‘দুই শিক্ষককে দেখে আমার কান্না চলে আসছিল’ বললেন সাফা কবির
প্রকাশ: ৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

ক্যারিয়ারে প্রথমবার ভিন্ন এক অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হলেন অভিনেত্রী সাফা কবির। ফিরে গেলেন শৈশবের দিনগুলোতে। নানা অভিজ্ঞতায় কাটল প্রিয় স্কুল ও কলেজে। যে প্রতিষ্ঠানে তিনি পড়াশোনা করেছেন সম্প্রতি সেখানেই গিয়েছিলেন বিশেষ অতিথি হয়ে। একসময় প্রিয় শিক্ষকদের দেখে ইমোশনালও হয়ে গিয়েছিলেন এই অভিনেত্রী। শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে অনুপ্রেরণামূলক বক্তব্যও দেন সাফা।
এই নাট্য অভিনেত্রী সেই অভিজ্ঞতা প্রসঙ্গে জানান, তাঁর শৈশব ও কৈশোরের সেরা সময় কেটেছে এই বিএএফ শাহীন স্কুল অ্যান্ড কলেজে। সেই প্রিয় প্রতিষ্ঠান থেকে আমন্ত্রণ জানানোর পরে আর না করেননি।
সাফা বলেন, ‘আমি কখনোই কোথাও অতিথি হয়ে যাই না। কিন্তু আমার প্রতিষ্ঠান থেকে ফোন দেওয়ায় পরে রাজি না হয়ে আর পারিনি। এটা ছিল আমার জন্য বিশেষ এক মুহূর্ত। আমি যখন স্কুলে পা রাখলাম, তখন মনে হলো শৈশবে ফিরে এলাম। আমি ছিলাম স্কুলে মেয়েদের ক্যাপ্টেন। খেলাধুলা, বিতর্কসহ নানা আয়োজনে অংশ নিতাম। সেই শৈশবের স্মৃতিগুলোই বারবার মনে পড়ছিল।’
পুরো সময়টাই তিনি শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের সঙ্গে কাটিয়েছেন। অতিথি হয়ে অংশ নিয়ে শুরুতেই বসতে হয় শিক্ষার্থীদের সঙ্গে। তখন কিছুটা দ্বিধায় পড়ে যান। কারণ, শিক্ষকদের সঙ্গে বসা ঠিক হবে কি না ভাবতে থাকেন। উঠেও যান শিক্ষকদের সারি থেকে। তবে অনেকের অনুরোধেই শিক্ষকদের সারিতেই সাফাকে বসতে হয়।
সাফা বলেন, ‘আমার অনেকের সঙ্গে বন্ধুত্ব এই স্কুল থেকেই তৈরি হয়েছিল। এখানে আমার পছন্দের অনেক শিক্ষক ছিলেন। ভেবেছিলাম শিক্ষকদের অনেকের সঙ্গে হয়তো দেখা হবে। পরে জানতে পারি, অনেকেই অবসরে চলে গেছেন। আমাদের সময়ের দুজন শিক্ষককে পেয়েছিলাম। দুই শিক্ষককে দেখে আমার কান্না চলে আসছিল। তাঁদের আমি আগেই চিনতে পেরেছিলাম।’
অতিথি হয়ে এসেও খ্যাতির বিড়ম্বনায় পড়তে হয়। শিক্ষার্থীরা অনেকেই তাঁকে ঘিরে ধরেন ছবি তোলার জন্য। এমনকি বেশ কয়েকজন শিক্ষকও তাঁর কাজ নিয়ে প্রশংসা করেন। ‘আমার শিক্ষকেরা বলছিলেন, আমার নাটক পরিবারের সবাই মিলে দেখেন। তখন অদ্ভুত এ ভালো লাগা কাজ করছিল।’—বলেন সাফা।
অতিথি হয়ে শিক্ষার্থীদের অনুপ্রেরণামূলক কথা বলেন এই অভিনেত্রী। কীভাবে শিক্ষার্থীরা দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারে, কীভাবে তারা মানুষের মতো মানুষ হয়ে দেশের সেবা করতে পারে এমন বিষয় নিয়ে কথা বলেন। সাফা বলেন, ‘আমি জীবনে কখনোই ভাবিনি আমার প্রতিষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হয়ে আসব। শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে অনুপ্রেরণামূলক কথা বলব। আমার সবচেয়ে ভালো লেগেছে এই প্রতিষ্ঠানের অনেকেই মনে করে আমি তাদের গর্ব। একইভাবে আমি মনে করি এমন একটি স্কুল ও কলেজে পড়াশোনা করতে পেরে আমি গর্বিত। নিজের স্কুলে অনুপ্রেরণার নাম হয়ে আসতে পেরেছি, এটাই আমার সার্থকতা।’ সাফা বিএএফ শাহীন স্কুল অ্যান্ড কলেজের ইংলিশ সামিট প্রোগ্রামে অতিথি হয়ে অংশ নেন। ইংরেজিসহ নানা বিষয়ে শিক্ষার্থীদের উৎসাহ দেন। শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ঘুরে দেখেন পুরো ক্যাম্পাস।