ভারত ফেভারিট নয়: সূর্যকুমার
এই সময়: অংশগ্রহণকারী আট দেশের ক্যাপ্টেনকে পাশাপাশি বসিয়ে হচ্ছিল প্রেস কনফারেন্স। শেষ হওয়ার পরে সবাই যখন একে অন্যের সঙ্গে হ্যান্ডশেক করছেন, পাকিস্তান ক্যাপ্টেন সলমন আগাকে দেখা যায়, কারও সঙ্গে হ্যান্ডশেক না করে দরজার দিকে এগিয়ে যাচ্ছেন। স্বভাবতই দ্রুত এই ছবি ভাইরাল হয় সোশ্যাল মিডিয়ায়।
একই সঙ্গে দেখা যায়, সবার সঙ্গে হেসে কথা বলছেন ভারতের ক্যাপ্টেন সূর্যকুমার যাদব ও আফগানিস্তানের ক্যাপ্টেন রশিদ খান। বিতর্কে অবশ্য কিছু পরে জল ঢেলেছে অন্য একটি ভিডিয়ো। যেখানে দেখা যাচ্ছে, হল ছেড়ে দেওয়ার আগে পাক ক্যাপ্টেনও অন্যদের সঙ্গে হ্যান্ডশেক করছেন। যেখানে সূর্যকুমারও আছেন।
আটজন ক্যাপ্টেন থাকলেও অধিকাংশ প্রশ্নই ছিল সূর্য আর সলমনকে উদ্দেশ্য করে। ভারত আজ প্রথম নামছে আমিরশাহির বিরুদ্ধে। কিন্তু সবার চোখ আগামী রবিবার ভারত–পাকিস্তান ম্যাচকে ঘিরে। ভারতই কি টুর্নামেন্টে ফেভারিট? এই প্রশ্নে সূর্যের পাল্টা প্রশ্ন, ‘কে বলেছে? এমন কথা কিন্তু আমি বলিনি। এশিয়ার সেরা টিমগুলো এখানে খেলছে। আমরা ভালো প্রস্তুতি নিয়েছি। এখন মাঠে নামার জন্য মুখিয়ে আছি।’
পাক অধিনায়ক আবার বলছেন, ‘টি–টোয়েন্টি টুর্নামেন্টে কেউ ফেভারিট হয় না। যে কেউ জিততে পারে। নিজেদের দিনে একটা ওভার বা মাত্র কয়েকটা বলে ম্যাচ বদলে দিতে পারে যে কোনও টিম।’
মাঠের মধ্যে ভারত–পাকিস্তান ম্যাচে আগ্রাসন কতটা জরুরি হতে পারে? সূর্য বলছেন, ‘মাঠে নামলে আগ্রাসন থাকবেই। যদি আপনি জিততে চান।’ আবার পাক ক্যাপ্টেন সলমন পাল্টা বলছেন, ‘কেউ যদি মাঠে আগ্রাসী হতে চায়, আমার দিক থেকে কোনও আপত্তি নেই। ফাস্ট বোলাররা স্বাভাবিক ভাবেই আগ্রাসন দেখাতে চায়। যতক্ষণ তা সীমা না লঙ্ঘন করছে, আমি ব্যাপারটা নিয়ে কিছু বলতে চাই না। এটুকু থাকবেই।’
উইকেটের পিছনে ভারত সঞ্জুকে রাখবে, না জিতেশকে? এই প্রশ্নে রসিকতা করে সূর্য প্রেস মিটে প্রশ্নকর্তাকে বলেন, ‘আমি আপনাকে রাতে মেসেজ করে বলে দেব। দু’জনেই খুব ভালো প্র্যাক্টিস করেছে। দু’জনেই খেলার জন্য তৈরি।’
এখন পর্যন্ত যা ইঙ্গিত মিলছে, দুবাইয়ের গরমের কথা ভেবে ভারত তিন স্পিনার খেলানোর দিকে ঝুঁকে। ওপেনার হিসেবে যাবেন অভিষেক ও শুবমান। তিনে তিলক, চারে ক্যাপ্টেন সূর্য। পাঁচে হার্দিক, ছয়ে জিতেশ ও সঞ্জুর মধ্যে একজন। সাতে অলরাউন্ডার অক্ষর, আটে কুলদীপ। নয় ও দশে দুই পেসার। বুমরা খেলবেনই। বাকি জায়গার জন্য এগিয়ে অর্শদীপ। এগারো নম্বরে মিস্ট্রি স্পিনার বরুণ চক্রবর্তী। প্রয়োজন হলে তৃতীয় পেসারের কাজটা করবেন হার্দিক পান্ডিয়া।
আমিরশাহি টিমে অন্তত ছয় জন ভারতীয় বংশোদ্ভুত আছেন। যেমন আছেন বাঁহাতি স্পিনার সিমরনজিৎ সিং। ৩৫ বছর বয়সী স্পিনার এক সময়ে মোহালির নেটে ১২ বছরের শুবমান গিলকে বল করেছিলেন। সিমরনজিৎ বলছেন, ‘২০১১–১২ সালে যখন শুবমান নেটে আসত, তখন আমি নেটে ওকে বল করেছি। এখন সেটা ওর মনে আছে কি না, বলতে পারব না।’
সব মিলিয়ে, আজ প্রথম ম্যাচের আগে সরগরম দুবাই। তবে সবার চোখ রবিবার ভারত–পাক ম্যাচের দিকে।