প্রকাশ: ২৩ আগস্ট, ২০২৫

অজু হলো ইসলামের একটি পবিত্রতা অর্জনের পদ্ধতি, যা কিছু অঙ্গপ্রত্যঙ্গ ধৌত করার মাধ্যমে সম্পন্ন হয়। এটি শুধু শারীরিক পরিচ্ছন্নতাই নয়, বরং একটি ইবাদতও বটে।
কোরআনে আল্লাহ তাআলা বলেন—
“হে মুমিনগণ, যখন তোমরা নামাজের জন্য উঠবে, তখন তোমাদের মুখ ও কনুই পর্যন্ত হাত ধৌত কর, মাথায় মাসাহ কর এবং টাখনু পর্যন্ত পা ধৌত কর।” (সুরা মায়েদা: ৬)
১. পুরো মুখ ধোয়া।
২. কনুইসহ উভয় হাত ধোয়া।
৩. মাথার মাসাহ করা।
৪. টাখনু পর্যন্ত উভয় পা ধোয়া।
এগুলো সম্পন্ন হলেই অজু শুদ্ধ হবে। তবে অজুর আরও কিছু সুন্নত, দোয়া ও করণীয় আছে, যেগুলো অজুকে পূর্ণাঙ্গ ও অধিক সওয়াবের কারণ করে।
১. নামাজ
ফরজ, ওয়াজিব বা নফল—যেকোনো নামাজের জন্য অজু ফরজ। অজু ছাড়া নামাজ শুদ্ধ হয় না। নামাজ চলাকালে অজু ভেঙে গেলে নামাজও ভেঙে যায়।
২. জানাজার নামাজ
জানাজার নামাজের জন্যও অজু ফরজ। তবে যদি অজু করতে গেলে জানাজার নামাজ মিস হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে, তাহলে তায়াম্মুম করে অংশগ্রহণ করা যাবে। (মুসান্নাফ ইবনে আবি শাইবা: ১১৫৮৬)
৩. তিলাওয়াত ও শোকরের সিজদা
তিলাওয়াতের সিজদা ও শোকরের সিজদার জন্য অজু অপরিহার্য। কারণ এগুলো নফল নামাজের মতো বিধান বহন করে। তাই সতর ঢাকা, কিবলামুখী হওয়া, শরীর-পোশাক পবিত্র রাখা এবং অজু থাকা জরুরি।
কোরআন স্পর্শ করা
অজু ছাড়া কোরআন স্পর্শ করা জায়েজ নয়। যে গ্রন্থে অধিকাংশ অংশ কোরআনের আয়াত, সেটি স্পর্শ করার ক্ষেত্রেও অজু জরুরি।
আল্লাহ তাআলা বলেন—
“এটি মহিমান্বিত কুরআন, যা সংরক্ষিত কিতাবে আছে। একে স্পর্শ করবে না, পবিত্রগণ ছাড়া।” (সুরা ওয়াকেয়া: ৭৭-৮)
তাওয়াফ
বায়তুল্লাহর তাওয়াফ অজু ছাড়া করা যায় না। রাসুলুল্লাহ ﷺ বলেন—
“তাওয়াফ নামাজের মতো, তবে এতে কথা বলা বৈধ।” (তিরমিজি: ৯৬০)
আয়েশা (রা.) বলেন, (সহিহ মুসলিম: ১২৯৭)
কোনো নির্দিষ্ট আমল না থাকলেও অজু করা এবং অজুর অবস্থায় থাকা অত্যন্ত সওয়াবের কাজ।
হাদিসে অজুর অবস্থায় ঘুমানোর বিশেষ ফজিলতও বর্ণিত হয়েছে।
কোরআনে বলা হয়েছে—
“নিশ্চয় আল্লাহ তাওবাহকারীদের ভালোবাসেন এবং যারা পবিত্র থাকে তাদেরকেও ভালোবাসেন।” (সুরা বাকারা: ২২২)