Advertisement
  • হোম
  • ধর্ম
  • শয়তানের কুমন্ত্রণা অনুভব করছেন? জানুন কুরআন ও হাদি...

শয়তানের কুমন্ত্রণা অনুভব করছেন? জানুন কুরআন ও হাদিসের করণীয়

জনকণ্ঠ

প্রকাশ: ২৩ আগস্ট, ২০২৫

মানুষের জীবনে ফেরেশতা ও শয়তানের প্রভাব সবসময় বিরাজমান। ফেরেশতা মানুষকে কল্যাণ ও সত্যের দিকে আহ্বান করে, আর শয়তান মানুষকে মন্দ ও বিভ্রান্তির দিকে টেনে নেয়। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তায়ালা স্পষ্টভাবে বলেছেন, “আমি অবশ্যই তাদেরকে পথভ্রষ্ট করব; তাদের হৃদয়ে মিথ্যা বাসনার সৃষ্টি করব; তাদেরকে নির্দেশ দেব, ফলে তারা পশুর কান ছিদ্র করবে; আবার আল্লাহর সৃষ্টি বিকৃত করবে। আর আল্লাহর পরিবর্তে কেউ শয়তানকে অভিভাবক গ্রহণ করলে সে স্পষ্ট ক্ষতিগ্রস্ত হবে।”

(সুরা আন-নিসা, আয়াত : ১১৯)

হজরত আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, “মানুষের ওপর শয়তানের প্রভাব রয়েছে। তার প্রভাবে মানুষ অমঙ্গলের ভয়ে ভীত হয় এবং সত্যকে মিথ্যা প্রতিপন্ন করে। আর ফেরেশতার প্রভাবে মানুষ সত্যের সমর্থন পায় এবং প্রশান্তি অনুভব করে। যে ব্যক্তি ফেরেশতার প্রভাব পায়, সে আল্লাহর প্রতি কৃতজ্ঞ হয়। আর যে শয়তানের প্রভাব বুঝতে পারে, সে যেন আল্লাহর কাছে আশ্রয় চায়।” (তিরমিজি)

হজরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত আরেক হাদিসে রয়েছে,
“শয়তান প্রশ্ন করতে থাকে, এটা কে সৃষ্টি করেছে? মানুষ উত্তর দেয়, আল্লাহ। কিন্তু একসময় সে প্রশ্ন তোলে—‘আল্লাহকে কে সৃষ্টি করেছে?’ তখন করণীয় হলো, এ বিতর্ক থেকে বিরত থাকা এবং আল্লাহর কাছে আশ্রয় প্রার্থনা করা।” (বুখারি, মুসলিম)

শয়তানের কুমন্ত্রণা থেকে রক্ষার জন্য আল্লাহ তায়ালা সুরা নাসে বলেছেন,

“বলুন, আমি আশ্রয় নিচ্ছি মানুষের প্রতিপালকের, মানুষের অধিপতির, মানুষের উপাস্যর কাছে, সেই কুমন্ত্রণাদাতার অনিষ্ট হতে, যে কুমন্ত্রণা দেয় মানুষের অন্তরে জিন ও মানুষের মধ্য থেকে।” (সুরা নাস, আয়াত: ১-৬)

কখনো যদি মনে শয়তানের কুমন্ত্রণা আসে, সঙ্গে সঙ্গে আল্লাহর কাছে আশ্রয় চাইতে হবে। কোরআন তিলাওয়াত, দোয়া ও ইস্তিগফার করতে হবে। এতে মন শান্ত হবে এবং শয়তানের ধোঁকা থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব।

আরও পড়ুন

Lading . . .