Advertisement
  • হোম
  • ধর্ম
  • নামাজে রাকাত সংখ্যা ভুলে গেলে কী করবেন?

নামাজে রাকাত সংখ্যা ভুলে গেলে কী করবেন?

কালবেলা

প্রকাশ: ৯ আগস্ট, ২০২৫

প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

আল্লাহতায়ালা মানুষকে সৃষ্টি করেছেন শুধু তাঁর ইবাদতের জন্য। আর ইবাদতের শ্রেষ্ঠতম রূপ হলো নামাজ। নামাজ শুধু ব্যক্তিগত নয়, বরং সামাজিক ও আধ্যাত্মিক জীবনেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) বলেন, ‘নামাজ হলো দ্বীনের স্তম্ভ।’ অর্থাৎ, নামাজ ছাড়া ধর্মের ভিত্তি গড়ে ওঠে না।

রাসুল (সা.)-এর ভাষায়, ‘আমার চোখের স্নিগ্ধতা বা প্রশান্তি রয়েছে নামাজে।’ এ থেকেই বোঝা যায়, নামাজ শুধু শরীয়তের বিধান নয়, বরং তা একজন মুমিনের আত্মিক প্রশান্তির উৎস।

পবিত্র কোরআনে আল্লাহতায়ালা বলেন, ‘নিশ্চয়ই নামাজ অশ্লীলতা ও মন্দ কাজ থেকে বিরত রাখে’ (সুরা আনকাবুত : ৪৫)। অর্থাৎ, প্রকৃত নামাজি সব ধরনের অশ্লীলতা ও অনৈতিকতা থেকে নিজেকে দূরে রাখেন।

তাই নিজেকে প্রকৃত নামাজি হিসেবে গড়ে তুলতে নামাজে একাগ্রতা অবলম্বন করতে হবে। এমনভাবে নামাজ পড়তে হবে, যেন আল্লাহ আমাকে দেখছেন। হাদিসে এসেছে, ‘আল্লাহর ইবাদত করো এমনভাবে, যেন তাঁকে তুমি দেখতে পাচ্ছ। আর যদি দেখতে না পাও, তবে তিনি যেন তোমাকে দেখছেন।’ (বোখারি : ৫০, মুসলিম : ৮)

কিন্তু অনেক নামাজি প্রায় একটা সমস্যায় ভুগে থাকেন। সেটা হলো, মাঝেমধ্যেই নামাজের রাকাত সংখ্যা নিয়ে দ্বিধায় পড়েন। আদায়কৃত নামাজ তিন রাকাত হলো না চার রাকাত হলো, বিষয়টি মনে করতে পারেন না। আবার অনেকের নামাজের ভেতরেই সন্দেহ তৈরি হয়। ফলে কেউ সন্দেহ নিয়ে নামাজ শেষ করেন। আবার কেউ নতুন করে নামাজ আদায় করে থাকেন। এই অবস্থায় কীভাবে নামাজ আদায় করতে হবে, কালবেলার পাঠকদের জন্য তা সংক্ষেপে তুলে ধরা হলো—

ফুক্বাহায়ে কেরাম বলছেন, কেউ যদি এমন সমস্যার মুখোমুখি হন, তবে তিনি চিন্তা করে দেখবেন যে, তিনি আসলে কত রাকাত পড়েছেন। তখন প্রবল ধারণা যেটির পক্ষে সায় দেবে, তার ওপর ভিত্তি করে বাকি নামাজ পূর্ণ করবেন। আর যদি নামাজের রাকাতসংখ্যার ব্যাপারে প্রবল ধারণা না হয়, তাহলে কম সংখ্যাটা ধরবেন এবং এ হিসেবে বাকি নামাজ পূর্ণ করে সিজদা সাহু দেবেন

প্রখ্যাত ইসলামি স্কলার শায়খ আহমাদুল্লাহ বলেন, নামাজে কত রাকাত পড়েছেন আপনার সন্দেহ হচ্ছে— তিন রাকাত নাকি চার রাকাত। এ ক্ষেত্রে প্রথম কথা হলো, যদি আপনার প্রবল ধারণা হয়, আমার কমেরটাই বেশি মনে হচ্ছে, অর্থাৎ তিন আর চারের মধ্যে সন্দেহকালে তিন রাকাতই বেশি মনে পড়ছে, তবে এ অবস্থায় আরেক রাকাত পড়ে সিজদা সাহু করে নেবেন। আর যদি দুটোই সমান সমান মনে হয়, অর্থাৎ তিনের পক্ষে মন টানে আবার চারের পক্ষেও মন টানে, তাহলে কমটা ধরে আরও এক রাকাত পড়ে সিজদা সাহু দিয়ে নামাজ শেষ করবেন। নামাজ হয়ে যাবে ইনশাআল্লাহ।

হাদিস শরিফে হজরত আবদুর রহমান ইবনে আউফ (রা.) থেকে বর্ণিত, নবীজি (সা.) বলেছেন, ‘তোমাদের কারো যদি নামাজের মধ্যে সন্দেহ হয়, ফলে সে জানে না যে এক রাকাত পড়ল না কি দুই রাকাত, তাহলে সে যেন এক রাকাত ধরে নিয়ে নামাজ পড়ে। আর যদি দুই রাকাত পড়ল না তিন রাকাত, তা না জানে তাহলে যেন দুই রাকাত ধরে নামাজ পড়ে এবং (এসব ক্ষেত্রে) সালাম ফেরানোর পূর্বে দুটি সিজদা আদায় করে (অর্থাৎ সিজদা সাহু করে)।’ (তিরমিজি : ৩৯৮)

Lading . . .