তামিল সিনেমার জনপ্রিয় নায়ক থালাপতি বিজয়। ছবি : সংগৃহীত

সিনেমার নায়ক থেকে জনতার নায়ক: থালাপতি বিজয়ের রাজনীতিতে অভিষেক

তামিল সিনেমার জনপ্রিয় নায়ক থালাপতি বিজয় এখন শুধু পর্দার নায়ক নন—তিনি হয়ে উঠেছেন বাস্তবের জননেতা। বৃহস্পতিবার (২১ আগস্ট) ভারতের তামিলনাড়ুর মাদুরাই জেলায় অনুষ্ঠিত এক বিশাল জনসভায় লাখো মানুষের সামনে হাজির হয়ে, তিনি জানিয়ে দিলেন—এবার তিনি রাজনীতির ময়দানে।

মঞ্চে উঠে বিজয় শুধু নিজের উপস্থিতিতেই নয়, বক্তব্য দিয়েও বাজিমাত করেন। তিনি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং ক্ষমতাসীন বিজেপি দলের বিরুদ্ধে কড়া অবস্থান নেন। তার কথায়, ‘আমাদের একমাত্র আদর্শগত শত্রু বিজেপি। আজ আমরা ফ্যাসিবাদী বিজেপির বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করছি।’

এই ঘোষণা দিতেই গোটা জনসভা গর্জে ওঠে—উচ্ছ্বসিত ভক্তদের উল্লাসে মুখর হয়ে ওঠে পুরো এলাকা।

এই জনসভা ছিল থালাপতি বিজয়ের গড়া রাজনৈতিক দল ‘তামিলাগা ভেট্রি কাজাগম’ (টিভিকে)-এর আয়োজিত একটি বড় সমাবেশ। মাত্র ৮ মাস আগে দল গঠন করেই বিজয় সরাসরি রাজনীতির মাঠে নেমেছেন। তিনি ঘোষণা করেছেন, ২০২৬ সালের রাজ্য বিধানসভা নির্বাচনে মাদুরাই আসন থেকে নির্বাচন করবেন।

কেন হঠাৎ রাজনীতিতে?

অনেকে ভাবছেন, সিনেমায় এত সফল একজন তারকা কেন হঠাৎ রাজনীতিতে এলেন? বিজয়ের ভাষায়, ‘রাজনীতি সিনেমার মতো অভিনয়ের জায়গা নয়, এটা একটা যুদ্ধক্ষেত্র। এখানে অন্যায়ের বিরুদ্ধে লড়াই করতেই আমি এসেছি।’

তার মতে, রাজনীতি কোনো পেশা নয়—এটা জনসেবা। এই সাহসী অবস্থান ও সরাসরি কথাগুলো মুগ্ধ করেছে শুধু ভারতের মানুষকেই নয়, বাংলাদেশের ভক্তরাও ব্যাপকভাবে প্রশংসা করেছেন বিজয়ের।

সামাজিক মাধ্যমে অনেকেই লিখেছেন, সিনেমার নায়ক এখন বাস্তবের নায়ক। জনতার নেতা হয়ে উঠেছেন তিনি।

জনসভায় দেখা গেছে, বিজয়ের কপালে ও হাতে ছিল কমলা-হলুদ গামছা বাঁধা, যেন এক যুদ্ধের প্রস্তুতি নিয়েছেন। তার সঙ্গে অভিবাদন বিনিময়ের সময় পুরো মঞ্চ ছিল উচ্ছ্বসিত মানুষের ঢলে ভরপুর।