প্রকাশ: ১৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

প্রাথমিক শিক্ষায় গানের শিক্ষক নিয়োগ বাতিল ও ধর্মীয় শিক্ষক নিয়োগ বাধ্যতামূলকের দাবি জানিয়েছে সর্বদলীয় ইসলামী শিক্ষা রক্ষা জাতীয় কমিটি।
বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবে সর্বদলীয় ইসলামী শিক্ষা রক্ষা জাতীয় কমিটি কর্তৃক আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তারা এসব কথা বলেন।
লিখিত বক্তব্যে জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নায়েবে আমীর মুজিবুর রহমান বলেন, আমাদের সমাজে দুর্নীতি, অন্যায়, অবিচার, মাদক, নৈতিক অবক্ষয় দিন দিন বেড়েই চলছে। এর প্রধান কারণ হলো ধর্মীয় শিক্ষার ঘাটতি। যদি প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে একজন ধর্মীয় শিক্ষক থাকতেন, যিনি শিক্ষার্থীদের ঈমান ও নৈতিকতা শিক্ষা দিতেন, তবে তারা সৎ, আল্লাহভীরু ও চরিত্রবান মানুষ হতো।
তিনি বলেন, গানের শিক্ষক নিয়োগ দিয়ে সরকার কী করতে চায় তারা কি বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের পথ ধরে আবার ভবিষ্যৎ নাগরিকদের চোর, ডাকাত, খুনি বানাতে চায়?
গানের শিক্ষক শিক্ষার্থীদের নাচ-গানের মাধ্যমে সাময়িক আনন্দ দিতে পারেন, কিন্তু নৈতিকতার সাথে তাদের চরিত্র গড়ে তুলতে পারবেন না। বিজ্ঞান শিক্ষক প্রযুক্তি শেখাতে পারেন, কিন্তু ঈমান শেখাতে পারেন না। অথচ ধর্মীয় শিক্ষক একজন শিক্ষার্থীকে জ্ঞানী করবার পাশাপাশি তাকওয়াবান ও সৎ নাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে পারেন।
সংবাদ সম্মেলনে যেসব দাবি উপস্থাপন করা হয় সেগুলো হলো-
১. প্রতিটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে একজন যোগ্য ধর্মীয় শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া আবশ্যক।
২. ধর্মীয় শিক্ষকের যোগ্যতা নির্ধারণ।
৩. ধর্মীয় শিক্ষক নিয়োগের একটি স্বতন্ত্র নিয়োগ প্রক্রিয়া তৈরি করা।
৪. কওমি মাদরাসা থেকে দাওরায়ে হাদীস এবং আলিয়া মাদরাসা থেকে ফাজিল পাশ করা ব্যক্তিদের এই পদে নিয়োগ দেওয়া।
৫. ‘সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক নিয়োগ বিধিমালা-২০২৫’ গেজেট সংশোধন করে ধর্মীয় শিক্ষক নিয়োগের বিধান অন্তর্ভুক্ত করা।
৬. অন্যান্য ধর্মাবলম্বীদের জন্য তাদের ধর্ম অনুযায়ী শিক্ষক নিয়োগের ব্যবস্থা রাখা।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সিনিয়র প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যক্ষ মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল মাদানী এবং জামায়াতে ইসলামীর মহানগর দক্ষিণের সাধারণ সম্পাদক ডা. শফিকুল ইসলাম মাসুদ।
ডিএইচবি/এসআইএস
আরও পড়ুন