Advertisement
  • হোম
  • রাজনীতি
  • অন্তর্বর্তী সরকার না চাইলে ‘মব সন্ত্রাসের’ ঘটনাগুল...

অন্তর্বর্তী সরকার না চাইলে ‘মব সন্ত্রাসের’ ঘটনাগুলো ঘটতে পারত না: বাম গণতান্ত্রিক জোট

প্রথম আলো

প্রকাশ: ১৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

‘মব’ সন্ত্রাস ও মাজার-খানকায় হামলা বন্ধসহ সুষ্ঠু-গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের জন্য প্রয়োজনীয় সংস্কার করে যথাসময়ে নির্বাচনের দাবিতে বাম গণতান্ত্রিক জোটের সমাবেশে বক্তারা। আজ সোমবার সন্ধ্যায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনেছবি: দীপু মালাকার
‘মব’ সন্ত্রাস ও মাজার-খানকায় হামলা বন্ধসহ সুষ্ঠু-গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের জন্য প্রয়োজনীয় সংস্কার করে যথাসময়ে নির্বাচনের দাবিতে বাম গণতান্ত্রিক জোটের সমাবেশে বক্তারা। আজ সোমবার সন্ধ্যায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনেছবি: দীপু মালাকার

গণ-অভ্যুত্থানের পর দেশে যে ‘মব’ সন্ত্রাসের শুরু হয়েছিল, সেটা এখনো চলছে এবং নগ্ন রূপ নিয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন বাম গণতান্ত্রিক জোটের নেতারা। অন্তর্বর্তী সরকার না চাইলে এমন ঘটনাগুলো ঘটতে পারত না বলেও মন্তব্য করেছেন তাঁরা। জোটের নেতারা বলেছেন, মব নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের ভাব এমন যে খারাপ কিছু তো করছে না।

আজ সোমবার বিকেলে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে আয়োজিত এক বিক্ষোভ সমাবেশে বাম গণতান্ত্রিক জোটের নেতারা এ কথা বলেন। মব সন্ত্রাস ও মাজার-খানকায় হামলা বন্ধসহ সুষ্ঠু-গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের জন্য প্রয়োজনীয় সংস্কার করে যথাসময়ে নির্বাচনের দাবিতে এ বিক্ষোভ সমাবেশের আয়োজন করা হয়েছিল।

সমাবেশে সভাপতির বক্তব্যে বাম জোটের কেন্দ্রীয় পরিচালনা পরিষদের সমন্বয়ক এবং বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন বলেন, ‘গণ-অভ্যুত্থানের পর যে মব শুরু হয়েছিল, সেই মব এখনো দূর হয়নি। বরং নগ্ন রূপ নিয়েছে।...তাহলে ইউনূস সাহেব (প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস) তখন কী করলেন?’

সরকার না চাইলে এ ধরনের ঘটনা ঘটতে পারে না মন্তব্য করে রুহিন হোসেন বলেন, মব নিয়ে সরকারের উপদেষ্টারা আকারে-ইঙ্গিতে যা বলেন, তাতে ভাবটা এ রকম যে খারাপ কিছু করছে না। অন্তর্বর্তী সরকার এসব ঘটনার দায় এড়াতে পারবে না।

দ্রুত নির্বাচন অনুষ্ঠানের দাবি জানিয়ে সিপিবির সাধারণ সম্পাদক বলেন, সংস্কারের নামে শ্রমিক–কৃষক–মেহনতি মানুষের স্বার্থ রক্ষা করছেন না, কিন্তু সংবিধানের চার মূলনীতি পরিবর্তন করতে চান। অবিলম্বে নির্বাচন দিয়ে নির্বাচিত প্রতিনিধির হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করেন।

বাম গণতান্ত্রিক জোটের কেন্দ্রীয় পরিচালনা পরিষদের অন্যতম নেতা বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দলের (বাসদ) সাধারণ সম্পাদক বজলুর রশিদ ফিরোজ বলেন, সরকার অভ্যুত্থানের চেতনাকে জলাঞ্জলি দিয়ে দেশের বন্দর বিদেশি কোম্পানিকে দিতে চক্রান্ত করছে। সংস্কার সংস্কার বলে ফ্যাসিস্ট সরকারের উন্নয়ন উন্নয়নের মতো কান ঝালাপালা করে ফেলছে অথচ তলে তলে বিদেশি কোম্পানির হাতে দেশের সম্পদ ইজারা দেওয়া হচ্ছে।

দ্রব্যমূল্যের লাগামহীন বৃদ্ধিতে জনজীবন অতিষ্ঠ বলে মন্তব্য করেন জোটের অন্য নেতারা। সমাবেশে তাঁরা বলেন, সংস্কার নিয়ে অনেক কথা হচ্ছে; কিন্তু সবার কর্মসংস্থান নিশ্চিত করা, বৈষম্য দূর করা, জাতীয় ন্যূনতম মজুরি ও কৃষক–খেতমজুরদের সংকট দূর করা নিয়ে কোনো আলোচনা নেই। এ সরকার দেশকে গণতান্ত্রিক বৈষম্যহীন পথে চালানোর রূপরেখা তৈরিতে মনোযোগ না দিয়ে সাম্রাজ্যবাদী শক্তির স্বার্থ রক্ষায় ব্যস্ত হয়ে পড়েছে। বাণিজ্যচুক্তির নামে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে গোপন চুক্তির খবরে দেশবাসী উদ্বিগ্ন থাকলেও সরকার এই চুক্তি প্রকাশ করছে না।

সিপিবির সহকারী সাধারণ সম্পাদক মিহির ঘোষের সঞ্চালনায় সমাবেশে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন বিপ্লবী কমিউনিস্ট লীগের সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য অধ্যাপক আবদুস সাত্তার, বাসদের (মার্ক্সবাদী) প্রধান সমন্বয়ক মাসুদ রানা, বিপ্লবী গণতান্ত্রিক পার্টির সাধারণ সম্পাদক মোশরেফা মিশু, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক পার্টির নির্বাহী সভাপতি আবদুল আলী প্রমুখ। সমাবেশ শেষে জাতীয় প্রেসক্লাব এলাকায় একটি বিক্ষোভ মিছিল করেন বাম গণতান্ত্রিক জোটের নেতা–কর্মীরা।

Lading . . .