প্রকাশ: ৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

টেলিভিশনের জনপ্রিয় অভিনেতা আশিস কাপুরের বিরুদ্ধে ধর্ষণের মতো গুরুতর অভিযোগ আনা হয়েছে। অভিনেতাকে পুনে থেকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এই খবর প্রকাশ্যে আসার পর তোলপাড় ভারতের বিনোদন অঙ্গন।
অভিযোগ যে আগস্টে দিল্লিতে এক হাউস পার্টি চলাকালে আশিস কাপুর শৌচাগারে এক নারীকে ধর্ষণ করেছিলেন। আশিসের বিরুদ্ধে দিল্লির সিভিল লাইনস পুলিশ স্টেশনে মামলা করেছিলেন ওই নারী। আর তার পর থেকে দিল্লি পুলিশ তাঁকে গ্রেপ্তার করার জন্য অভিযান শুরু করে। আশিসের মুঠোফোনের সূত্র ধরে পুলিশ বিভিন্ন লোকেশনে যায় পুলিশ। অবশেষে এই টেলি তারকাকে পুনে থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। সূত্র: এএনআই
পুলিশ জানিয়েছে যে অভিযোগকারীর বক্তব্য অনুযায়ী আগস্টের দ্বিতীয় সপ্তাহে দিল্লিতে এক হাউস পার্টির সময় শৌচাগারে তাঁকে ধর্ষণ করা হয়েছে। ওই নারী ১১ আগস্ট এফআইআর করেছিলেন। তার পর থেকে আশিসকে গ্রেপ্তারে অভিযান শুরু করে দিল্লি পুলিশ। পুলিশ আরও জানিয়েছে, আশিসকে গ্রেপ্তার করা হলেও অভিযোগকারীর বয়ানে অসংগতি রয়েছে। অভিযোগকারী নারী প্রথমে আশিসের সঙ্গে আরও কিছু অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তির বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছিলেন। পরে তিনি তাঁর বয়ান বদলে দিয়েছিলেন। নির্যাতিতা প্রথমে অভিযোগ করেছিলেন যে আশিস আরও কিছু অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিদের সঙ্গে মিলে তাঁকে ধর্ষণ করেছেন। পরে তিনি তাঁর বয়ান বদলে শুধু আশিসের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছিলেন। নারীর দাবি যে এই ঘটনার ভিডিও করা হয়েছিল। কিন্তু তদন্ত চলাকালে পুলিশের হাতে এমন কোনো ভিডিও ফুটেজ আসেনি। এখন মেডিকেল রিপোর্টও হাতে পায়নি পুলিশ।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের খবর অনুযায়ী, তদন্তকারী পুলিশ কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ ও প্রত্যক্ষদর্শীর বয়ানের ভিত্তিতে দেখা গেছে, পার্টির সময় ওই নারী ও আশিস কাপুর একসঙ্গে টয়লেটে ঢোকেন। অনেকক্ষণ বাইরে না আসায় অভিনেতার বন্ধু ও অতিথিরা দরজায় ধাক্কা দিতে শুরু করেন। এরপর উভয় পক্ষের মধ্যে শুরু হয় বাগ্বিতণ্ডা, যা ধীরে ধীরে হাউজিং সোসাইটির গেট পর্যন্ত গড়ায়। অভিযোগকারিণীর দাবি, তখনই আশিসের বন্ধুর স্ত্রী তাঁর ওপর চড়াও হন এবং মারধর করেন।
আশিস ভারতের টেলিভিশনের দুনিয়ার পরিচিত এক মুখ। ছোট পর্দা ছাড়া বড় পর্দাতেও বেশ কিছু কাজ করেছেন তিনি। এই টেলি তারকা ইনস্টাগ্রামে সক্রিয় থাকতেন। আর তাঁর অনুসারীর সংখ্যাও উল্লেখযোগ্য। তবে এখন আশিসের ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। আশিসকে ‘সরস্বতীচন্দ্র’, ‘লাভ ম্যারেজ ইয়া অ্যারেঞ্জড ম্যারেজ’, ‘চাঁদ ছুপা বাদল মে’র মতো বেশ কিছু আলোচিত টেলি ধারাবাহিকে দেখা গেছে। ‘ইয়ে রিশতা ক্যায়া কহলাতা হ্যায়’–এর হাত ধরে সবচেয়ে বেশি পরিচিতি পান এ অভিনেতা। অভিনয়ের পাশাপাশি ইন্টেরিয়র ডিজাইনার হিসেবেও কাজ করেছেন তিনি।
আরও পড়ুন