Advertisement

সমুদ্রসৈকতে দাঁড়িয়ে লাইভে সারজিসের বার্তা

কালবেলা

প্রকাশ: ৬ আগস্ট, ২০২৫

কক্সবাজারে সমুদ্রসৈকতে দাঁড়িয়ে লাইভে কথা বলেন সারজিস আলম। ছবি : সংগৃহীত
কক্সবাজারে সমুদ্রসৈকতে দাঁড়িয়ে লাইভে কথা বলেন সারজিস আলম। ছবি : সংগৃহীত

নানা আলোচনা-সমালোচনার মধ্যেই কক্সবাজারে সমুদ্রসৈকতে দাঁড়িয়ে লাইভে এসে জরুরি বার্তা দিলেন এনসিপির মুখ্য সংগঠক (উত্তরাঞ্চল) সারজিস আলম। তিনি সমুদ্রের ব্লু ইকোনমি ও জীববৈচিত্র্য রক্ষা নিয়ে কীভাবে কাজ করা যায়, এ নিয়ে কথা বলেন।

বুধবার (৬ আগস্ট) ফেসবুকে নিজের ভেরিফায়েড আইডিতে লাইভে এসে সারজিস আলম এসব কথা বলেন।

দেশবাসীকে শুভেচ্ছা জানিয়ে সারজিস বলেন, এনসিপির পক্ষ থেকে বাংলাদেশের মানুষের সামনে ২৪ দফার ইশতেহার দেওয়া হয়েছে। এই ২৪ দফার মধ্যে ২১ নম্বরে বলা হয়েছে জলবায়ু সহিষ্ণুতা এবং নদী ও সমুদ্র রক্ষার কথা।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের এখন যে সমুদ্রসীমা আছে, তা আমাদের ল্যান্ডের প্রায় সমান। আমাদের অপার এক সম্ভাবনার জায়গা হচ্ছে এই সমুদ্র। এখন গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে এই ব্লু বিষয়টিকে কীভাবে ব্লু ইকোনমিতে পরিণত করতে পারি, আমরা কীভাবে জীববৈচিত্র্য রক্ষা করতে পারি, সমুদ্রতীরবর্তী যেসব মানুষ রয়েছে, তাদের সাসটেইনেবল (টেকসই) জীবন ধারণ নিশ্চিত করতে পারি, কিংবা গ্লোবাল ওয়ার্মিং (বিশ্ব উষ্ণায়ন) বৃদ্ধি পাচ্ছে, পৃথিবীর তাপমাত্র বৃদ্ধি পাচ্ছে; এসব কারণে সমুদ্রতীরবর্তী বিশাল জনগোষ্ঠীর ভূমি-বসতবাড়ি অদূর ভবিষ্যতে সমুদ্রগর্ভে চলে যেতে পারে।

এ জন্য আগেই ব্যবস্থা গ্রহণ করা এবং সেসব জায়গায় সরকারের কিছু গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব রয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এসব পূর্বাভাস যেন নির্ধারিত সময়ের পূর্বে দেওয়া হয় যেন এর ফলে মানুষের যে ক্ষয়ক্ষতি হয়, এটা যেন কমে আসে, সে জায়গায় আমাদের সক্ষমতা অর্জন করা প্রয়োজন।

সারজিস আলম বলেন, এই সমুদ্রকে আমরা যেন সম্পদে পরিণত করতে পারি এবং এখানকার খনিজ সম্পদ আহরণে এবং এই আহরণ যেন খুবই টেকসই পদ্ধতিতে হয়, তা নিশ্চিত করা প্রয়োজন বলে জানান তিনি।

এর আগে গতকাল মঙ্গলবার (৫ আগস্ট) সাড়ে ১১টায় কক্সবাজার বিমানবন্দরে অবতরণের পর মাইক্রোবাস যোগে উখিয়ার ইনানীতে যান এনসিপির পাঁচ নেতা।

সারজিস আলমসহ এই সফরে রয়েছেন এনসিপির মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী, মুখ্য সংগঠক (দক্ষিণাঞ্চল) হাসনাত আবদুল্লাহ, জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সদস্য সচিব তাসনিম জারা এবং তাসনিম জারার স্বামী ও এনসিপির যুগ্ম আহ্বায়ক খালেদ সাইফুল্লাহ।

এদিকে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের এক বছর পূর্তি উপলক্ষে অন্তর্বর্তী সরকার দিনটি উদযাপন করেছে। কিন্তু এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত না হয়ে গণঅভ্যুত্থানে সামনে থেকে নেতৃত্ব দেওয়া বর্তমানে এনসিপির এসব নেতার হঠাৎ কক্সবাজারে আগমন রাজনৈতিক মহলে নানা গুঞ্জন ও আলোচনা তৈরি করেছে।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যগুলোয় গুজব রটেছে, যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক রাষ্ট্রদূত পিটার হাসের সঙ্গে তারা বৈঠক করতে এসেছেন। যদিও তারা এটাকে গুজব বলে জানিয়ে দিয়েছেন।

এদিকে আজ বিকালে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) পক্ষ থেকে দলের রাজনৈতিক পর্ষদকে না জানিয়ে কক্সবাজার সফরে আসা পাঁচ নেতাকে ‘কারণ দর্শানোর নোটিশ’ দেওয়া হয়েছে।

Lading . . .