Advertisement

যেসব আমলে গুনাহ মাফ হয়

যুগান্তর

প্রকাশ: ১০ আগস্ট, ২০২৫

24obnd

বারবার হজ-ওমরাহ : দারিদ্র্য ও গুনাহ মিটিয়ে দেয়

হজ-ওমরাহর সুযোগ সবার জীবনে আসে না। যাদের আসে তাদের আবার সবাই বারবার হজ-ওমরাহ করতে পারেন না। কিন্তু কিছু মানুষ তো এমন, যাদের বারবার হজ-ওমরাহ করার সুযোগ থাকে। হয়ত আল্লাহ তাকে তাওফিক দিয়েছেন, বায়তুল্লাহর প্রতিবেশী হওয়ার।

কিংবা এমন সামর্থ্য দিয়েছেন যে, সেখানে যাওয়াটা তার জন্য দেশের এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে যাওয়ার চেয়েও সহজ ব্যাপার। ইচ্ছাটাই সবকিছু; অর্থ-কড়ি কোনো বিষয় নয়।

তবে মনে রাখা চাই, বায়তুল্লাহর প্রতিবেশী হওয়া বা অঢেল অর্থের মালিক হওয়াই সব নয়; আসল হল ঈমানী জযবা এবং নেক আমলের অদম্য স্পৃহা।

তাই তো আমরা দেখি, বাহ্যিক সামর্থ্য নেই এমন কত মানুষ বারবার যাচ্ছেন। একবার হজ বা ওমরাহ করেছেন তো তার যেন পিপাসা আরো বেড়ে গেছে- আবার যেতে চায়, আবার যেতে চায়। সুযোগ খোঁজে আর চাতকের মত আকাশ পানে চায়- এই বুঝি ডাক এল।

নবীজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম উম্মতকে বারবার হজ-ওমরাহ করার প্রতি উদ্বুদ্ধ করেছেন। শুনিয়েছেন এর ফজিলত।

ইরশাদ হয়েছে- তোমরা একের পর এক হজ-ওমরাহ করতে থাকো। কারণ তা দারিদ্র্য ও গুনাহকে এমনভাবে মিটিয়ে দেয়, যেমন কামারের হাপর লোহা ও সোনা-রূপার ময়লা দূর করে। আর ‘হজ্জে মাবরূর’-এর প্রতিদান জান্নাত ছাড়া আর কী!

(জামে তিরমিযী, হাদিস ৮১০; সহীহ ইবনে খুযায়মা, হাদিস ২৫১২; সহীহ ইবনে হিব্বান, হাদিস ৩৬৯৩; সুনানে নাসায়ী, হাদিস ২৬৩০; সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদিস ২৮৮৭)

আসুন, সাধ্যমত বারবার হজ-ওমরাহর মাধ্যমে নেক আমলের ভাণ্ডারকে সমৃদ্ধ করি আর গুনাহগুলো মুছে ফেলি।

তাহিয়্যাতুল ওজু: পূর্বের গুনাহ ধুয়ে দেয়

কারো সঙ্গে সাক্ষাৎ হলে আমরা তাকে সালাম-মুসাফাহার মাধ্যমে অভিবাদন জানাই। তেমনি কিছু বিষয় আছে, যেগুলোকে আমরা একটি আমলের মাধ্যমে অভিবাদন জানাই। যেমন মসজিদে প্রবেশ করলে মসজিদকে তাহিয়্যা বা অভিবাদন জানাই দুই রাকাত নামাজের মাধ্যমে। বায়তুল্লাহকে অভিবাদন জানাই তাওয়াফের মাধ্যমে।

তেমনি পবিত্রতার জন্য আমরা যে ওজু করি এরও অভিবাদন পদ্ধতি রয়েছে, যা আমরা নবীজী সাল্লাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে শিখেছি। এটি রাসূলের সুন্নত। তো ওজুর তাহিয়্যা বা অভিবাদন হল, নামাজ। এর দ্বারা বান্দার গুনাহ মাফ হয় এবং মর্যাদা বৃদ্ধি পায়।

আমীরুল মুমিনীন উসমান রা. একদিন ওজুর পানি চাইলেন। তিন বার সুন্দর করে দুই হাতের কব্জি পর্যন্ত ধুলেন। তারপর তিন বার কুলি করলেন ও নাকে পানি দিয়ে নাক পরিষ্কার করলেন। এরপর তিন বার চেহারা ধুলেন এবং দুই হাতের কনুই পর্যন্ত ভালোভাবে তিন বার ধৌত করলেন। তারপর মাথা মাসেহ করলেন এবং টাখনু পর্যন্ত পা তিন বার ধৌত করলেন।

এরপর বললেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন-

مَنْ تَوَضّأَ نَحْوَ وُضُوئِي هَذَا، ثُمّ صَلّى رَكْعَتَيْنِ لاَ يُحَدِّثُ فِيهِمَا نَفْسَهُ، غُفِرَ لَهُ مَا تَقَدّمَ مِنْ ذَنْبِهِ.

যে ব্যক্তি এভাবে (সুন্দর করে) ওজু করবে, তারপর দুই রাকাত নামাজ আদায় করবে, যাতে (দুনিয়ার) কোনো খেয়াল করবে না, তার পেছনের সকল (ছগীরা) গুনাহ মাফ করে দেওয়া হবে। -সহিহ বুখারি, হাদিস ১৫৯; সহীহ মুসলিম, হাদিস ২২৬

কাছরাতুস সুজূদ: জান্নাতে নবীজীর সঙ্গ লাভ আর গুনাহ মাফ

কে না চায়- জান্নাতে নবীজীর সঙ্গ লাভ করতে? এর চেয়ে বড় চাওয়া আর কী হতে পারে? এর চেয়ে বড় পাওয়া আর কী থাকতে পারে?

রবীআ আসলামীর রা. তাই একটিই চাওয়া- জান্নাতে নবীজীর সঙ্গ লাভ। আর কী চাই হে রবীআ! নবীজীর জিজ্ঞাসা। উত্তর আগেরটাই- জান্নাতে আপনার সঙ্গ।

বিশেষ সুযোগে বড় কারো কাছে মানুষ বিশেষ কিছুই চায়। আর তিনি নিজেই যদি চাইতে বলেন, তাহলে তো কথাই নেই। তবে চাইতে তো জানতে হয়। আসুন রবীআ আসলামী রা. থেকে শিখি- কী চাইতে হয়।

তিনি বলেন-

كُنْتُ أَبِيتُ مَعَ رَسُولِ اللهِ صَلّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلّمَ فَأَتَيْتُهُ بِوَضُوئِهِ وَحَاجَتِهِ فَقَالَ لِي: سَلْ، فَقُلْتُ: أَسْأَلُكَ مُرَافَقَتَكَ فِي الْجَنّةِ. قَالَ: أَوْ غَيْرَ ذَلِكَ، قُلْتُ: هُوَ ذَاكَ. قَالَ: فَأَعِنِّي عَلَى نَفْسِكَ بِكَثْرَةِ السّجُودِ

আমি (কখনো কখনো) রাতে নবীজীর সঙ্গে থাকতাম। এক রাতে(র ঘটনা,) আমি তার জন্য ওজু-ইস্তিঞ্জার পানির ব্যবস্থা করলাম। তিনি (খুশি হলেন।) বললেন, রবীআ! তুমি যা খুশি চাইতে পার। রবীআ বলেন, তখন আমি বললাম, ‘জান্নাতে আপনার সঙ্গে থাকতে চাই’। নবীজী বললেন, আর কী চাও? (এবারও রবীআর একই উত্তর। তিনি বলেন,) আমি তখন বললাম, আমার ওই একটাই চাওয়া।

একথা শুনে নবীজী বললেন-

فَأَعِنِّي عَلَى نَفْسِكَ بِكَثْرَةِ السُّجُودِ.

তাহলে ‘কাছরাতুস সুজূদ’ তথা বেশি বেশি নফল নামাজের মাধ্যমে আমাকে এ বিষয়ে সাহায্য কর। -সহিহ মুসলিম, হাদিস ৪৮৯

মুমিনের চাওয়াও ওই একটাই। সাহাবীগণের চাওয়াও ছিল এটি। আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ রা. একদিন (নফল) নামাজ পড়ছিলেন। নবীজী এলেন। সেখানে আবু বকর রা. ও ওমরা রা.-ও ছিলেন। একপর্যায়ে ইবনে মাসউদ রা. দোয়া করতে আরম্ভ করলেন। তখন নবীজী দূর থেকেই বললেন, ইবনে মাসউদ! চাও, তুমি যা চাইবে তোমাকে দেওয়া হবে।

তখন তিনি যে দোয়াগুলো করছিলেন তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিল-

اَللّٰهُمّ إِنِّي أَسْأَلُكَ إِيْمَانًا لَا يَرْتَدّ، وَنَعِيمًا لَا يَنْفَدُ، وَمُرَافَقَةَ نَبِيِّكَ مُحَمَّدٍ صَلّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلّمَ فِي أَعْلَى جَنّةِ الْخُلْدِ.

হে আল্লাহ! আমি আপনার কাছে এমন ঈমান চাই, যার পর কুফরের দিকে প্রত্যাবর্তন নেই। এমন নিআমত চাই, যা ফুরোবার নয়। আর চাই- জান্নাতে তোমার নবী মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সঙ্গ।

ইবনে মাসউদ রা. তো নিজে থেকেই এ দোয়া করেছেন। ‘ইবনে মাসউদ! চাও, তুমি যা চাইবে তোমাকে দেওয়া হবে’- নবীজীর এ বাক্য তো তিনি শোনেননি। ফলে ওমর রা. এ সুসংবাদ দেওয়ার জন্য তার কাছে গেলেন। গিয়ে দেখলেন আবু বকর রা. আগেই সেখানে পৌঁছে গেছেন। বললেন, আপনি তো সকল ভালো কাজেই আগে থাকেন! (দ্র. মুসনাদে আহমাদ, হাদিস ৪২৫৫; সহীহ ইবনে হিব্বান, হাদিস ১৯৭০)

কোনো কোনো বর্ণনায় আছে, ইবনে মাসউদ রা. বলেন, আমার অধিকাংশ দোয়াতেই আমি এ বাক্যগুলো দ্বারা দোয়া করি। (দ্র. মুসনাদে আহমাদ, হাদিস ৩৬৬২)

হাঁ, এ চাওয়া তখনই বাস্তবে রূপ নেবে যখন মুমিন বেশি বেশি সিজদা তথা নফল নামাজ আদায় করবে। কারণ, হাদিস শরীফে এসেছে, বান্দা যখন সিজদা করে তখন বান্দা আল্লাহর সবচেয়ে নিকটবর্তী হয়। তো বান্দা বেশি বেশি আল্লাহর নিকটবর্তী হলে তার মর্যাদা তো বৃদ্ধি পাবেই। আর আল্লাহ যে বান্দার মর্যাদা বৃদ্ধি করবেন তার গুনাহ কি বাকি রাখবেন? না, আল্লাহ তার গুনাহগুলো বাকি রাখবেন না।

হাদিস শরীফে এসেছে, যে বান্দা বেশি বেশি নফল নামাজ আদায় করবে আল্লাহ তার গুনাহগুলো মিটিয়ে দিবেন।

তাহাজ্জুদ নামাজ: পাপ মোচনকারী

তাহাজ্জুদ নামাজ। বান্দা ও রবের মাঝে একান্ত সাক্ষাৎ। সবাই ঘুমিয়ে। এখন আমি আর আমার রব। এ যেন আল্লাহর সঙ্গে বান্দার বিশেষ সম্পর্ক, বিশেষ নৈকট্যের মাধ্যম।

একে নবীজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ‘দা’বুস সালিহীনা কাবলাকুম’-‘পূর্ববর্তী উম্মতের নেককারদের শান-বৈশিষ্ট্য’ বলেছেন। এর মাধ্যমে বিশেষ নৈকট্য হাসিল হয়। তাই তো তা এই উম্মত ও পূর্ববর্তী উম্মতের সালিহীনদের বিশেষ বৈশিষ্ট্য ছিল।

এশার নামাজ আদায় করার পর থেকে সুবহে সাদিক পর্যন্ত যে কোনো সময়ে তাহাজ্জুদের নামাজ পড়া যায়। কিন্তু রাতের শেষ ভাগই তাহাজ্জুদের জন্য বেশি উত্তম। তাছাড়া রাতের শেষ ভাগে আল্লাহ বান্দাদের ডাকতে থাকেন, কার কী চাওয়ার আছে, চাও, আমি দিব। ক্ষমা প্রার্থনা কর, আমি ক্ষমা করব।

আবু হুরায়রা রা. থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন-

يَنْزِلُ رَبّنَا تَبَارَكَ وَتَعَالَى كُلّ لَيْلَةٍ إِلَى السّمَاءِ الدّنْيَا حِينَ يَبْقَى ثُلُثُ اللّيْلِ الآخِرُ يَقُولُ: مَنْ يَدْعُونِي، فَأَسْتَجِيبَ لَهُ، مَنْ يَسْأَلُنِي فَأُعْطِيَهُ، مَنْ يَسْتَغْفِرُنِي فَأَغْفِرَ لَهُ.

আমাদের রব প্রতি রাতের শেষ তৃতীয়াংশে নিকটবর্তী আসমানে অবতরণ করেন এবং বলেন, কে আছো, দোয়া করবে আমি তার দোয়া কবুল করব। কে আছো, আমার কাছে (তার প্রয়োজন) চাইবে আমি তাকে দান করব। কে আছো, আমার কাছে ক্ষমা চাইবে আমি তাকে ক্ষমা করব। -সহিহ বুখারি, হাদিস ১১৪৫; সহীহ মুসলিম, হাদিস ৭৫৮

সুনানে ইবনে মাজাহ-এ রয়েছে, উক্ত বর্ণনা উল্লেখ করার পর রাবী বলেন-

فَلِذَلِكَ كَانُوا يَسْتَحِبّونَ صَلَاةَ آخِرِ اللّيْلِ عَلَى أَوّلِهِ.

একারণেই তারা প্রথম রাতের তুলনায় তাহাজ্জুদ শেষ রাতে পড়াকে বেশি পছন্দ করতেন। (দ্র. সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদিস ১৩৬৬)

আমরা জানতে পারলাম, শেষ রাতে আল্লাহ তাআলা বান্দাকে ক্ষমা করার জন্য ডাকতে থাকেন। আর শেষ রাতের নামাজ তাহাজ্জুদের বিষয়ে নবীজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন- তা পাপ মোচনকারী। আবু উমামা রা. থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন-

عَلَيْكُمْ بِقِيَامِ اللّيْلِ فَإِنّهُ دَأَبُ الصّالِحِينَ قَبْلَكُمْ، وَهُوَ قُرْبَةٌ إِلَى رَبِّكُمْ، وَمَكْفَرَةٌ لِلسّيِّئَاتِ، وَمَنْهَاةٌ لِلإِثْمِ.

তোমরা কিয়ামুল লাইল তথা তাহাজ্জুদের নামাজের প্রতি যত্নবান হও; এটি পূর্বসূরী সালিহীনের শান-তাঁদের আমল-অভ্যাস। এর মাধ্যমে রবের নৈকট্য হাসিল হয়, পাপ মোচন হয় এবং তা গুনাহ থেকে ফিরিয়ে রাখে। -জামে তিরমিযী, হাদিস ৩৫৪৯; সহীহ ইবনে খুযায়মা, হাদিস ১১৩৫; মুসতাদরাকে হাকেম, হাদিস ১১৫৬; শুআবুল ঈমান, বায়হাকী, হাদিস ২৮২৪

আল্লাহ আমাদের সকলকে নিয়মিত তাহাজ্জুদ আদায়ের তাওফীক দান করুন- আমীন।

মায়্যিতকে গোসল দেওয়া: গোসলদাতার গুনাহ ধুয়ে দেয়

কোনো মুসলিম ইন্তেকাল করলে সুন্দর মত তার কাফন-দাফনের ব্যবস্থা করা মুসলিমদের দায়িত্ব। কেউ এগিয়ে আসবে কবর খননের জন্য, কেউ ব্যবস্থা করবে কাফনের, কেউ বা গোসল দিবে মায়্যিতকে। এভাবে সকলে মিলে তার সুন্দর কাফন-দাফনের ব্যবস্থা করবে।

জানাযায় শরীক হবে, তার জন্য মাগফিরাতের দোয়া করবে, দাফন পর্যন্ত উপস্থিত থাকবে। এ সবই মুসলিমের উপর মুসলিমের হক। এসকল আমলের ভিন্ন ভিন্ন ফযীলত বর্ণিত হয়েছে হাদিস শরীফে। এর মধ্য থেকে মায়্যিতকে গোসল দেওয়ার ফযীলত বর্ণিত হয়েছে বিশেষ গুরুত্বের সঙ্গে।

রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন-

مَنْ غَسّلَ مُسْلِمًا فَكَتَمَ عَلَيْهِ غَفَرَ اللهُ لَهُ أَرْبَعِينَ مَرّةً، وَمَنْ حَفَرَ لَهُ فَأَجَنّهُ أَجْرَى عَلَيْهِ كَأَجْرِ مَسْكَنٍ أَسْكَنَهُ إِيّاهُ إِلَى يَوْمِ الْقِيَامَةِ، وَمَنْ كَفّنَهُ كَسَاهُ اللهُ يَوْمَ الْقِيَامَةِ مِنْ سُنْدُس وَإِسْتَبْرَقِ الْجَنّةِ.

যে ব্যক্তি কোনো মুসলিমকে (মায়্যিতকে) গোসল দিবে এবং তার দোষ-ত্রুটি গোপন করবে আল্লাহ চল্লিশবার তার গুনাহ মাফ করবেন। আর যে ব্যক্তি কবর খনন করবে এবং তাকে কবরে রাখবে আল্লাহ তাকে কিয়ামত পর্যন্ত তার বাসস্থানের ব্যবস্থা করার সওয়াব দান করবেন। আর যে ব্যক্তি কাফনের ব্যবস্থা করবে কিয়ামতের দিন আল্লাহ তাকে মিহি ও পুরু রেশমের কাপড় পরাবেন। -সুনানে কুবরা, বায়হাকী, হাদিস ৬৬৫৫; মুসতাদরাকে হাকেম, হাদিস ১৩৪০

Lading . . .