Advertisement

ডাকসু নির্বাচনে ছাত্রদলকে রুখতে মব তৈরি করা হচ্ছে: রিজভী

মানবজমিন

প্রকাশ: ২১ আগস্ট, ২০২৫

24obnd

ডাকসু নির্বাচনে ছাত্রদলকে রুখতে মব তৈরি করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। মঙ্গলবার রাজধানীর শেরে বাংলা নগরে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা সাবেক প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের কবরে পুস্পমাল্য অর্পনের পরে সাংবাদিকদের কাছে তিনি এ অভিযোগ করেন। এরআগে জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের ৪৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষ্যে সংগঠনটির সভাপতি এসএম জিলানি ও সাধারণ সম্পাদক রাজীব আহসানের নেতৃত্বে নেতা-কর্মৗদের নিয়ে রিজভী শেরে বাংলা নগরে প্রয়াত প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের কবরে পুস্পমাল্য অর্পন করেন এবং দলের প্রতিষ্ঠাতার আত্মার মাগফিরাত কামনায় বিশেষ মোনাজাতে অংশ নেন তিনি।

রুহুল কবির রিজভী বলেন, এই ডাকসু নির্বাচন, সেখানে যাতে ছাত্রদল মনোনয়নপত্র কিনতে না পারে, সেজন্য মব তৈরি করে বাধা দেয়া হচ্ছে- সেখানে মব সৃষ্টি করা হলো। আজকে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সরকার ক্ষমতায় থাকতে এই পরিস্থিতি কেনো হবে? কেনো এই মব হবে মহল্লায় মহল্লায়, কেনো হবে গ্রামে গ্রামে, জেলায় জেলায়। আজকে আইন বর্হিভূতভাবে সেখানে মব সংস্কৃতি তৈরি হচ্ছে। উৎশৃঙ্খল জনতা তারা কেনো নিজের হাতে আইন তুলে নেবে। এর কারণ আইন ঠিক মতো চলছে না। যার কারণে বেআইনি কর্মকাণ্ড হচ্ছে। মানুষের জীবন বিপন্ন হচ্ছে, রংপুরের তারাগঞ্জে দুই জন এই মব সংস্কৃতির শিকার হয়েছে। এরকম পরিস্থিতি তো আমরা কামনা করতে পারি না অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছ থেকে।

তিনি বলেন, রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণোদিত হয়ে যেসব ভোটকেন্দ্র করা হয়েছে, সেই ভোটকেন্দ্রগুলো বাতিল করতে হবে এবং জনসংখ্যার বিন্যাস দেখে নির্বাচন কমিশন নতুন করে ভোট কেন্দ্র ঘোষণা করবে- এই আমাদের প্রত্যাশ, এই আমাদের দাবি। কারণ ফ্যাসিবাদের আমলে ভোট কেন্দ্রগুলো করা হতো রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে বিবেচনায়। বিগত সময়ে যে তিনটা নির্বাচন হয়েছে একটা হয়েছে ভোটার শূন্য নির্বাচন, একটা হয়েছে মধ্যরাতের নির্বাচন আর সর্বশেষটা হয়েছে ডামি নির্বাচন, এই সমস্ত নির্বাচন মানুষ ভুলে যায়নি।
রিজভী বলেন, ওইসব নির্বাচন এখন জনগণ ভুলবে, যদি এই নির্বাচন কমিশন ও অন্তর্বর্তীকালীন সরকার একটা অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের ব্যবস্থা ফ্ব্রেুয়ারিতে করে। জনগণের যে দাবি, গণতান্ত্রিক ও রাজনৈতিক দলগুলো যে দাবি, সেই দাবি পুরণ করে তারা (নির্বাচন কমিশন) যদি পদক্ষেপ গ্রহণ করলেই তাহলে আমি মনে করি, ভোটারদের মধ্যে আস্থা আসবে এবং ভোটাররা ভোট কেন্দ্রে নির্ভিঘ্নে যেতে পারবে। প্রায় ১৬/১৭ বছর পরে বাংলাদেশের ভোটাররা নিভিঘ্নে ও নিরাপত্তায় ভোটকেন্দ্র যেতে পারবে, সেই ব্যবস্থা ও পরিবেশ নির্বাচন কমিশনকে তৈরি করতে হবে।

তিনি বলেন, বিগত সময়ে শেখ হাসিনার আমলে ব্যাংকগুলোতে যারা ঋণ খেলাপী হয়েছে, সেই ঋণ খেলাপী সাড়ে তিন লক্ষ হাজার কোটি টাকার ঋণ খেলাপৗদের রিসিডিউল করে তাদেরকে আবার নবায়ন করা হচ্ছে। আবার এই সরকারের আমলেও প্রায় দেড় লক্ষ ঋণ খেলাপীর ঋণ নবায়ন করা হয়েছে। জনগণ কী এটা প্রত্যাশা করে? এই সরকার তাদের দৃঢ় পদক্ষেপ নিয়ে যারা ঋণ খেলাপী, যারা রাষ্ট্রের টাকা, জনগণের টাকা যারা লুট করে পাচার করেছে- তারাই হয়েছে ঋণ খেলাপী। যারা ঋণ খেলাপী, তারা সেই টাকা পরিশোধ করে নাই, আবার দেড় লক্ষ কোটি টাকা নতুন করে কেনো রিসিডিউল করা হয়েছে, কেনো নবায়ন করা হয়েছে?
এসময় বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব হাবিব উন নবী খান সোহেল, কেন্দ্রীয় নেতা মীর সরফত আলী সপু, আবদুল কাদির ভুঁইয়া জুয়েল, মোস্তাফিজুর রহমান, স্বেচ্ছাসেবক দলের ইয়াসীন আলীসহ কেন্দ্রীয় নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

আরও পড়ুন

Lading . . .