এম. জি. রামচন্দ্রন, জয়ারাম জয়ললিতা ও পবন কল্যাণ। ছবি: সংগৃহীত

রুপালি পর্দায় বাজিমাতের পর মুখ্যমন্ত্রীর চেয়ারেও বসেছেন তারা

ভারতের রাজনৈতিক ইতিহাসে অভিনয় জগতের তারকাদের প্রভাব বেশ আলোচিত। সিনেমায় জনপ্রিয়তা নিয়ে অনেকেই রাজনীতির মঞ্চেও বাজিমাত করেছেন। সাধারণ মানুষ তাদের রূপালি পর্দায় যেমন পছন্দ করেছেন, বাস্তব জীবনেও তাদের নেতৃত্বে আস্থা রেখেছেন।

জয়া বচ্চন, হেমা মালিনী, পরেশ রাওয়াল, দেব, নুসরাত জাহান, মিমি চক্রবর্তীসহ একাধিক জনপ্রিয় চলচ্চিত্র তারকা অভিনয়ের গণ্ডি পেরিয়ে পৌঁছেছেন রাজনীতির শীর্ষ আসনে। তবে মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন হাতে গোনা কয়েকজন। সম্প্রতি তামিল অভিনেতা থালাপতি বিজয় রাজনীতিতে এসেছেন নতুন দল খুলে। রাজনৈতিক সমাবেশ করে আলোচনার জন্ম দিয়েছেন তিনি। আসছে নির্বাচনে তিনি তার রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে লড়বেন।

অভিনয় তারকা থেকে মুখ্যমন্ত্রী হয়েছেন যারা সেই তালিকা নিয়ে নিচে আলোচনা করা হলো-

এম. জি. রামচন্দ্রন

অভিনেতা থেকে তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী হয়েছেন এম. জি. রামচন্দ্রন। ভারতের অন্যতম প্রভাবশালী চলচ্চিত্র অভিনেতা ছিলেন এম. জি. রামচন্দ্রন। তামিল সিনেমায় কিংবদন্তি তিনি। ১৯৮০ সালের ৯ জুন থেকে ১৯৮৭ সালের ২৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত টানা তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন এই তারকা। তিনি অল ইন্ডিয়া আন্না দ্রাবিড়িয়ান প্রগ্রেসিভ ফেডারেশন (এআইএডিএমকে) দলের প্রতিষ্ঠাতাও ছিলেন।

ভি. এন. জানাকি রামচন্দ্রন

তামিল সিনেমার জনপ্রিয় অভিনেতা এম. জি. আরের স্ত্রী অভিনেত্রী জানাকি রামচন্দ্রন। স্বামীর পথ ধরে তিনিও এসেছিলেন রাজনীতিতে। স্বল্প সময়ের জন্য হয়েছিলেন তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী। ১৯৮৮ সালের ৭ জানুয়ারি থেকে ৩০ জানুয়ারি পর্যন্ত মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন তিনি। ভারতের প্রথম মহিলা মুখ্যমন্ত্রী হিসেবেও ইতিহাসে নাম লিখিয়েছেন এই অভিনেত্রী। ছিলেন বেশ জনপ্রিয়।

জয়ারাম জয়ললিতা

তামিল সিনেমার সুপারস্টার ছিলেন জয়ললিতা। রাজনৈতিকভাবেও দারুণ সফল তিনি। অল ইন্ডিয়া আন্না দ্রাবিড়িয়ান প্রগ্রেসিভ ফেডারেশন (এআইএডিএমকে)-র নেত্রী হিসেবে তিনি ১৯৯১ থেকে ২০১৬ সালের মধ্যে ছয়বার তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী নির্বাচিত হন। তার রাজনৈতিক ক্যারিয়ারে ১৪ বছরেরও বেশি সময় ধরে ক্ষমতায় ছিলেন তিনি। তাকে নিয়ে সিনেমাও তৈরি হয়েছে।

এন. টি. রামা রাও

তেলেগু সিনেমার অন্যতম বড় নাম এন. টি. আর। পুরো নাম তার এন. টি. রামা রাও। তিনি ১৯৮৩ সাল থেকে শুরু করে চারটি মেয়াদে মোট সাত বছর অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন। তিনি তেলেগু দেসাম পার্টি (টিডিপি)-এর প্রতিষ্ঠাতা।

ভাগবন্ত মান

জনপ্রিয় কৌতুকাভিনেতা ভাগবন্ত মান ২০২২ সালে আম আদমি পার্টির প্রার্থী হিসেবে পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী হন। তিনি সিনেমা ও টিভি ছাড়াও মঞ্চে পারফর্ম করে ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করেছিলেন।

জাগোনিউজের খবর পেতে ফলো করুন

পবন কল্যাণ

তেলেগু সুপারস্টার পবন কল্যাণ ২০২৪ সালে অন্ধ্রপ্রদেশে উপ-মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন। জনসেনা পার্টির প্রতিষ্ঠাতা এই অভিনেতা বর্তমানে চর্চার কেন্দ্রবিন্দুতে। একদিকে সিনেমা সামলে যাচ্ছেন, তার সঙ্গেই চলছে রাজনীতিও।