Advertisement
  • হোম
  • ধর্ম
  • ইসলাম ধর্ম অনুযায়ী কোন বয়সে নামাজ শুরু করা উচিত?

ইসলাম ধর্ম অনুযায়ী কোন বয়সে নামাজ শুরু করা উচিত?

কালবেলা

প্রকাশ: ৯ আগস্ট, ২০২৫

ছবি : সংগৃহীত
ছবি : সংগৃহীত

নামাজ (সলাত) ইসলাম ধর্মের একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ স্তম্ভ। এটি প্রত্যেক মুসলমানের ওপর ফরজ (আবশ্যিক) ইবাদত, যা দৈনন্দিন জীবনের মূল অংশ হিসেবে বিবেচিত। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে— কোন বয়স থেকে একজন মুসলমানের জন্য নামাজ আদায় করা বাধ্যতামূলক বা ফরজ হয়? ধর্ম কী বলে এই বিষয়ে?

ইসলামী দৃষ্টিকোণ থেকে নামাজের বয়স

হাদীস ও ফিকহ অনুযায়ী, শিশুকে নামাজ শেখানো ও অভ্যস্ত করানো শুরু করতে হবে সাত বছর বয়সে। আর দশ বছর বয়স হলে তাকে নামাজ না পড়লে শাসন করতে হবে, যাতে সে গুরুত্ব বোঝে এবং নিয়মিত হয়।

সহীহ হাদিস অনুযায়ী

‘তোমরা তোমাদের সন্তানদের সাত বছর বয়সে নামাজের নির্দেশ দাও, আর দশ বছর হলে নামাজ না পড়লে শাস্তি দাও এবং তাদের বিছানা আলাদা করে দাও।’ (সুনানে আবু দাউদ: 495)

সাত বছর বয়সে কী করতে হবে?

- শিশু তখন বুঝতে শেখে- ঠিক ও ভুলের পার্থক্য করতে পারে।

- তাকে নরম ভাষায় নামাজের গুরুত্ব শেখানো উচিত।

- ঘরের পরিবেশে নামাজের শিক্ষা ও অনুশীলন শুরু করাতে হবে।

- নামাজের আগে অজু, পবিত্রতা ও নামাজের নিয়ম-কানুন শেখাতে হবে।

দশ বছর বয়সে কীভাবে গুরুত্ব আরোপ করা হয়?

- তখন তাকে নামাজের গুরুত্ব সম্পর্কে আরও গভীরভাবে বুঝাতে হবে।

- যদি নিয়মিত না পড়ে, তাহলে হালকা শাসন বা সতর্ক করা যায়।

- তবে শাস্তির ধরন হতে হবে সহনীয়, গঠনমূলক এবং শিক্ষামূলক।

কখন নামাজ ফরজ হয়?

ইসলামী শরিয়ত অনুযায়ী, বালেগ হওয়ার পর নামাজ ফরজ (আবশ্যিক) হয়।

বালেগ হওয়া বলতে কি বোঝায়-

- ছেলেদের ক্ষেত্রে স্বপ্নদোষ, যৌবনে পদার্পণ অথবা ১৫ বছর পূর্ণ হলে (যদি আগের লক্ষণ না আসে)।

- মেয়েদের ক্ষেত্রে হায়েজ (ঋতুস্রাব) শুরু হলে বা সর্বোচ্চ ১৫ বছর বয়সে।

অতএব, বালেগ হওয়ার পর নামাজ না পড়া কবিরা গুনাহ (মহা পাপ)।

ইসলাম শিশুদের প্রতি দয়ালু ও ধৈর্যশীল আচরণের শিক্ষা দেয়। তাই সাত বছর বয়সে নামাজের প্রতি উৎসাহ দেওয়া উচিত, দশ বছর বয়সে গুরুত্ব আরোপ করতে হবে এবং বালেগ হওয়ার পর থেকে নামাজ ফরজ হয়ে যায়। অভিভাবকদের কর্তব্য হলো- ভালোবাসা, উদাহরণ ও সহানুভূতির মাধ্যমে সন্তানদের নামাজে আগ্রহী করে তোলা।

আল্লাহ আমাদের সবাইকে নামাজের প্রতি যত্নবান করে তুলুন।

Lading . . .