রুপালি পর্দায় শর্মিলার ‘অমর প্রেম’ সিনেমার মতোই অমর হয়ে আছে তাঁদের ব্যক্তিগত জীবনের প্রেম

বিয়ের আগে ধর্মান্তরিত হয়ে নাম পাল্টিয়েছিলেন শর্মিলা

ভারতীয় অভিনেত্রী শর্মিলা ঠাকুর ও সাবেক ক্রিকেটার নবাব মনসুর আলী খান পতৌদির প্রেমের গল্প যেন সিনেমাকেও হার মানায়। ষাটের দশকে ভিন্ন ধর্মের এ দুজনের বিয়ে নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা কম হয়নি। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে আলোচিত এ বিয়ে নিয়ে কথা বলেছেন তাঁদের ছোট মেয়ে অভিনেত্রী সোহা আলী খান। মায়ের ধর্মান্তরিত হওয়া থেকে নতুন নাম ধারণ নিয়েও এদিন কথা বলেন তিনি।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম হটারফ্লাইকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে সোহা জানান, বিয়ের আগেই তাঁর মা শর্মিলা ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেছিলেন। শুধু তা–ই নয়, তাঁর নামও পরিবর্তন করা হয়েছিল। সোহা বলেন, ‘ইসলামে মায়ের নাম রাখা হয় আয়েশা। তবে সবাই মাকে শর্মিলা ঠাকুর হিসেবেই চেনেন।’ এ নাম নিয়ে মজার গল্পও শেয়ার করেন সোহা। বলেন, ‘এই নাম নিয়ে অনেক মজার গল্প আছে। মা কখনো শর্মিলা নামে আবার কখনো আয়েশা নামে স্বাক্ষর করতেন।’
ধর্মান্তর থেকে বিয়ে—সবকিছু নিয়ে সমাজের অনেক কটু কথা শুনতে হয়েছে শর্মিলা ঠাকুরের পরিবারকে। মোজো স্টোরিতে বরখা দত্তকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে শর্মিলা ঠাকুর জানিয়েছিলেন, যদিও দুই পরিবার এ বিয়ে মেনে নিয়েছিল, তবে কিছু মানুষ যেন মানতে পারেনি।

শর্মিলা ঠাকুর বলেন, ‘কলকাতায় যখন আমার বিয়ে হচ্ছিল, আমার বাবা-মাকে টেলিগ্রাম পাঠিয়ে হুমকি দেওয়া হচ্ছিল। এর মধ্যে একটি টেলিগ্রামে লেখা ছিল—গুলিই কথা বলবে। আর টাইগারের (মনসুর আলী খান পতৌদি) পরিবারও এসব নিয়ে চিন্তিত হয়ে উঠছিল।’
শর্মিলা ঠাকুর ও মনসুর আলী খান পতৌদি বিয়ে করেন ১৯৬৮ সালের ২৭ ডিসেম্বর। মাত্র ২৪ বছর বয়সে, ক্যারিয়ারের গুরুত্বপূর্ণ সময়ে বিয়ে করেছিলেন শর্মিলা। সমাজের এসব সমালোচনা তোয়াক্কা করেননি দুজন।

সত্যজিৎ রায়ের হাত ধরে ১৯৫৯ সালে অভিনয়জগতে পা রাখেন শর্মিলা ঠাকুর। ‘অপুর সংসার’ সিনেমায় অভিনয় করে সবাইকে তাক লাগিয়ে দেন তিনি। এরপর আর পেছনে তাকাতে হয়নি। ‘কাশ্মীর কী কলি’র মধ্য দিয়ে বলিউডেও নিজের জায়গা পাকা করে নেন তিনি। এরপর একে একে অভিনয় করেন ‘অনুপমা’, ‘অ্যান ইভিনিং ইন প্যারিস’, ‘আরাধনা’, ‘দাগ’, ‘চুপকে চুপকে’ ইত্যাদির মতো সুপারহিট সিনেমায়।


তথ্যসূত্র: এনডিটিভি