কেজিএফ নয়, আয়ের রেকর্ড তৈরি করেছিল অন্য এক সিনেমা
হঠাৎ করেই যেন দর্শকদের চমকে দিল কেজিএফ। সিনে পর্দা না শুধু, দেশের গণ্ডি ছাড়িয়ে বিদেশেও ছড়িয়ে পড়েছে যার জয় জয়কার। শুধু সিনেমা নয়, এক নামে চিনতে শুরু করল কন্নড় সিনে ইন্ডাস্ট্রি। এত জনপ্রিয় ইন্ডাস্ট্রি হয়ে উঠলেও এখানেই এমন একটি সিনেমা রয়েছে, যার নামই হয়তো আপনি কখনোই শোনেননি।
‘মুংগারু মালে’। নামটা হয়তো পরিচিত নয় আপনার। আপনি হয়তো জানেন, কেজিএফ কন্নড় সিনেমার সবচেয়ে বেশি আয় করা সিনেমা। তবে জানলে অবাক হবেন, কেজিএফ নয়, বরং ‘মুংগারু মালে’ কন্নড় সিনেমা ইতিহাসের সবচেয়ে বেশি রেকর্ডব্রেকিং আয় গড়া সিনেমার তালিকার প্রথম নাম।
প্রায় ৭০ লাখ ভারতীয় রুপিতে নির্মিত এই সিনেমাটি, প্রায় ৭৫ কোটির ব্যবসা করে গড়েছে অবর্ণনীয় এক ইতিহাস। সাধারণত কোনো ছবি যদি ব্যয়ের দ্বিগুণ আয় করে, সেটিকে ‘সুপারহিট’ বলা যায়। তার চেয়েও বেশি আয় করলে, সেটা ‘ব্লকবাস্টার’। এদিকে ‘মুংগারু মালে’ সিনেমাটি বাজেটের একশ গুণেরও বেশি আয় করে রীতিমত বিরল এক মাইলফলক তৈরি করেছে। শুধু তাই নয়, এই সিনেমাটি একটানা এক বছরেরও বেশি সময় ধরে প্রেক্ষাগৃহে চলার রেকর্ডও রয়েছে।
লেখক ও পরিচালক যোগরাজ ভাট ২০০৬ সালে নবাগত অভিনেতা ও অভিনেত্রী গণেশ এবং পূজা গান্ধীকে নিয়ে নির্মাণ করেন রোমান্টির ড্রামা ‘মুংগারু মালে’। সিনেমাটি ২৯ ডিসেম্বর মুক্তির পর ধীরে ধীরে জনপ্রিয়তা পেতে শুরু করে এবং দর্শকজনপ্রিয়তার বলে সিনেমাটির ‘গোল্ডেন জুবিলি’ উদ্যাপন করা হয়। বেঙ্গালুরুর পিভিআর মাল্টিপ্লেক্সে এটি টানা ৪৬০ দিন চলেছিল, যা এক অভূতপূর্ব রেকর্ড। এটি প্রথম কন্নড় ছবি, যেটি প্রায় ৫০ কোটি রুপি বিশ্বব্যাপী আয় করে। মোট আয় ছিল ৭৫ কোটি, যার মধ্যে ৫৭ কোটি কেবল কর্ণাটক থেকেই আসে। এই রাজ্যে ছবিটি ‘ইন্ডাস্ট্রি হিট’ হিসেবে স্বীকৃতি পায়।
শুধু তাই নয়, এটি কর্ণাটকের ইতিহাসে ৮৬৫ দিনেরও বেশি সময় ধরে চলা প্রথম ছবি। এমন কি এটি হলো ভারতের প্রথম ছবি (যে কোনো ভাষার জন্য) যা এক বছরেরও বেশি সময় ধরে একটি মাল্টিপ্লেক্সে একটানা প্রদর্শিত হয়ে গড়েছে রেকর্ড। এই সিনেমাটি কন্নড় সিনে ইন্ডাস্ট্রির বক্স অফিস রেকর্ড এক দশকেরও বেশি সময় ধরে অটুট ছিল।
এই সিনেমাটি পরবর্তীতে, তেলেগু ভাষায় ‘ভানা’, ভারতীয় বাংলায় ‘প্রেমের কাহিনি নামে, ওড়িয়ায় ‘রোমিও - দ্য লাভার বয়’ এবং মারাঠি ভাষায় ‘প্রেময় নমঃ’ নামে রিমেক করা হয়।