প্রকাশ: ৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

আজ ১২ রবিউল আউয়াল। বিশ্বনবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর জন্ম ও ওফাত দিবস। সারা বিশ্বের মুসলমানরা দিনটিকে পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) হিসেবে পালন করেন। নানা আনুষ্ঠানিকতায় দিনটি পালন করা হয়।
সৌদি আরবের মক্কার কুরাইশ বংশে ৫৭০ খ্রিস্টাব্দের এই দিনে মহানবী (সা.) জন্মগ্রহণ করেন। একই দিনে ৬৩২ খ্রিস্টাব্দে তিনি ইহলোক ত্যাগ করেন। তাঁর বাবা আবদুল্লাহ জন্মের আগেই মৃত্যুবরণ করেন এবং ছয় বছর বয়সে মা আমিনাকেও হারান।
এই উপমহাদেশে মিলাদুন্নবী পালনের ঐতিহ্য প্রায় ৪০০ বছরের। সুন্নি মতাদর্শী ইসলামী চিন্তাবিদরা শরিয়তসম্মতভাবে ঈদে মিলাদুন্নবী পালনের তাৎপর্যের কথা উল্লেখ করলেও এ বিষয়ে ভিন্নমতও রয়েছে। ইসলামী চিন্তাবিদদের মতে, মহানবীর (সা.) আগমন পুরো বিশ্বের জন্য বরকতময়। তাই এদিনে মিলাদ, নফল রোজা ও ইসলামী বয়ানের ওপর গুরুত্ব দেওয়া হয়।
বাংলাদেশসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ঈদে মিলাদুন্নবী যথাযোগ্য মর্যাদায় পালিত হচ্ছে। আজ শনিবার বাংলাদেশে সরকারি ছুটি।
এ উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন এবং অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস পৃথক বাণী দিয়েছেন। রাষ্ট্রপতি তার বাণীতে বলেন, মহানবী (সা.) সাম্য ও ন্যায়ভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠার পাশাপাশি মানুষের ন্যায্য অধিকার ও মর্যাদা নিশ্চিত করেছিলেন। আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন ও ইহকাল-পরকালীন কল্যাণের জন্য তাঁর প্রতিটি কথা, কর্ম ও জীবনাদর্শ মুসলমানদের জন্য অনুসরণীয়।
প্রধান উপদেষ্টা তার বাণীতে বলেন, মহানবী (সা.)-এর অনুপম জীবনাদর্শ, সর্বজনীন শিক্ষা ও সুন্নাহ আজকের দ্বন্দ্ব-সংঘাতময় বিশ্বে শান্তি, ন্যায় ও কল্যাণ প্রতিষ্ঠায় অনন্য ভূমিকা রাখতে পারে। ধর্মীয় ও পার্থিব জীবনে মহানবী (সা.)-এর সুমহান আদর্শ মুসলমানদের জন্য অফুরন্ত কল্যাণ, সফলতা ও শান্তির পথ নির্দেশ করে।
দিনটি উপলক্ষে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে পক্ষকালব্যাপী কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। শুক্রবার বাদ মাগরিব বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের পূর্ব সাহানে এ কর্মসূচির উদ্বোধন হয়।
এছাড়া ঢাকা ছাড়াও চট্টগ্রাম, সিলেট, খুলনা ও রাজশাহীর মতো প্রধান শহরে শোভাযাত্রা, ধর্মীয় আলোচনা ও জামাতের আয়োজন করা হয়েছে। এসব কর্মসূচি সুষ্ঠু ও নিরাপদে সম্পন্ন করতে বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
ইএইচ
আরও পড়ুন