শিরোপা স্বপ্ন দেখিয়ে দেশ ছেড়েছিলেন নুরুল হাসান সোহান-হাসান মাহমুদরা। তবে অস্ট্রেলিয়া গিয়ে মুখ থুবড়ে পড়েছেন তারা। টপ এন্ড টি-টোয়েন্টি সিরিজে মোটেও ভালো করতে পারেনি বাংলাদেশ ‘এ’ দল।
৬ ম্যাচে মাত্র ২ জয় নিয়েই শেষ করেছে সিরিজ। ফাইনাল তো দূর, শেষ চারেও উঠতে পারেনি বাংলাদেশ। ডারউইনে ১১ দলের টুর্নামেন্টে নবম হয়েছে নুরুল হাসান সোহানের দল।
দলীয় পারফরম্যান্স হতাশাজনক হলেও ব্যক্তিগত পারফরম্যান্সে অবশ্য আলো ছড়িয়েছেন জিসান আলম, রকিবুল হাসানরা। তবে বাকিরা কেউ তেমন সামর্থ্যের ছাপ রাখতে পারেননি।
এবারের আসরে ব্যাট হাতে ৬ ইনিংসে ৩৪.৬৬ গড়ে দলের হয়ে সর্বোচ্চ সংগ্রহ জিসান আলমের। দুই ফিফটিতে ২০৮ রান আসে তার ব্যাটে। স্ট্রাইক রেট ১৩৮.৬৬। ১৯ চারের সাথে মেরেছেন ৮টি ছক্কা।
দলের আর কেউ ২০০ রান করতে পারেননি। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১৮৬ রান করেন আফিফ হোসেন ধ্রুব। ৬ ইনিংসের ৪টিতে অপরাজিত থাকায় তার গড় ৯৩.০০ আর স্ট্রাইক রেট ১২৯.১৬।
এক শ’র বেশি রান করতে পেরেছেন শুধু নুরুল হাসান সোহান (১১৫) ও সাইফ হাসান (১৩২)। দু’জনই ডাক পেয়েছেন এশিয়া কাপের দলে। কিন্তু দু’জনের কেউই সে অর্থে নিজেদের মেলে ধরতে পারেননি।
হতাশ করেছেন সবশেষ বিপিএলে আগ্রাসী ব্যাটিং করা মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন। ৩ ইনিংসে করেছেন মাত্র ১৯ রান। আর বিপিএলের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক মোহাম্মদ নাঈম শেখ ৬ ইনিংসে করেন ৯৪।
ভালো করেছেন অবশ্য ইয়াসির আলি রাব্বি। ৩ ম্যাচে সুযোগ পেয়ে ৭৬ গড়ে করেছেন ৭৬ রান, স্ট্রাইক রেট ১৬৮.৮৮।
বল হাতে বাংলাদেশের সেরা পারফর্মার রকিবুল হাসান। আসরের ৬ ম্যাচে ঘূর্ণি জাদুতে তার শিকার ১০ উইকেট। ইকোনমিও দারুণ, ৬.৭০। আর হাসান মাহমুদ নেন ৮ উইকেট। তার ইকোনমি ৭.০৯ রান।
তোফায়েল আহমেদ, রিপন মন্ডল, মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরিরা সুযোগ পেয়েও তেমন কিছু করতে পারেননি।