‘ অটোগ্রাফ’— তারকাদের কাছ থেকে পাওয়া মহার্ঘ্য স্মারক। — একটা সময় এমনই মনে করা হতো। কিন্তু গত কয়েক দশকে সেই ‘অটোগ্রাফ’কে পেছনে ফেলে এগিয়ে এসেছে ‘ফটোগ্রাফ’। তারকার সই সংগ্রহের তুলনায় অনেক বেশি চটক তারকার পাশে ছবি তোলায়। এত বছর পর সেই ‘অটোগ্রাফ’ নিয়েই যে বিপদে পড়তে হবে, জানতেন না বলিউড বাদশাহ শাহরুখ খান, বলি ভাইজানখ্যাত অভিনেতা সালমান ও হৃতিক রোশনরা।
এবার সমস্যায় সালমান খান, শাহরুখ খান ও হৃতিক রোশন। জানা গেছে, স্বাধীনতা দিবসে রমরমিয়ে বিক্রি হয়েছে তাদের অজান্তে জাল সই (অটোগ্রাফ)। জাল সই বেচে ওই বিক্রেতা নাকি ভালো দামও পেয়েছেন। সেই কথা তিনি নিজে স্বীকার করেছেন।
নেটপ্রভাবী সার্থক সচদেব প্রথম জানিয়েছিলেন, বাদশাহ শাহরুখ খানের স্ত্রী গৌরী খানের ক্যাফেতে নকল পনির বিক্রি হচ্ছে। জাল সই বিক্রিও তারই কারসাজি। এক সংবাদমাধ্যমকে সার্থক সচদেব জানিয়েছেন, এক পেশাদার শিল্পীর সহায়তায় তিনি তিন তারকার সই জাল করেন। তার পর বিক্রি করতে শুরু করেন মুম্বাইয়ের রাস্তায়। প্রথমে সাধারণ মানুষ নাকি বিষয়টি নিয়ে দ্বিধায় ছিলেন। সার্থকের কথা বলার ভঙ্গিতে আকৃষ্ট হয়ে পরে তারাই কিনতে থাকেন সেই জাল সই।
কেন এ রকম করলেন নেটপ্রভাবী? সার্থক সচদেব জানিয়েছেন, মুম্বাইয়ে বলিউড তারকাদের প্রভাব কতটা — দেখতেই এ পন্থা নিয়েছিলেন। হাসতে হাসতে এ-ও জানিয়েছেন, প্রথম জাল সই বিক্রি করে ১০০ টাকা পান তিনি। এভাবে নকল সই বেচে ৩২০০ টাকা আয় করেছেন সার্থক সচদেব।
বিপদ যেন কিছুতেই পিছু ছাড়ছে না তারকাদের। এর আগে দামি গাড়ি নিয়ে সমস্যায় পড়েছিলেন বিগবি অমিতাভ বচ্চন ও মিস্টার পারফেকশনিস্ট আমির খান। তারা নাকি কর দেননি। কর্নাটক প্রশাসন এমনই অভিযোগ করেছিল। জরিমানার পরিমাণ প্রায় ৩৮ লাখ টাকা। পরে যদিও জানা যায়, বিষয়টি ভুয়া। ওই গাড়ি দুটি দুই তারকা আগে কিনলেও পরে তারা বিক্রি করে দেন।