতিবিরোধী সংস্থার সমালোচনা করে তিনি বলেন, দুর্নীতি দমন কমিশন একটি অথর্ব সংস্থা। কোনো ফ্যাসিস্টের দোসরের শাস্তি দিতে পারেনি। যেসব টাকা আদালত ফেরত আনার নির্দেশ দিয়েছে, সেগুলোরও কোনো হদিস নেই। এই পরিস্থিতি দেশবাসী চায়নি।

বর্তমান সরকারের ব্যর্থতা তুলে ধরে তিনি বলেন, এখন তো হাসিনা নেই, আওয়ামী লীগের পুলিশ নেই, ছাত্রলীগ নেই, হেলমেট বাহিনী নেই— তাহলে অপহরণ দ্বিগুণ হয়েছে কেন? আইনশৃঙ্খলার এই অবনতি জনগণ মেনে নেবে না।

নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানিয়ে রিজভী বলেন, ষড়যন্ত্র এখনো চলছে। দলকে তৃণমূল থেকে সুসংহত করতে হবে যেন জনগণ ধানের শীষে ভোট দেয়। আওয়ামী লীগের ফ্যাসিস্ট দোসরদের যেন আর সুযোগ না দেওয়া হয়, সেটি নিশ্চিত করতে হবে।

এ সময় পিরোজপুর ও বরগুনা জেলা বিএনপির নবগঠিত আহ্বায়ক সদস্য সচিব ছাড়াও বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

আরও পড়ুন

Lading . . .