আমিনুলের কাছে জায়গা হারিয়েও অভিযোগ নেই আশরাফুলের
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুল বুঝতে পেরেছেন জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ (এনএসসি) মনোনীত পরিচালক হিসাবে থাকলে যে কোনো সময় বাদ পড়তে পারেন। এমন আশঙ্কা থেকে ঢাকা বিভাগীয় ক্রীড়া সংস্থার কাউন্সিলর হয়ে পরিচালক পদে লড়তে চান তিনি। তাই মোহাম্মদ আশরাফুলকে সরিয়ে ঢাকা বিভাগীয় ক্রীড়া সংস্থার কাউন্সিলর করা হয়েছে তাকে। তবে অভিভাবকতুল্য আমিনুলের কাছে নিজের জায়গা হারালেও কোনো অভিযোগ নেই আশরাফুলের। শুক্রবার মিরপুর স্টেডিয়ামে আশরাফুল জানালেন, তার কোনো অভিযোগ নেই। একই সঙ্গে এনএসসি থেকে মনোনীত পরিচালক নাজমুল আবেদীন ফাহিমকেও ঢাকা জেলা ক্রীড়া সংস্থার অ্যাডহক কমিটিতে যুক্ত করা হয়েছে। তিনিও কাউন্সিলর হবেন। এরপর বিসিবির নির্বাচনে পরিচালক পদে লড়বেন। নাজমুলকে জায়গা দিতে গিয়ে অ্যাডহক কমিটি থেকে বাদ দিতে হয়েছে সাথিরা জাকির জেসিকে।
নাজমুল আবেদীনও ক্রীড়া উপদেষ্টার কাছে প্রস্তাব দেন, এনএসসির বাইরে থেকে তাকে পরিচালক করা হোক। সেই হিসাবে ঢাকা জেলা ক্রীড়া সংস্থার কাউন্সিলর হবেন তিনি। আমিনুলকে জায়গা ছেড়ে দেওয়া নিয়ে আশরাফুল বলেন, ‘ছোটবেলায় আমি যখন বলবয় ছিলাম, তখন থেকে বুলবুল ভাইয়ের খেলা দেখে বড় হয়েছি। লেভেল-থ্রি কোচিং উনার জন্য করছি। এনএসসি থেকে আমাকে বলা হয়েছিল, আমি যেন খুশিমনে বুলবুল ভাইয়ের জন্য জায়গা ছেড়ে দিই।’ তিনি বলেন, ‘যারা ক্রিকেট বোঝে, ক্রিকেটের সঙ্গে আছে, শেষ তিন-চার মাস যেভাবে বুলবুল ভাই কাজ করছেন, এটাই হওয়া উচিত।’ বিসিবির সভাপতির লড়াইয়ে রয়েছেন তামিম ইকবাল ও আমিনুল। এ দুজনকে নিয়ে আশরাফুল বলেন, ‘তারা বিসিবি সভাপতি হওয়ার জন্য লড়ছেন। দুজনের জন্যই শুভকামনা রইল।’
এদিকে যেভাবে এনএসসি থেকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে, সেটা বিসিবির গঠনতন্ত্রের পরিপন্থি কি না এবং এই পদক্ষেপ সরকারের সরাসরি হস্তক্ষেপ কি না, এমন প্রশ্ন উঠেছে। তার মানে, জেলা ও বিভাগীয় জেলা ক্রীড়া সংস্থায় অ্যাডহক কমিটিতে যাদের রাখা হয়েছে, তাদের মধ্য থেকেই কাউন্সিলর করা হবে। সেক্ষেত্রে সরকার অনুমোদিত ব্যক্তিরা কাউন্সিলর হবেন। আইসিসির নির্দেশনা অনুযায়ী, ক্রিকেট বোর্ডে সরকারের সরাসরি হস্তক্ষেপ থাকতে পারবে না। সব মিলিয়ে বিসিবি নির্বাচনের সময় যত এগিয়ে আসছে, সংশয়, প্রশ্ন আর বিতর্কের মেঘও ঘনীভূত হচ্ছে ক্রমে। সব ঠিক থাকলে অক্টোবরের শুরুতে হবে বিসিবির নির্বাচন।